পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের রায়-আদালত অবমাননা আইন অবৈধ ও অসাংবিধানিক
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে আদালত অবমাননার দায় থেকে অব্যাহতি দিতে সম্প্রতি পার্লামেন্টে পাস হওয়া একটি আইনকে অসাংবিধানিক এবং অবৈধ ঘোষণা করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গতকাল শুক্রবার এই রায় দেন।
পার্লামেন্টে সম্প্রতি পাস হওয়া নতুন ওই আইন চ্যালেঞ্জ করে আদালতে ২৭টি আবেদন জমা পড়ে। এসব আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল রায় দেওয়া হয়। প্রধান বিচারপতি রায় পড়ে শোনান। রায়ে বলা হয়, নতুন এই আইন পাকিস্তানের সংবিধানের ৬৩(১)(জি) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। জনপ্রতিনিধি বা সরকারি কার্যালয়ে অধিষ্ঠিত কাউকে আদালত অবমাননা থেকে রেহাই দেওয়া সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। রায়ে আরও বলা হয়, সরকার আদালত অবমাননা আইন প্রণয়ন করার কর্তৃপক্ষ নয়। যে আইন করা হয়েছে, তা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা মাত্র।
বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ছাড়া অন্য চার বিচারপতি হলেন: বিচারপতি শাকিরুল্লাহ জান, বিচারপতি খিলজি আরিফ হুসেইন, বিচারপতি জাওয়াদ এস খাজা ও বিচারপতি তাসাদ্দুক হুসেইন জিলানি।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল ইরফান কাদির। তিনি বলেন, আদালতের প্রতি তাঁর আস্থা আছে। আদালতের রায় সংবিধান থেকে ‘এক ইঞ্চি’ এদিক-সেদিক করার কোনো চেষ্টা তাঁর নেই।
বিচারপতি খিলজি বলেন, নতুন এই আইনে আদালত অবমাননা বিষয়ে বেশ কিছু টার্ম উল্লেখ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা পুনরায় চালু করতে সুইজারল্যান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠাতে প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন আদালত। সেই আদেশ পালন না করায় আদালত অবমাননার দায়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে অযোগ্য ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্ট।
পরে ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) রাজা পারভেজ আশরাফকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে। গিলানির মতো পরিণতি থেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী রাজা আশরাফকে বাঁচাতে পিপিপি পার্লামেন্টে আদালত অবমাননাসংক্রান্ত নতুন একটি আইন পাস করে। ওই আইনে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে আদালত অবমাননা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই আইন চ্যালেঞ্জ করে আদালতে একই ধরনের ২৭টি আবেদন জমা পড়ে।
তবে এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট জারদারির মামলা চালু করতে সুইস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিতে প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফকে নির্দেশ দেন।
গত ১২ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে ওই চিঠি লিখতে প্রধানমন্ত্রী আশরাফকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। এ বিষয়ে শুনানি শুরু হলে অ্যাটর্নি জেনারেল পবিত্র ঈদুল ফিতর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। তবে বিচারপতি আসিফ সাইদ খান খোসার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ অ্যাটর্নি জেনারেলের আবেদন নাকচ করে দুই সপ্তাহ সময় বাড়িয়েদেন। সেই হিসাবে আগামী ৮ আগস্টের
মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আশরাফকে জারদারির মামলা চালু করতে সুইস কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখতে হবে। ডন ও এপি।
বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ছাড়া অন্য চার বিচারপতি হলেন: বিচারপতি শাকিরুল্লাহ জান, বিচারপতি খিলজি আরিফ হুসেইন, বিচারপতি জাওয়াদ এস খাজা ও বিচারপতি তাসাদ্দুক হুসেইন জিলানি।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল ইরফান কাদির। তিনি বলেন, আদালতের প্রতি তাঁর আস্থা আছে। আদালতের রায় সংবিধান থেকে ‘এক ইঞ্চি’ এদিক-সেদিক করার কোনো চেষ্টা তাঁর নেই।
বিচারপতি খিলজি বলেন, নতুন এই আইনে আদালত অবমাননা বিষয়ে বেশ কিছু টার্ম উল্লেখ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা পুনরায় চালু করতে সুইজারল্যান্ড কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠাতে প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন আদালত। সেই আদেশ পালন না করায় আদালত অবমাননার দায়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য পদে অযোগ্য ঘোষণা করেন সুপ্রিম কোর্ট।
পরে ক্ষমতাসীন দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) রাজা পারভেজ আশরাফকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে। গিলানির মতো পরিণতি থেকে নতুন প্রধানমন্ত্রী রাজা আশরাফকে বাঁচাতে পিপিপি পার্লামেন্টে আদালত অবমাননাসংক্রান্ত নতুন একটি আইন পাস করে। ওই আইনে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে আদালত অবমাননা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এই আইন চ্যালেঞ্জ করে আদালতে একই ধরনের ২৭টি আবেদন জমা পড়ে।
তবে এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট জারদারির মামলা চালু করতে সুইস কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিতে প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফকে নির্দেশ দেন।
গত ১২ জুলাই সুপ্রিম কোর্ট এক আদেশে ওই চিঠি লিখতে প্রধানমন্ত্রী আশরাফকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। এ বিষয়ে শুনানি শুরু হলে অ্যাটর্নি জেনারেল পবিত্র ঈদুল ফিতর পর্যন্ত সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। তবে বিচারপতি আসিফ সাইদ খান খোসার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ অ্যাটর্নি জেনারেলের আবেদন নাকচ করে দুই সপ্তাহ সময় বাড়িয়েদেন। সেই হিসাবে আগামী ৮ আগস্টের
মধ্যে প্রধানমন্ত্রী আশরাফকে জারদারির মামলা চালু করতে সুইস কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখতে হবে। ডন ও এপি।
No comments