জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি ॥ নির্মল সেন by খোকন আহম্মেদ হীরা
বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট, বাম রাজনীতির পুরোধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল সেনের ৮২তম জন্মদিন আজ। ১৯৩০ সালের ৩ আগস্ট তিনি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দীঘিরপাড় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম সুরেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত ও মাতার নাম লাবণ্য প্রভা সেনগুপ্ত। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে নির্মল সেন পঞ্চম।
নির্মল সেনের পিতা সুরেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত কোটালীপাড়ার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের গণিত শিক্ষক ছিলেন। এর আগে তিনি ঢাকার ইস্ট বেঙ্গল ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা করতেন। দেশ বিভক্তির পরে নির্মল সেনের পিতা-মাতা অন্য ভাই-বোনদের সঙ্গে নিয়ে কলকাতা চলে যান। জন্মভূমির প্রতি অকুণ্ঠ ভালবাসার কারণে তিনি (নির্মল সেন) দেশেই থেকে যান। নির্মল সেন বড় হয়েছেন ঝালকাঠি জেলায় তার পিসির বাড়িতে। তিনি ঝালকাঠি জেলার কলসকাঠি বিএম একাডেমী থেকে ১৯৪৪ সালে ১৪ বছর বয়সে ম্যাট্রিক পাস করেন। পিসির বাড়িতে যাওয়ার আগে নির্মল সেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার জিটি স্কুলে ৪র্থ শ্রেণীতে এক বছর লেখাপড়া করেছেন। এছাড়া তিনি বরিশাল বিএম কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ও মাস্টার্স পাস করেন।
নির্মল সেনের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের মাধ্যমে স্কুল জীবন থেকে। কলেজ জীবনে তিনি অনুশীলন সমিতির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আরএসপিতে যোগদান করেন। দীর্ঘদিন তিনি শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সভাপতি। রাজনীতি করতে গিয়ে নির্মল সেনকে জীবনের অনেকটা সময় জেলে কাটাতে হয়েছে। ১৯৬৯ সালে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার মধ্য দিয়ে নির্মল সেন তাঁর সাংবাদিক জীবন শুরু করেন। তারপর দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক বাংলা পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিষয়ে অতিথি শিক্ষক হিসেবে তিনি শিক্ষকতা করেছেন। লেখক হিসেবেও নির্মল সেনের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তাঁর লেখা পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ, মানুষ সমাজ রাষ্ট্র, বার্লিন থেকে মস্কো, মা জন্মভূমি, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই, আমার জবানবন্দী হচ্ছে উল্লেখযোগ্য।
নির্মল সেন ২০০৩ সালে ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এরপর দেশে বিদেশের অনেক চিকিৎসার পরে বর্তমানে তিনি গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এখন তাঁর সময় কাটে রেডিও শুনে। চোখে কম দেখার কারণে তাঁকে পত্রিকা পড়ে শোনাতে হয়। নির্মল সেনের জীবনের শেষ ইচ্ছে তাঁর বাড়িতে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা। নির্মল সেনের ভাতিজা কংকন সেন বলেন, এ বছর আমরা পারিবারিকভাবেই জেঠুর (নির্মল সেন) জন্মদিন পালন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।
নির্মল সেনের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের মাধ্যমে স্কুল জীবন থেকে। কলেজ জীবনে তিনি অনুশীলন সমিতির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আরএসপিতে যোগদান করেন। দীর্ঘদিন তিনি শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সভাপতি। রাজনীতি করতে গিয়ে নির্মল সেনকে জীবনের অনেকটা সময় জেলে কাটাতে হয়েছে। ১৯৬৯ সালে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার মধ্য দিয়ে নির্মল সেন তাঁর সাংবাদিক জীবন শুরু করেন। তারপর দৈনিক আজাদ, দৈনিক পাকিস্তান, দৈনিক বাংলা পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। তিনি বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিষয়ে অতিথি শিক্ষক হিসেবে তিনি শিক্ষকতা করেছেন। লেখক হিসেবেও নির্মল সেনের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। তাঁর লেখা পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ, মানুষ সমাজ রাষ্ট্র, বার্লিন থেকে মস্কো, মা জন্মভূমি, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই, আমার জবানবন্দী হচ্ছে উল্লেখযোগ্য।
নির্মল সেন ২০০৩ সালে ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। এরপর দেশে বিদেশের অনেক চিকিৎসার পরে বর্তমানে তিনি গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন। এখন তাঁর সময় কাটে রেডিও শুনে। চোখে কম দেখার কারণে তাঁকে পত্রিকা পড়ে শোনাতে হয়। নির্মল সেনের জীবনের শেষ ইচ্ছে তাঁর বাড়িতে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করা। নির্মল সেনের ভাতিজা কংকন সেন বলেন, এ বছর আমরা পারিবারিকভাবেই জেঠুর (নির্মল সেন) জন্মদিন পালন করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।
No comments