অভিনব প্রতিবাদ, আরাকান সড়কে ধানচাষ

চট্টগ্রাম মহানগরীর বেশ কয়েকটি সড়ক চউকের খামখেয়ালীপনায় যানবাহন চলাচলে পুরোপুরি অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে। মাসের পর মাস সড়কগুলো বেহাল অবস্থায় ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিবাদ জানিয়েছেন যাত্রী এবং পরিবহন মালিকরা। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বহদ্দারহাট থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত আরাকান সড়ক।


এ সড়কটির সংস্কার দাবিতে শুক্রবার আয়োজন করা হয় ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ কর্মসূচী। ব্যস্ততম আরাকান সড়কে প্রতীকী ধানের চারা রোপণ করে সর্বস্তরের নারী পুরুষ শিশু কিশোররা সড়ক সংস্কারের দাবিতে সোচ্চার হয়। সড়কটির এতই বেহাল অবস্থা যেÑ ধানের চারাগুলো পর্যন্ত পানিতে ঠাঁই পাচ্ছিল না। কয়েক কিলোমিটার জুড়ে খানাখন্দকে ভরা গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি। অথচ এ সড়ক দিয়ে বান্দরবান এবং কক্সবাজার পর্যটন নগরীতে নিয়মিত যাতায়াত করা হয়। শুক্রবার সকালে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করতে রাস্তায় নেমে আসেন শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে সাধারণ পথচারী, ব্যবসায়ী, যুবক, বৃদ্ধ, পরিবহন শ্রমিক-মালিক এবং গৃহিণীরা। দীর্ঘদিন ধরে নগরীর বেশ কয়েকটি সড়ক উন্নয়নের নামে চউক চালু সড়ক নষ্ট করে খানাখন্দকে পরিণত করে রেখেছে। এ বর্ষায় উন্নয়নের কাজ না করে চুপ করে থাকায় বর্ষার পানিতে রীতিমত ধানক্ষেতে পরিণত হয় নগরীর সড়ক।
শুক্রবার প্রতীকী প্রতিবাদ সমাবেশে একাত্মতা ঘোষণা করে যাত্রী সেবা পরিবহন মালিক সমিতিও। বিভিন্ন সময়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ধর্ণা দিয়েও সুরাহা না পাওয়ায় স্থানীয় লোকজন অনেকটা বাধ্য হয়ে রাস্তা ওপর ধানের চারা রোপণের আয়োজন করে। তারা আরাকান সড়কের মৌলভী পুকুরপাড়সংলগ্ন চান্দগাঁও এলাকার আরাকান সড়কের একাংশে বেশকিছু চারাও রোপণ করে। এ সময় আয়োজন করা হয় মানববন্ধন। চান্দগাঁও মৌলভী পুকুরপাড়ে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা উল্লেখ করেন, দু’বছর ধরে নগরীর সঙ্গে সংযুক্ত দুটি পর্যটন জেলা শহর এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত প্রধান সড়ক এমন বেহাল বলাও লজ্জাকর। অকার্যকর চউকের চেয়ারম্যান এবং কর্মকর্তাদের ব্যাপক দুর্নীতির কারণে মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ডবল লাইনের রাস্তার এক লাইন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ করে দেয়া হয়। বাকি লাইনটিও এখনও যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী।

No comments

Powered by Blogger.