সিরিয়ায় সহিংসতা বন্ধে ব্যর্থতা-নিরাপত্তা পরিষদের নিন্দা জানিয়ে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব পাস
সিরিয়ায় সহিংসতা বন্ধে ব্যর্থ হওয়ায় নিরাপত্তা পরিষদের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। গতকাল শুক্রবার সাধারণ পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে এই নিন্দা প্রস্তাব পাস হয়। জাতিসংঘ ও আরব লিগের সিরিয়াবিষয়ক দূতের পদ ছেড়ে দিয়েছেন কফি আনান।
সিরিয়ায় রক্তপাত বন্ধে ‘সবার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সমর্থন না পাওয়ায়’ গত বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন তিনি। আনানের পদত্যাগের জন্য চীন ও রাশিয়াকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাশার আল-আসাদবিরোধীদের ওপর ভারী অস্ত্র ব্যবহার করারও নিন্দা জানানো হয় সাধারণ পরিষদে। নিন্দা প্রস্তাবের পক্ষে ১৩৩ ভোট এবং বিপক্ষে ১২ ভোট পড়ে। ৩১টি সদস্যদেশ ভোট দানে বিরত ছিল।
সিরিয়াসংক্রান্ত জাতিসংঘ ও আরব লিগের মধ্যস্থতাকারীর পদ থেকে গতকাল কফি আনান পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর এই প্রস্তাব পাস হলো। সিরিয়া সমস্যার সমাধানে তাঁর দেওয়া ছয় দফা প্রস্তাব বাস্তবায়নে নিরাপত্তা পরিষদ ব্যর্থ হয়।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আনানের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। এরপর আনান সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সংবাদ সম্মেলন করে নিজের পদত্যাগের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘সিরিয়ায় রক্তপাত বন্ধে সবার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সমর্থন পাইনি। সিরিয়ায় সামরিক অভিযান বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মতানৈক্যের কারণে আমার ভূমিকা পরিবর্তন হয়।’ তবে তিনি বলেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ‘শিগগিরই হোক বা দেরিতে হোক’ সরে যেতে হবে। আনান ফিন্যানশিয়াল টাইমস-এ লেখা এক নিবন্ধে সিরিয়াকে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মুখ থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব নিতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমাধানের পথ এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি।
বান কি মুন বলেন, আনান সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। এ কাজের জন্য তিনি প্রশংসার দাবি রাখেন। মুন জানান, আনানের উত্তরসূরি খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। এতে আরব লিগ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।
আনানের পদত্যাগে দুঃখ প্রকাশ করে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সিরিয়ার অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী ব্যক্তিরা আনানের কাজ ব্যাহত করেছে।
আনানের পদত্যাগের জন্য রাশিয়া ও চীনকে দায়ী করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, সিরিয়ায় রক্তপাত বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে মতৈক্য সৃষ্টি করতে আনান নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবও উত্থাপন করা হয়। কিন্তু রাশিয়া ও চীনের ভেটোর কারণে সেই উদ্যোগ ভেস্তে যায়। এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।
বাশার আল-আসাদবিরোধীদের ওপর ভারী অস্ত্র ব্যবহার করারও নিন্দা জানানো হয় সাধারণ পরিষদে। নিন্দা প্রস্তাবের পক্ষে ১৩৩ ভোট এবং বিপক্ষে ১২ ভোট পড়ে। ৩১টি সদস্যদেশ ভোট দানে বিরত ছিল।
সিরিয়াসংক্রান্ত জাতিসংঘ ও আরব লিগের মধ্যস্থতাকারীর পদ থেকে গতকাল কফি আনান পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর এই প্রস্তাব পাস হলো। সিরিয়া সমস্যার সমাধানে তাঁর দেওয়া ছয় দফা প্রস্তাব বাস্তবায়নে নিরাপত্তা পরিষদ ব্যর্থ হয়।
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন গত বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আনানের পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। এরপর আনান সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সংবাদ সম্মেলন করে নিজের পদত্যাগের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘সিরিয়ায় রক্তপাত বন্ধে সবার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সমর্থন পাইনি। সিরিয়ায় সামরিক অভিযান বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্রগুলোর মতানৈক্যের কারণে আমার ভূমিকা পরিবর্তন হয়।’ তবে তিনি বলেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ‘শিগগিরই হোক বা দেরিতে হোক’ সরে যেতে হবে। আনান ফিন্যানশিয়াল টাইমস-এ লেখা এক নিবন্ধে সিরিয়াকে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মুখ থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব নিতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাজনৈতিক সমাধানের পথ এখনো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়নি।
বান কি মুন বলেন, আনান সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। এ কাজের জন্য তিনি প্রশংসার দাবি রাখেন। মুন জানান, আনানের উত্তরসূরি খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। এতে আরব লিগ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সহযোগিতা নেওয়া হচ্ছে।
আনানের পদত্যাগে দুঃখ প্রকাশ করে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সিরিয়ার অস্থিতিশীলতার জন্য দায়ী ব্যক্তিরা আনানের কাজ ব্যাহত করেছে।
আনানের পদত্যাগের জন্য রাশিয়া ও চীনকে দায়ী করে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, সিরিয়ায় রক্তপাত বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে মতৈক্য সৃষ্টি করতে আনান নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবও উত্থাপন করা হয়। কিন্তু রাশিয়া ও চীনের ভেটোর কারণে সেই উদ্যোগ ভেস্তে যায়। এএফপি, বিবিসি, রয়টার্স।
No comments