মোটরসাইকেল ছিনতাই সাতক্ষীরায় ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নেতা অপহরণ, পরে মুক্তি
সাতক্ষীরা ॥ সাতক্ষীরায় ফিল্মি স্টাইলে সদর থানার ভিতর থেকে এক আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি সদস্যকে অপহরণের পর তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ছিনতাই করার ঘটনা ঘটেছে। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হাসান ও সঙ্গী জাফার নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইফতার করার সময় সাতক্ষীরা সদর থানার গোলঘর থেকে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় ইউপি সদস্যের কাছ থেকে এক শ’ টাকা মূল্যের ৩টি সাদা স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর করে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার আঁগরদাড়ি ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও পুলিশ মামলার প্রধান আসামি জাফাকে বাদ দিয়ে মামলা রেকর্ড করেছে বলে বাদীর অভিযোগ। এদিকে, পুলিশ ছিনতাইকৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধারের জন্য রাতে জাফার পিতা নাজমুল আরেফিন মিল্টুর শহরের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ ঘটনায় পুলিশ জাফা ও জুয়েলের সঙ্গী রুহুল ও আওয়াল নামের দুইজনকে আটক করেছে। সদর থানার ওসি আসলাম খান মামলা ও আসামি গ্রেফতারের সত্যতা স্বীকার করে শুক্রবার বিকেলে জনকন্ঠকে বলেন, সন্ত্রাসীরা ছিনতাই করা মোটরসাইকেলটি শুক্রবার সকালে থানায় ফেরত দিয়ে গেছে।
নির্যাতনের শিকার ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে তার এলাকার একটি কাজের জন্য তিনি সাতক্ষীরা থানায় আসেন। সন্ধ্যা হয়ে গেলে সদর থানার গোলঘরে বসে সঙ্গীয় কয়েক জনকে নিয়ে ইফতার করছিলেন। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হাসানের নেতৃত্বে ৬-৭ জনের একদল ক্যাডার বাহিনী অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে অপহরণ করে রাজ্জাক পার্কে প্রভাবশালী এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে নিয়ে যায়। এসময় অপহরণকারীরা জোর করে তার কাছ থেকে ৩টি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। একপর্যায় জুয়েল তার মুখে লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়ে নির্যাতন করে। পকেটে থাকা ৬শ’ টাকা ও মোটরসাইকেলের চাবি তুলে নেয় এবং ১শ’ টাকা ফেরত দিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে। পরে থানার ভিতরে রাখা তার মোটরসাইকেলটিও সন্ত্রাসীরা নিয়ে যায়।
নির্যাতনের শিকার ইউপি সদস্য তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে তার এলাকার একটি কাজের জন্য তিনি সাতক্ষীরা থানায় আসেন। সন্ধ্যা হয়ে গেলে সদর থানার গোলঘরে বসে সঙ্গীয় কয়েক জনকে নিয়ে ইফতার করছিলেন। এসময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জুয়েল হাসানের নেতৃত্বে ৬-৭ জনের একদল ক্যাডার বাহিনী অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে অপহরণ করে রাজ্জাক পার্কে প্রভাবশালী এক ব্যক্তির বাড়ির সামনে নিয়ে যায়। এসময় অপহরণকারীরা জোর করে তার কাছ থেকে ৩টি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নেয়। একপর্যায় জুয়েল তার মুখে লোহার রড ঢুকিয়ে দিয়ে নির্যাতন করে। পকেটে থাকা ৬শ’ টাকা ও মোটরসাইকেলের চাবি তুলে নেয় এবং ১শ’ টাকা ফেরত দিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেয়। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করে। পরে থানার ভিতরে রাখা তার মোটরসাইকেলটিও সন্ত্রাসীরা নিয়ে যায়।
No comments