১৫ ঘণ্টার দুর্ভোগে যাত্রীরা by তায়েফুর রহমান
সাভারের হেমায়েতপুর থেকে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত দূরত্ব প্রায় আট কিলোমিটার। তবে এই দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটেছেন জুলহাস। কালের কণ্ঠকে জুলহাস বলেন, রাজধানীর গুলিস্তান থেকে একটি বাসে চড়েছিলেন তিনি। যাবেন মানিকগঞ্জে। বাসটি হেমায়েতপুর পর্যন্ত এসে আটকে যায়।
একপর্যায়ে বাসের শ্রমিকরা সব যাত্রী নামিয়ে দেয়। এরপর জুলহাস হেঁটে এই সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত এসেছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বুধবার গভীর রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করলে গতকাল বৃহস্পতিবার এভাবেই দুর্ভোগের শিকার হন নারী-পুরুষ, শিশুসহ হাজার হাজার যাত্রী। বুধবার দিনগত রাত ১২টার পর শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করলে দুর্ভোগের শুরু হয়। মহাসড়কের পাশে কোনো হোটেল-রেস্তরাঁ না থাকায় অনেকে রোজাও রাখতে পারেননি। বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে দেখা যায়, দূরপাল্লার বাসের যাত্রীদের কেউ কেউ সঙ্গে থাকা খাবার কিংবা বাইরে যা পেয়েছেন তা দিয়েই সেহরি সারছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে অনেক শ্রমজীবী ব্যক্তি কর্মস্থলে যেতে না পেরে বাসায় ফিরে আসে। আবার কেউ কেউ দীর্ঘ পথ হেঁটে কাজে যোগ দেয়। অবরোধ তুলে নেওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। অবসান হয় দীর্ঘ প্রায় ১৫ ঘণ্টার দুর্ভোগের।
সরেজমিন দেখা গেছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে আটকে পড়া যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এর আগে রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করলে পুলিশ সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের অদূরে রাজালাখ ফার্ম এলাকায় সব গাড়ি আটকে দেয়। ওদিকে নবীনগর এলাকায়ও পুলিশ গাড়ি থামিয়ে দেয়। ফলে সকালে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ছিল একদম ফাঁকা। তখন সড়কজুড়ে চলাচল করে ইজিবাইক ও রিকশা। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের রাস্তার পাশে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেকেই স্কুলে যায় হেঁটে কিংবা রিকশায়। আবার দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর অনেকে বাড়িতে ফিরে যায়।
দুপুর ১২টার দিকে শাইনপুকুর সিরামিকের সাত-আটজন শ্রমিককে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তাঁরা দ্বিতীয় শিফটে কাজে যোগদানের জন্য কারখানার বাসের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু সড়ক অবরোধ থাকায় বাস আর সময়মতো আসতে পারেনি। তাই প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর শ্রমিকরা যার যার বাড়ির উদ্দেশে চলে যান।
আতিকুর রহমান নামের একজন উন্নয়নকর্মী মানিকগঞ্জে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগদান শেষে দুপুরের পর সাভারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘ সময় কোনো যানবাহন না পেয়ে পরিচিত মহলের কাছে বারবার ফোন করছিলেন- কিভাবে তিনি সাভার ফিরতে পারেন।
জয়নাল আবেদীন নামের একজন ট্রাকচালক বলেন, ১৫ দিন আগে তিনি রাজশাহী এলাকা থেকে মালামাল বোঝাই করে চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। ফেরার পথে বুধবার রাত ১টার দিকে রাজালাখ ফার্মের কাছে পুলিশ তাঁর ট্রাক আটকে দেয়। দীর্ঘ সময় তিনি আটকে থাকায় ট্রাক মালিক বারবার খোঁজ নিচ্ছেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বুধবার গভীর রাতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করলে গতকাল বৃহস্পতিবার এভাবেই দুর্ভোগের শিকার হন নারী-পুরুষ, শিশুসহ হাজার হাজার যাত্রী। বুধবার দিনগত রাত ১২টার পর শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করলে দুর্ভোগের শুরু হয়। মহাসড়কের পাশে কোনো হোটেল-রেস্তরাঁ না থাকায় অনেকে রোজাও রাখতে পারেননি। বৃহস্পতিবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে দেখা যায়, দূরপাল্লার বাসের যাত্রীদের কেউ কেউ সঙ্গে থাকা খাবার কিংবা বাইরে যা পেয়েছেন তা দিয়েই সেহরি সারছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে অনেক শ্রমজীবী ব্যক্তি কর্মস্থলে যেতে না পেরে বাসায় ফিরে আসে। আবার কেউ কেউ দীর্ঘ পথ হেঁটে কাজে যোগ দেয়। অবরোধ তুলে নেওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। অবসান হয় দীর্ঘ প্রায় ১৫ ঘণ্টার দুর্ভোগের।
সরেজমিন দেখা গেছে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহাসড়কে আটকে পড়া যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। এর আগে রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নির্বিচারে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করলে পুলিশ সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ডের অদূরে রাজালাখ ফার্ম এলাকায় সব গাড়ি আটকে দেয়। ওদিকে নবীনগর এলাকায়ও পুলিশ গাড়ি থামিয়ে দেয়। ফলে সকালে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ছিল একদম ফাঁকা। তখন সড়কজুড়ে চলাচল করে ইজিবাইক ও রিকশা। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের রাস্তার পাশে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেকেই স্কুলে যায় হেঁটে কিংবা রিকশায়। আবার দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর অনেকে বাড়িতে ফিরে যায়।
দুপুর ১২টার দিকে শাইনপুকুর সিরামিকের সাত-আটজন শ্রমিককে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তাঁরা দ্বিতীয় শিফটে কাজে যোগদানের জন্য কারখানার বাসের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু সড়ক অবরোধ থাকায় বাস আর সময়মতো আসতে পারেনি। তাই প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর শ্রমিকরা যার যার বাড়ির উদ্দেশে চলে যান।
আতিকুর রহমান নামের একজন উন্নয়নকর্মী মানিকগঞ্জে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগদান শেষে দুপুরের পর সাভারের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘ সময় কোনো যানবাহন না পেয়ে পরিচিত মহলের কাছে বারবার ফোন করছিলেন- কিভাবে তিনি সাভার ফিরতে পারেন।
জয়নাল আবেদীন নামের একজন ট্রাকচালক বলেন, ১৫ দিন আগে তিনি রাজশাহী এলাকা থেকে মালামাল বোঝাই করে চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। ফেরার পথে বুধবার রাত ১টার দিকে রাজালাখ ফার্মের কাছে পুলিশ তাঁর ট্রাক আটকে দেয়। দীর্ঘ সময় তিনি আটকে থাকায় ট্রাক মালিক বারবার খোঁজ নিচ্ছেন।
No comments