টানা সংঘর্ষে উত্তপ্ত জাবি বন্ধ ঘোষণা by ইমন রহমান

ছাত্র-পুলিশ সংঘর্ষে উত্তাল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শেষ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ ঈদের ছুটি ৯ আগস্ট থেকে এগিয়ে এনে ২ আগস্ট নির্ধারণ করে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার উপাচার্য অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


সে অনুযায়ী ছাত্রদের গতকালই সন্ধ্যা ৬টা এবং ছাত্রীদের আজ সকাল ৯টার মধ্যে আবাসিক হল ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে হলগুলো ছাত্রশূন্য হয়ে পড়ে। এ ছাড়া সিন্ডিকেট সভায় ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার ছাত্রলীগের এক কর্মীকে আটক করতে গিয়ে পুলিশ মীর মশাররফ হোসেন হলের ছাত্রদের ওপর রাবার বুলেট ছুড়লে পাঁচ ছাত্র আহত হন। এ থেকেই পরবর্তী ঘটনা ও সহিংসতার সূত্রপাত হয়। ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছাত্রদের শান্ত করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা বুধবার সারা রাত ধরে প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। বুধবার রাত থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে ছাত্র, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের সাভারের বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বুধবার রাত ১২টার পর থেকে গতকাল বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রায় ১৫ ঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার পর অবরোধ তুলে নিয়ে হল ছাড়তে শুরু করেন ছাত্ররা। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তা স্থগিত করা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত : গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি রাশেদুল ইসলাম শাফিন গ্রুপের কর্মী তাহমিদুল ইসলাম লিখনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে কুপিয়ে জখম করে অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় রাত ১১টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলের ২১১ নম্বর কক্ষ থেকে ছাত্রলীগের কর্মী নাহিদুল ইসলামকে (নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ৩৯তম ব্যাচ) আটক করতে যায় পুলিশ ও হল প্রশাসন। কিন্তু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া পুলিশ হলে ঢুকে ছাত্র আটক করার প্রতিবাদ করেন অন্য ছাত্ররা। এ সময় শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হলের কয়েক শ ছাত্র বিক্ষোভ শুরু করেন এবং পুলিশের সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ বাধে। এ অবস্থায় হল থেকে বেরিয়ে গিয়ে পুলিশ হলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের ওপর রাবার বুলেট ছুড়তে থাকে। ২০টির বেশি গুলি ছোড়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এতে গুরুতর আহত হন পাঁচ শিক্ষার্থী। তাঁরা হলেন ফার্মেসি বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের ছাত্র রাকিব, পরিসংখ্যান বিভাগের ৪০তম ব্যাচের ছাত্র বশির, ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের ছাত্র মারুফ, গণিত বিভাগের ৪১তম ব্যাচের রবিন ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ৩৯তম ব্যাচের ছাত্র নাহিদ। অন্যদিকে সংঘর্ষের সময় পুলিশের সাভার সার্কেলের এএসপি মনোয়ার হোসেন, আশুলিয়া থানার ওসি বদরুল আলমসহ কয়েকজন জন আহত হন।
মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট মো. এমদাদুল হক বলেন, 'ছাত্র আটক করার বিষয়ে আমাকে প্রশাসন থেকে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। হলে পুলিশ দেখে আমি গিয়েছি মাত্র।'
পুলিশি অভিযানের নেতৃত্বে থাকা সাভার সার্কেলের এএসপি মনোয়ার হোসেন বলেন, 'প্রশাসনের নির্দেশে হল প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে আমরা নাহিদকে আটক করতে যাই। কিন্তু ছাত্ররা ওই সময় পুলিশের ওপর হামলা চালায়। অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়।'
উপাচার্য লাঞ্ছিত : এদিকে হলের সামনে পুলিশ অবস্থান নেওয়ায় বুধবার রাতে আহত ছাত্রদের হাসপাতালে নেওয়া যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন রাত সাড়ে ১১টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হলে যান। তিনি ছাত্রদের শান্ত করার চেষ্টা করলে পুলিশের গুলির প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন ছাত্ররা। একপর্যায়ে উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করে ছাত্ররা তাঁর গাড়িও ভাঙচুর করে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের সহায়তায় উপাচার্য বের হয়ে যান। আহত কয়েকজনকে নিজের গাড়িতে করে তিনি সাভারের এনাম মেডিক্যালে নিয়ে যান। সারা রাত উপাচার্য সেখানেই ছিলেন।
ক্যাম্পাসে ব্যাপক ভাঙচুর : ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণের ঘটনায় বুধবার রাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছেন ছাত্ররা। বিক্ষুব্ধ কয়েক শ ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির প্রক্টর অফিস, সাংবাদিক সমিতি, ধ্বনি, জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটারসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কক্ষ, জহির রায়হান মিলনায়তন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, হল প্রভোস্ট এমদাদুল হকের বাসভবন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ বিভিন্ন ভবনে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। গতকাল সকাল থেকেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকালে নতুন কলা ভবনে ভাঙচুর করেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
মহাসড়ক অবরোধ, শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর : বুধবার রাত ১২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। এ সময় তাঁরা শতাধিক যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর করেন। সারা রাত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় কাঠের গুঁড়িতে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের একটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন, রেজিস্ট্রার আবুবকর সিদ্দিক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তপন কুমার সাহা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে গেলে তোপের মুখে পড়েন।
সকাল থেকে বিক্ষোভ ক্রমশ জোরালো হয়ে ওঠে। বিভিন্ন হলের ছাত্ররা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রান্তিক গেটে ছাত্রদের ওপর হামলার পর বিক্ষোভ আরো জোরদার হয়। দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির ও অধ্যাপক ড. আবদুল বায়েসের বাসার সামনে থাকা পুলিশের ওপর আক্রমণ চালান বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবি : আন্দোলনকারী ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে যেসব দাবি তুলে ধরেছেন তা হলো- প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ, মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের পদত্যাগ, গুলি ছোড়ার ঘটনায় জড়িত পুলিশের বিচার, ছাত্রলীগকর্মী নাহিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার, লিখন জখম হওয়ার ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে বিচার, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, এই ঘটনার দায়ভার উপাচার্যের স্বীকার করা ইত্যাদি।
জরুরি সিন্ডিকেট সভা : উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল সকালে উপাচার্যের বাসভবনে সিন্ডিকেটের জরুরি বৈঠক বসে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একটি প্রতিনিধিদল দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সমঝোতার জন্য যায়। প্রতিনিধিদলে ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরহাদ হোসেন, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. নাসির উদ্দিন, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন ও অধ্যাপক ড. বদিয়ার রহমান। তাঁরা আন্দোলনকারী ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদেরকে নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক থেকে উপাচার্যের বাসভবনের দিকে রওনা হলে প্রান্তিক গেটের কাছে উপস্থিত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় পুলিশ ছাত্রদেরকে ব্যাপক লাঠিপেটা করতে করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে। ছাত্ররাও পাল্টা ইট-পাটকেল ছুড়ে প্রতিবাদ জানায়। ছাত্র ও পুলিশের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর ফলে সমঝোতার প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়। পরে পরিস্থিতি আরো বেগতিক হলে উপাচার্যের বাসভবনে দুপুরে আবারও সিন্ডিকেট সভা বসে। সেখানে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঈদুল ফিতরের ছুটি সাত দিন এগিয়ে এনে গতকাল থেকে ছুটি ঘোষণা করা হয়। আগামী ২৫ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে।
পুলিশ ও ছাত্রদের রোষের শিকার সাংবাদিকরা, আহত ৪ : ছাত্রদের আন্দোলনে পুলিশ ও ছাত্রদের রোষের শিকার হন বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা। কোনো সংবাদিককে ছবি তুলতে দেননি আন্দোলনকারীরা। কেউ কেউ লুকিয়ে তুলতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছেন। এতে চার সাংবাদিক আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে সংঘর্ষের ছবি তোলার সময় ছাত্রদের হামলায় আহত হন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরের জাবি প্রতিনিধি আহমেদ সজল। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা তাঁর কেমেরা ভেঙে ফেলেন। এ সময় আন্দোলনকারী ছাত্ররা সংবাদকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। গতকাল দুপুরে প্রান্তিক গেটে ছাত্রদের ওপর পুলিশি হামলার ছবি তুলতে গেলে কালের কণ্ঠের জাবি প্রতিনিধিকে লাঠিপেটা করে পুলিশ। এ সময় সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও তাঁকেসহ ইত্তেফাকের জাবি প্রতিনিধি নাজমুল হক জেনিথ, বেস্ট নিউজের মাহিদুল, ভোরের ডাকের রক্তিম রেজাসহ উপস্থিত সাংবাদিকদের ধাওয়া দেয় পুলিশ। এরপর বেগম খালেদা জিয়া হলের সামনে হামলায় আহত পুলিশের এসআই বেল্লালের ছবি তুলতে গেলে পিটিবি নিউজ ডট কমের জাবি প্রতিনিধি নাহিদুর রহমান হিমেলকে মারধর করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন সংগঠন।
গুলি চালানোর অনুমতি ছিল না : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যরাতে ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলি ছোঁড়ার অনুমতি ছিল না বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য ফরহাদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গুলি করার ঘটনাটি ন্যক্কারজনক। গুলি ছোড়ার কোনো অনুমতি প্রশাসন দেয়নি।' অন্যদিকে ছাত্রদের ওপর আত্মরক্ষার জন্য গুলি ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অনুমতিক্রমে আমরা যখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছি তখন শিক্ষার্থীরা আমাদের ওপর হামলা করেন। আমরা আত্মরক্ষার জন্য গুলি ছুড়তে বাধ্য হই।'
রফিকুল ইসলাম জানান, যে গুলি ছোড়া হয়েছে তা শটগানের গুলি। খুব কাছ থেকেও যদি শটগান দিয়ে গুলি ছোড়া হয় তাতে খুব বেশি ক্ষতি হবে না কারো। এ ছাড়া কয়েকটি রাবার বুলেট ছোড়ার কথাও স্বীকার করেন তিনি।
উপাচার্যের বক্তব্য : উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, 'বঙ্গবন্ধু হলের ছাত্র লিখন জখম হওয়ার পর আমি পুলিশকে বলেছিলাম দোষীকে খুঁজে বের করতে। কিন্তু পুলিশ যে প্রশাসনের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করে এভাবে হলে ঢুকে ছাত্র আটক করবে তা আমি ভাবিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক দিক চিন্তা করে এবং ক্ষয়ক্ষতি যাতে আর না হয় তার জন্য সিন্ডিকেট ঈদুল ফিতরের ছুটি এগিয়ে এনে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে।'

No comments

Powered by Blogger.