ব্যক্তি উদ্যোগে বিশেষ কোচিং
সন্ধ্যার পর স্কুল থেকে ভেসে আসে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার আওয়াজ। পাশ দিয়ে গেলে কেউ মনে করতে পারেন নাইট স্কুল। কিন্তু আসলে তা নয়। ৫ম শ্রেণীর স্কুল ফাইনাল পরীক্ষা দেয়ার জন্য এরা বাড়িতে নয়, স্কুলে পড়াশোনা করছে। আর স্কুলের সভাপতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন।
এতে করে শিক্ষার্থীরা ৫ম শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষায় ভাল ফল করছে। আর এই স্কুলটি হলো যশোর শহরের রেলস্টেশন সরকারী প্রাইমারী স্কুল।
যশোর রেলস্টেশন সরকারী প্রাইমারী স্কুলটি হলো শহরের রায়পাড়ায় অবস্থিত। যশোর শহরের অন্যতম মাদক বেচাকেনা এলাকা এটি। এই পাড়ার ৯০ ভাগ মানুষই মাদক বেচাকেনা, বহন কিংবা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। ফলে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া এখানে ভাল হয় না। বাড়িতে পড়ার পরিবেশ নেই। এই স্কুলে এমন অনেক শিশু পড়াশোনা করে, যাদের বাবা, মা দু’জনই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই পাড়ার আরেকটি বৈশিষ্ট্য এখানে মহিলা মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি।
এ রকম একটি পরিবেশে অবস্থিত রেলস্টেশন সরকারী প্রাইমারী স্কুলটি। স্কুলে ৬ শিক্ষক আছেন। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫শ’। এরমধ্যে ৫ম শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা শ’খানেক। স্কুল সভাপতির ব্যবস্থায় বিশেষ কোচিং করেন ৪৬ শিক্ষার্থী। বশির উদ্দীন নামের এক শিক্ষক তাদের সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত পড়ান। তবে রোজার মাসে তাদের বিকালে স্কুলে পড়ানো হচ্ছে। বশির উদ্দীন যশোর সরকারী এমএম কলেজ থেকে পাস করে শহরের বিভিন্ন বাসায় টিউশনি করান। তিনি জানান, ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়ে ভাল রেজাল্ট করছে। প্রথম সাময়িকী পরীক্ষায় তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। চলছে এখন দ্বিতীয় সাময়িকী পরীক্ষা।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তরুন সমাজসেবক জিল্লুর রহমান মানিক বলেন, বিগত বছরগুলোতে স্কুলের সমাপনী পরীক্ষায় ফল খারাপ হয়। এর কারণ এখানকার ছেলেমেয়েরা দরিদ্র ঘরের সন্তান। স্কুল ছুটির পর বাড়িতে তাদের পড়ার কোন পরিবেশ নেই। অধিকাংশ বাড়িতে মাদক ব্যবসা হয়। তাই অভিভাবকদের ডেকে, স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ করে আমি ৫ম শ্রেণীতে বিশেষ কোচিং-এর ব্যবস্থা করেছি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, স্কুলের সভাপতির উদ্যোগে ছেলেমেয়েদের বিশেষভাবে পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে তারা সমাপনী পরীক্ষায় ভাল করবে।
Ñসাজেদ রহমান, যশোর
যশোর রেলস্টেশন সরকারী প্রাইমারী স্কুলটি হলো শহরের রায়পাড়ায় অবস্থিত। যশোর শহরের অন্যতম মাদক বেচাকেনা এলাকা এটি। এই পাড়ার ৯০ ভাগ মানুষই মাদক বেচাকেনা, বহন কিংবা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত। ফলে ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া এখানে ভাল হয় না। বাড়িতে পড়ার পরিবেশ নেই। এই স্কুলে এমন অনেক শিশু পড়াশোনা করে, যাদের বাবা, মা দু’জনই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এই পাড়ার আরেকটি বৈশিষ্ট্য এখানে মহিলা মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেশি।
এ রকম একটি পরিবেশে অবস্থিত রেলস্টেশন সরকারী প্রাইমারী স্কুলটি। স্কুলে ৬ শিক্ষক আছেন। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৫শ’। এরমধ্যে ৫ম শ্রেণীতে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা শ’খানেক। স্কুল সভাপতির ব্যবস্থায় বিশেষ কোচিং করেন ৪৬ শিক্ষার্থী। বশির উদ্দীন নামের এক শিক্ষক তাদের সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত পড়ান। তবে রোজার মাসে তাদের বিকালে স্কুলে পড়ানো হচ্ছে। বশির উদ্দীন যশোর সরকারী এমএম কলেজ থেকে পাস করে শহরের বিভিন্ন বাসায় টিউশনি করান। তিনি জানান, ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়ে ভাল রেজাল্ট করছে। প্রথম সাময়িকী পরীক্ষায় তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। চলছে এখন দ্বিতীয় সাময়িকী পরীক্ষা।
স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তরুন সমাজসেবক জিল্লুর রহমান মানিক বলেন, বিগত বছরগুলোতে স্কুলের সমাপনী পরীক্ষায় ফল খারাপ হয়। এর কারণ এখানকার ছেলেমেয়েরা দরিদ্র ঘরের সন্তান। স্কুল ছুটির পর বাড়িতে তাদের পড়ার কোন পরিবেশ নেই। অধিকাংশ বাড়িতে মাদক ব্যবসা হয়। তাই অভিভাবকদের ডেকে, স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে পরামর্শ করে আমি ৫ম শ্রেণীতে বিশেষ কোচিং-এর ব্যবস্থা করেছি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, স্কুলের সভাপতির উদ্যোগে ছেলেমেয়েদের বিশেষভাবে পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে তারা সমাপনী পরীক্ষায় ভাল করবে।
Ñসাজেদ রহমান, যশোর
No comments