বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ঐতিহাসিক রায়- বাংলায় রূপান্তর : এনামুল হক
(পূর্ব প্রকাশের পর) আপীলকারী সুলতান শাহরিয়ারের বিজ্ঞ কেঁৗসুলি রাজ্জাক খান আরও পেশ করেন যে, দণ্ডাদেশের পিছনে হাইকোর্ট বিভাগের সর্বসম্মত অনুমোদন না থাকায় বর্তমান আপীলগুলোতে আইনের চোখে দণ্ডাদেশের অনুমোদন নেই।
বর্তমান মামলায় হাইকোর্ট বিভাগের বিজ্ঞ বিচারকদের মতামতকেও 'রায়' বলে গণ্য করা চলে না এবং মোঃ শফি বনাম দি ক্রাউন ৬ ডিএলআর (ডবি্লওপি) ১০৪ (এফবি) মামলায় ও আবদুর রাজ্জাক বনাম রাষ্ট্র ১৬ ডিএলআর (ডবি্লওপি) ৭৩ মামলায় যেমন হয়েছিল যে, দণ্ডাদেশ অনুমোদনের েেত্র মতপার্থক্য দেখা দিলে তৃতীয় বিচারকের মতামতই প্রযোজ্য হবে _এ েেত্র তা হয়নি; হাইকোর্ট বিভাগের বিজ্ঞ বিচারকরা হমুভা বনাম গুজরাট রাজ্য এআইআর ১৯৭০ এসসি ১২৬৬ মামলায় ভারত ইউনিয়ন বমান অনন্তি পদ্মানবিয়া (১৯৭১) এসসিসি (ফৌজ) ৫৩৩ মামলায় সজ্জন সিং বনাম উত্তর প্রদেশ রাজ্য (১৯৯৯), এসসিসি ৩১৫ (ফৌজ) ৪৪ মামলায় ও মহিম মণ্ডল বনাম রাষ্ট্র (১৯৬৩) ১৫ ডিএলআর ৬১৫ মামলায় নির্দেশিত নীতিমালাও বিবেচনায় নেননি এবং দোষী সাব্যস্তকরণ ও দণ্ডাদেশ বহাল রাখার েেত্র ভুল করেছেন।
মেজর মোঃ বজলুল হুদা ও মেজর একেএম মহিউদ্দীন আহমেদ (ল্যান্সার) -এর বিজ্ঞ কেঁৗসুলি আবদুল্লাহ আল-মামুন খান সাইফুর রহমান ও আবদুর রাজ্জাক খানের পেশকৃত বক্তব্য সমর্থন করেন।
রাষ্ট্রপরে বিজ্ঞ কেঁৗসুলি (চীফ প্রসিকিউটর) আনিসুল হক এই বক্তব্য পেশ করেন যে হাইকোর্ট বিভাগের বিজ্ঞ বিচারকরা যে ছ'জন আসামির েেত্র মতামত দিতে গিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন শুধু সেই ছ'জন আসামির মামলার শুনানি করে তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারক অত্যন্ত ন্যায্য কাজ করেছেন; ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৭ ধারাটিতে কেবল উক্ত বিধির ৩৭৪ ধারায় প্রদত্ত রেফারেন্সের বেলায় অনুমোদনের পদ্ধতির কথাই বলা আছে; ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৮ ও ৪২৯ ধারায় ব্যবহৃত 'যা তিনি উপযুক্ত মনে করেন' এবং 'এমন মতামতের পর রায় ও আদেশ দান করা হবে' শব্দাবলী তাৎপর্যপূর্ণ এবং উপরোক্ত বক্তব্যগুলো অনুপুক্মখরূপে পাঠ করলে দেখা যাবে যে, যে মামলার ব্যাপারে কোন মতপার্থক্য নেই অথবা কোন মতপার্থক্য আছে সেই মামলাটি নি্#৬৩৭৪৩;ত্তি করার জন্য আইনবিভাগ তৃতীয় বিচারককে ব্যাপক ঐচ্ছিক মতা প্রদান করেছে এবং রায় ও আদেশ এমন মতামতকেই অনুসরণ করবে; বর্তমান আপীলগুলোয় তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারক তাঁর ঐচ্ছিক মতা প্রয়োগ করে ৬. ২. ২০০১ তারিখে প্রদত্ত আদেশে বলেছেন যে 'উপরোক্ত ৯ জন মৃতু্যদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী যাদের ব্যাপারে বিজ্ঞ বিচারকরা দ্বিধাবিভক্ত মতামত প্রকাশ করেননি তাদের মামলার বিষয়টি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৮ ও ৪২৯ ধারার বিধানাবলীর অধীনে শুনানির কথা চিন্তা করা হচ্ছে না। তবে শুধু আসামি আবদুল মাজেদের মামালটি যার ব্যাপারে দণ্ডবিধির দুটি পৃথক ধারায় দোষী সাব্যস্তকরণের ব্যাপারে মতপার্থক্য আছে এবং অপর পাঁচ মৃতু্যদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মামলাগুলো যাদের ব্যাপারে মতামত প্রকাশে বিজ্ঞ বিচারকরা সমভাবে বিভক্ত .....' এবং তদানুযায়ী তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারক আপীলকারীরাসহ ৯ দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির দণ্ডাদেশ অনুমোদন করে রেফারেন্স ও আপীলগুলো যথাযথভাবে নি্#৬৩৭৪৩;ত্তি করেছেন যা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৮ ও ৪২৯ ধারায় বর্ণিত প্রয়োজনসমূহের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
উপরোক্ত বক্তব্যের সমর্থনে আনিসুল হক বাবু বনাম উত্তর প্রদেশ রাজ্য (এআইআর ১৯৬৫ এসসি ৪৬৭), ভারত ইউনিয়ন বনাম অনন্তি পদ্মানবিয়া এআইআর ১৯৭১ এসসি ১৮৩৬, তানভিভেন পঙ্কজ কুমার বনাম গুজরাট রাজ্য মামলা (১৯৯৭) ১ এসসিসি ১৫৬ এআইআর ১৯৯৭ এসসি ২১৯৩, শরৎচন্দ্র মিত্র বনাম এম্পারার আইএলআর ৩৮ ক্যাল ২০২, আহমেদ শের বনাম এম্পারার এআইআর ১৯৩১ লালোর ৫১৩, সুবেদার সিং বনাম এম্পারার এআইআর ১৯৪৩ এলাহাবাদ ২৭২, নিমাই মণ্ডল বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এআইআর ১৯৬৬ কলকাতা ১৯৪, উত্তর প্রদেশ রাজ্য বনাম দান সিংহ (১৯৯৭) ৩ এসসিসি ৭৪৭, গ্রানডা ভেংকাটা বনাম দি কর্পোরেশন অব ক্যালকাটা (২২ সিডবি্লওএন ৭৪৫), রাষ্ট্র বনাম আবুল খায়ের ৪৪ ডিএলআর ২৮৪ মামলাগুলোর কথা উল্লেখ করেন।
উক্ত বক্তব্য সমর্থন করে বিজ্ঞ এ্যাটর্নি জেনারেল ও আফজালুল হোসেন কিউ,সি আরও কিছু কথা যোগ করেন এবং কিছু কিছু সিদ্ধান্তের উদ্ধৃতি দেন। আফজালুল হোসেন বলেন যে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৮ ও ৪২৯ নং ধারার মধ্যে এই দিক দিয়ে মৌলিক পার্থক্য আছে যে ৩৭৮ ধারায় যেখানে 'বিচারকদের একটি বেঞ্জ' কথাটা ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে ৪২৯ ধারায় ব্যবহার করা হয়েছে, 'আপীল আদালত গঠনকারী বিচারকরা'। আবার ৪২৯ ধারাটিতে 'একই আদালতের' কথাগুলো ব্যবহার করা হয়নি যেমন ব্যবহার করা হয়েছে অপর ধারাটিতে। বিজ্ঞ কেঁৗসুলি আরও বলেন যে, একটা রেফারেন্সের ওপর অন্তত দু'জন বিচারকের দ্বারা শুনানি হওয়া দরকার হয় এবং ৩৭৮ ধারায় ব্যবহৃত 'বিচারকদের বেঞ্চ' কথাটার অর্থ হলো কোন দণ্ডাদেশ কার্যকর হবার জন্য অন্ততপ েদু'জন বিচারকের দ্বারা অনুমোদিত ও স্বারিত হতে হবে এবং ৩৭৪-৩৭৮ ধারাগুলো অনুপুক্মখরূপে পাঠ করলে এই দাঁড়াবে যে, তৃতীয় বিচারকের মতামতের প্রশ্নটা তখনই উঠে যখন বিচারকদের বেঞ্চের মতামতে পার্থক্য দেখা দেয় এবং যে েেত্র কোন নির্দিষ্ট আসামী বা আসামীদের ব্যাপারে মতামতের পার্থক্য থাকে না সেেেত্র তৃতীয় বিচারকেরও মামলা বা মতামত নিয়ে কিছু করার থাকে না। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪, ৩৭৬, ৩৭৭, ৩৭৮ ও ৪২৯ ধারার বিধানসমূহ নিচে তুলে ধরা হলো :
'৩৭৪। আদালত কর্তৃক পেশতব্য মৃতু্যদণ্ড_ দায়রা আদালত যখন মৃতু্যদণ্ড দেয় তখন সে সংক্রান্ত কার্যক্রম [হাইকোর্ট বিভাগের] কাছে পেশ করতে হবে এবং [হাইকোট বিভাগ] অনুমোদন না করলে সেই মৃতু্যদণ্ড কার্যকর করা যাবে না।
৩৭৬। দণ্ডাদেশ অনুমোদন বা দোষী সাব্যস্তকরণ রদ করতে হাইকোর্ট বিভাগের মতা। ৩৭৪ ধারার অধীনে পেশকৃত যে কোন মামলায় হাইকোর্ট ডিভিশন _ক) দণ্ডাদেশ অনুমোদন করতে পারে কিংবা আইনে যুক্তিযুক্ত প্রতিপন্ন হয় এমন অন্য কোন দণ্ডাদেশ দিতে পারে, কিংবা
(খ) দোষসী সাব্যস্তকরণ রদ করতে পারেন এবং দায়রা আদালত দোষী সাব্যস্ত করতে পারত এমন যে কোন অভিযোগে আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেন কিংবা একই অভিযোগে অথবা সংশোধিত অভিযোগে নতুন করে বিচারের নির্দেশ দিতে পারেন কিংবা
গ) আসামীকে খালাস দিতে পারেন :
শর্ত থাকে যে, আপীল করার জন্য অনুমোদিত সময়সীমা অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত কিংবা ঐ সময়সীমার মধ্যে আপীল পেশ করা হলে সেই আপীলের নি্#৬৩৭৪৩;ত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই ধারায় দণ্ডাদেশ অনুমোদনের কোন আদেশ দেয়া হবে না। (ক্রমশ)
মেজর মোঃ বজলুল হুদা ও মেজর একেএম মহিউদ্দীন আহমেদ (ল্যান্সার) -এর বিজ্ঞ কেঁৗসুলি আবদুল্লাহ আল-মামুন খান সাইফুর রহমান ও আবদুর রাজ্জাক খানের পেশকৃত বক্তব্য সমর্থন করেন।
রাষ্ট্রপরে বিজ্ঞ কেঁৗসুলি (চীফ প্রসিকিউটর) আনিসুল হক এই বক্তব্য পেশ করেন যে হাইকোর্ট বিভাগের বিজ্ঞ বিচারকরা যে ছ'জন আসামির েেত্র মতামত দিতে গিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন শুধু সেই ছ'জন আসামির মামলার শুনানি করে তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারক অত্যন্ত ন্যায্য কাজ করেছেন; ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৭ ধারাটিতে কেবল উক্ত বিধির ৩৭৪ ধারায় প্রদত্ত রেফারেন্সের বেলায় অনুমোদনের পদ্ধতির কথাই বলা আছে; ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৮ ও ৪২৯ ধারায় ব্যবহৃত 'যা তিনি উপযুক্ত মনে করেন' এবং 'এমন মতামতের পর রায় ও আদেশ দান করা হবে' শব্দাবলী তাৎপর্যপূর্ণ এবং উপরোক্ত বক্তব্যগুলো অনুপুক্মখরূপে পাঠ করলে দেখা যাবে যে, যে মামলার ব্যাপারে কোন মতপার্থক্য নেই অথবা কোন মতপার্থক্য আছে সেই মামলাটি নি্#৬৩৭৪৩;ত্তি করার জন্য আইনবিভাগ তৃতীয় বিচারককে ব্যাপক ঐচ্ছিক মতা প্রদান করেছে এবং রায় ও আদেশ এমন মতামতকেই অনুসরণ করবে; বর্তমান আপীলগুলোয় তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারক তাঁর ঐচ্ছিক মতা প্রয়োগ করে ৬. ২. ২০০১ তারিখে প্রদত্ত আদেশে বলেছেন যে 'উপরোক্ত ৯ জন মৃতু্যদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী যাদের ব্যাপারে বিজ্ঞ বিচারকরা দ্বিধাবিভক্ত মতামত প্রকাশ করেননি তাদের মামলার বিষয়টি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৮ ও ৪২৯ ধারার বিধানাবলীর অধীনে শুনানির কথা চিন্তা করা হচ্ছে না। তবে শুধু আসামি আবদুল মাজেদের মামালটি যার ব্যাপারে দণ্ডবিধির দুটি পৃথক ধারায় দোষী সাব্যস্তকরণের ব্যাপারে মতপার্থক্য আছে এবং অপর পাঁচ মৃতু্যদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মামলাগুলো যাদের ব্যাপারে মতামত প্রকাশে বিজ্ঞ বিচারকরা সমভাবে বিভক্ত .....' এবং তদানুযায়ী তৃতীয় বিজ্ঞ বিচারক আপীলকারীরাসহ ৯ দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির দণ্ডাদেশ অনুমোদন করে রেফারেন্স ও আপীলগুলো যথাযথভাবে নি্#৬৩৭৪৩;ত্তি করেছেন যা ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৮ ও ৪২৯ ধারায় বর্ণিত প্রয়োজনসমূহের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
উপরোক্ত বক্তব্যের সমর্থনে আনিসুল হক বাবু বনাম উত্তর প্রদেশ রাজ্য (এআইআর ১৯৬৫ এসসি ৪৬৭), ভারত ইউনিয়ন বনাম অনন্তি পদ্মানবিয়া এআইআর ১৯৭১ এসসি ১৮৩৬, তানভিভেন পঙ্কজ কুমার বনাম গুজরাট রাজ্য মামলা (১৯৯৭) ১ এসসিসি ১৫৬ এআইআর ১৯৯৭ এসসি ২১৯৩, শরৎচন্দ্র মিত্র বনাম এম্পারার আইএলআর ৩৮ ক্যাল ২০২, আহমেদ শের বনাম এম্পারার এআইআর ১৯৩১ লালোর ৫১৩, সুবেদার সিং বনাম এম্পারার এআইআর ১৯৪৩ এলাহাবাদ ২৭২, নিমাই মণ্ডল বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য এআইআর ১৯৬৬ কলকাতা ১৯৪, উত্তর প্রদেশ রাজ্য বনাম দান সিংহ (১৯৯৭) ৩ এসসিসি ৭৪৭, গ্রানডা ভেংকাটা বনাম দি কর্পোরেশন অব ক্যালকাটা (২২ সিডবি্লওএন ৭৪৫), রাষ্ট্র বনাম আবুল খায়ের ৪৪ ডিএলআর ২৮৪ মামলাগুলোর কথা উল্লেখ করেন।
উক্ত বক্তব্য সমর্থন করে বিজ্ঞ এ্যাটর্নি জেনারেল ও আফজালুল হোসেন কিউ,সি আরও কিছু কথা যোগ করেন এবং কিছু কিছু সিদ্ধান্তের উদ্ধৃতি দেন। আফজালুল হোসেন বলেন যে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৮ ও ৪২৯ নং ধারার মধ্যে এই দিক দিয়ে মৌলিক পার্থক্য আছে যে ৩৭৮ ধারায় যেখানে 'বিচারকদের একটি বেঞ্জ' কথাটা ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে ৪২৯ ধারায় ব্যবহার করা হয়েছে, 'আপীল আদালত গঠনকারী বিচারকরা'। আবার ৪২৯ ধারাটিতে 'একই আদালতের' কথাগুলো ব্যবহার করা হয়নি যেমন ব্যবহার করা হয়েছে অপর ধারাটিতে। বিজ্ঞ কেঁৗসুলি আরও বলেন যে, একটা রেফারেন্সের ওপর অন্তত দু'জন বিচারকের দ্বারা শুনানি হওয়া দরকার হয় এবং ৩৭৮ ধারায় ব্যবহৃত 'বিচারকদের বেঞ্চ' কথাটার অর্থ হলো কোন দণ্ডাদেশ কার্যকর হবার জন্য অন্ততপ েদু'জন বিচারকের দ্বারা অনুমোদিত ও স্বারিত হতে হবে এবং ৩৭৪-৩৭৮ ধারাগুলো অনুপুক্মখরূপে পাঠ করলে এই দাঁড়াবে যে, তৃতীয় বিচারকের মতামতের প্রশ্নটা তখনই উঠে যখন বিচারকদের বেঞ্চের মতামতে পার্থক্য দেখা দেয় এবং যে েেত্র কোন নির্দিষ্ট আসামী বা আসামীদের ব্যাপারে মতামতের পার্থক্য থাকে না সেেেত্র তৃতীয় বিচারকেরও মামলা বা মতামত নিয়ে কিছু করার থাকে না। ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪, ৩৭৬, ৩৭৭, ৩৭৮ ও ৪২৯ ধারার বিধানসমূহ নিচে তুলে ধরা হলো :
'৩৭৪। আদালত কর্তৃক পেশতব্য মৃতু্যদণ্ড_ দায়রা আদালত যখন মৃতু্যদণ্ড দেয় তখন সে সংক্রান্ত কার্যক্রম [হাইকোর্ট বিভাগের] কাছে পেশ করতে হবে এবং [হাইকোট বিভাগ] অনুমোদন না করলে সেই মৃতু্যদণ্ড কার্যকর করা যাবে না।
৩৭৬। দণ্ডাদেশ অনুমোদন বা দোষী সাব্যস্তকরণ রদ করতে হাইকোর্ট বিভাগের মতা। ৩৭৪ ধারার অধীনে পেশকৃত যে কোন মামলায় হাইকোর্ট ডিভিশন _ক) দণ্ডাদেশ অনুমোদন করতে পারে কিংবা আইনে যুক্তিযুক্ত প্রতিপন্ন হয় এমন অন্য কোন দণ্ডাদেশ দিতে পারে, কিংবা
(খ) দোষসী সাব্যস্তকরণ রদ করতে পারেন এবং দায়রা আদালত দোষী সাব্যস্ত করতে পারত এমন যে কোন অভিযোগে আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারেন কিংবা একই অভিযোগে অথবা সংশোধিত অভিযোগে নতুন করে বিচারের নির্দেশ দিতে পারেন কিংবা
গ) আসামীকে খালাস দিতে পারেন :
শর্ত থাকে যে, আপীল করার জন্য অনুমোদিত সময়সীমা অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত কিংবা ঐ সময়সীমার মধ্যে আপীল পেশ করা হলে সেই আপীলের নি্#৬৩৭৪৩;ত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই ধারায় দণ্ডাদেশ অনুমোদনের কোন আদেশ দেয়া হবে না। (ক্রমশ)
No comments