সিরাজগঞ্জে চার দিনে পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর বিলীন

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে বন্যার পানি কমতে শুরু করায় জেলা সদরের শিমলা ও কাজীপুর উপজেলার বাহুকা এলাকায় নদীভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গত চার দিনে এসব এলাকার পাঁচ শতাধিক বাড়িঘর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।


এলাকাবাসীর অভিযোগ, ব্যাপক ভাঙন চললেও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীতে পানি কমছে। চার দিন ধরে পানি কমার মাত্রা বেশি হওয়ায় নদীর পশ্চিম তীরে জেলা সদরের শিমলা এলাকা ও এর উজানে কাজীপুরের বাহুকা এলাকায় ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়। এতে আফানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ চার শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
গত বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেকে বাড়িঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার কাজে ব্যস্ত। নদীটি বর্তমানে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ থেকে মাত্র ৫০ ফুট দূরে অবস্থান করছে। কিছুদিন আগে শিমলা-১ নম্বর স্পারের কংক্রিট অংশ পানির তোড়ে নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় পানি এখন সরাসরি এই এলাকায় আঘাত হানছে। এতে ভয়াবহ ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে শিমলা-২ নম্বর স্পারটিও হুমকির মুখে রয়েছে।
শিমলা এলাকার ইয়াকুব আলী জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড আগে থেকে বালুর বস্তাসহ সিসি ব্লক ফেললে ভাঙন অবশ্যই রোধ করা সম্ভব হতো। ঘরবাড়িহারা লোকজন বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিতে চাইলেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। যার জোর আছে, সে ঘর তুলতে পারছে। ভাঙন যেভাবে অব্যাহত রয়েছে, তাতে যেকোনো দিন বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে।
সিরাজগঞ্জ পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এই এলাকায় স্থায়ীভাবে নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের জন্য ইতিমধ্যে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে প্রায় ১৬ কোটি টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে; কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারেরা কাজ শুরু করতে পারেননি। তাই ভাঙন বেশি হয়েছে। তার পরও বরাদ্দ না থাকায় কোনো রকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.