মৃত্যুর ১৩২ বছর পর পরিবারের 'সান্নিধ্যে' কেলি
মৃত্যুর ১৩২ বছর পর নেড কেলির দেহাবশেষ তাঁর বংশধরদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। 'আউট ল' হিসেবে পরিচিত কেলি উনিশ শতকের শেষদিকে অস্ট্রেলিয়ায় একটি দলের নেতৃত্ব দিতেন। তৎকালীন ঔপনিবেশিক শাসকদের চোখে অপরাধী এই অস্ট্রেলীয়কে ১৮৮০ সালে ফাঁসি দেওয়া হয়।
বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে গত নভম্বরে কেলির দেহাবশেষ শনাক্ত করা হয়। পেনট্রিজ কারাগারের বাইরে একটি গণকবরে তাঁর দেহাবশেষ পাওয়া যায়। এতে মাথার অংশ নেই।
গণকবরের জায়গাটির মালিকপক্ষ কেলির দেহাবশেষ রাখতে চায়। তবে কেলির বংশধররা তা ফেরত চেয়েছে। কেলির বোনের নাতির নাতি এলেন হোলো এক বিবৃতিতে বলেন, 'চূড়ান্তভাবে কেলির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতে আমরা কেলি পরিবার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা এও আবেদন করছি, যার কাছে কেলির মাথার অংশ রয়েছে তিনি যেন তা আমাদের দেন, যাতে কেলি পূর্ণাঙ্গভাবে চিরশয্যায় যেতে পারেন।'
কেলি সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার মিশ্র ধারণা রয়েছে। কেউ কেউ তাঁকে ঠাণ্ডা মাথার খুনি বলে মনে করেন। ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অন্যরা তাঁকে গণমানুষের নায়ক হিসেবে মানেন। ধারণা করা হয়, ১৮৫৪ অথবা ১৮৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন কেলি। ১৯৮০ সালে ভিক্টোরিয়ায় পুলিশের হাতে আহত অবস্থায় ধরা পড়েন তিনি। সে সময় দুই পক্ষের লড়াইয়ে তিন পুলিশ নিহত হয়। এই হত্যার দায়ে একই বছর নভেম্বরে পুরনো মেলবোর্ন জেলে কেলিকে ফাঁসি দেওয়া হয়। একটি গণকবরে তাঁর মরদেহ ফেলে দেওয়ার ফলে পরে তা শনাক্ত করা যায়নি। ১৯২৯ সালে ওই গণকবরের সব দেহাবশেষ পেনট্রিজ কারাগারের বাইরে আরেকটি গণকবরে স্থানান্তর করা হয়। পরে ২০০৯ সালে কবর খুঁড়ে দেহাবশেষ তুলে পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য।
দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ ও লোভী ভূস্বামীদের বিরুদ্ধে কেলি ও তাঁর দলের বীরত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিয়াল নির্মিত হয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
গণকবরের জায়গাটির মালিকপক্ষ কেলির দেহাবশেষ রাখতে চায়। তবে কেলির বংশধররা তা ফেরত চেয়েছে। কেলির বোনের নাতির নাতি এলেন হোলো এক বিবৃতিতে বলেন, 'চূড়ান্তভাবে কেলির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করতে আমরা কেলি পরিবার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা এও আবেদন করছি, যার কাছে কেলির মাথার অংশ রয়েছে তিনি যেন তা আমাদের দেন, যাতে কেলি পূর্ণাঙ্গভাবে চিরশয্যায় যেতে পারেন।'
কেলি সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ার মিশ্র ধারণা রয়েছে। কেউ কেউ তাঁকে ঠাণ্ডা মাথার খুনি বলে মনে করেন। ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অন্যরা তাঁকে গণমানুষের নায়ক হিসেবে মানেন। ধারণা করা হয়, ১৮৫৪ অথবা ১৮৫৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন কেলি। ১৯৮০ সালে ভিক্টোরিয়ায় পুলিশের হাতে আহত অবস্থায় ধরা পড়েন তিনি। সে সময় দুই পক্ষের লড়াইয়ে তিন পুলিশ নিহত হয়। এই হত্যার দায়ে একই বছর নভেম্বরে পুরনো মেলবোর্ন জেলে কেলিকে ফাঁসি দেওয়া হয়। একটি গণকবরে তাঁর মরদেহ ফেলে দেওয়ার ফলে পরে তা শনাক্ত করা যায়নি। ১৯২৯ সালে ওই গণকবরের সব দেহাবশেষ পেনট্রিজ কারাগারের বাইরে আরেকটি গণকবরে স্থানান্তর করা হয়। পরে ২০০৯ সালে কবর খুঁড়ে দেহাবশেষ তুলে পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য।
দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ ও লোভী ভূস্বামীদের বিরুদ্ধে কেলি ও তাঁর দলের বীরত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিয়াল নির্মিত হয়েছে। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments