রাজধানীর এক-তৃতীয়াংশ এলাকার বর্জ্য ও দূষিত পানি বেগুনবাড়ী খালে পড়ে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে-হাতিরঝিল প্রকল্প চালু না হতেই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছে by ইফতেখার মাহমুদ
বেগুনবাড়ী-হাতিরঝিল প্রকল্পের বর্জ্য নিষ্কাশনব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। রাজধানীর এক-তৃতীয়াংশ এলাকার বর্জ্য ও দূষিত পানি বেগুনবাড়ী খালে ছড়িয়ে পড়ছে। আর ভাসমান মলমূত্র এবং গৃহস্থ ও শিল্পবর্জ্য আশপাশ এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
হাতিরঝিল প্রকল্পের পান্থপথ অংশ থেকে রামপুরার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত ঘুরে কোথাও স্বচ্ছ পানির দেখা মেলেনি। কারওয়ান বাজার ও তেজগাঁও এলাকায় বেগুনবাড়ী খালের অংশের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। কোথাও কোথাও দেখা গেল, বর্জ্য থেকে উৎপন্ন গ্যাস বুদ্বুদের মতো উঠে পানিতে ফেনা তুলছে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্প সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ধানমন্ডি লেকের আদলে নগরবাসীর বেড়ানোর জন্য একটি উপযুক্ত স্থান হিসেবে প্রকল্পটি গড়ে উঠছে। প্রকল্পের ৩০০ একর এলাকায় ইতিমধ্যে ১৬ কিলোমিটার সড়ক, সাতটি সেতু, দুটি ওভারপাস, ২০ কিলোমিটার হাঁটার রাস্তা এবং ফুটপাত তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য ছিল হাতিরঝিল ও বেগুনবাড়ী খালের পানি দূষণমুক্ত করা এবং রাজধানীর জলাবদ্ধতা দূর করা।
মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী, বর্জ্যযুক্ত পানিনিষ্কাশনের জন্য ১২টি নিষ্কাশন-কাঠামো বা স্পেশাল স্যুয়ারেজ ডাইভারসন স্ট্রাকচার (এসএসডিএস) তৈরি করা হয়। পরিকল্পনা ছিল নিষ্কাশন-কাঠামোতে কিছু বর্জ্য পরিশোধিত হয়ে তা বিশেষ নালায় এসে পড়বে। আর ওই নালার শেষ মাথায় স্থাপন করা হবে দৈনিক পাঁচ লাখ লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পানি পরিশোধন কেন্দ্র। কিন্তু ওই পরিশোধন কেন্দ্রের প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ মাত্র শুরু হয়েছে।
ভরা বর্ষায় এসে যখন পানির প্রবাহ বেড়ে যায়, তখনই বিকল্প খালটি কেটে দেওয়া হয়। ফলে নিষ্কাশন-কাঠামো উপচে বর্জ্যযুক্ত পানি সরাসরি খালের মধ্যে পড়তে শুরু করেছে।
ইস্কাটন এলাকায় বেগুনবাড়ী খালের বাসিন্দা শামিম হোসেনকে নাকে রুমাল দিয়ে খালের পাড়ে দাঁড়াতে দেখা গেল। তিনি জানান, আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পেতে বাড়ির জানালা বন্ধ করে রাখছেন। দিন যত যাচ্ছে, দুর্গন্ধ তত বাড়ছে।
প্রকল্পের পরামর্শক সংস্থা বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের বর্জ্য পরিশোধন-ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। খালের মধ্যে পড়া ওই বর্জ্যযুক্ত পানি সহনীয় পর্যায়ে আনতে আরও কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগবে। আর পানিকে ধানমন্ডি খালের পর্যায়ে স্বচ্ছ এবং দুর্গন্ধমুক্ত করতে তিন বছর সময় লাগবে।
বেগুনবাড়ী-হাতিরঝিল প্রকল্পের উপপরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ারউদ্দিন এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, খালের পানিকে পূর্ণাঙ্গভাবে দূষণমুক্ত করতে সময় লাগবে। দাশেরকান্দি পানি শোধনাগার তৈরি না হলে খালের মধ্যে আসা দূষিত পানি পরিশোধন করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পানিকে দূষণ ও দুর্গন্ধমুক্ত করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে আলোচনা চলছে। দ্রুত এ ব্যাপারে উদ্যোগ শুরু হবে।
হাতিরঝিল প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্জ্যযুক্ত দূষিত পানিকে আপাতত পাম্প করে রামপুরা খালের নিচে ফেলা হবে। কিন্তু ওই খালের দুই পাশে গড়ে উঠেছে আফতাবনগরসহ বেশ কয়েকটি আবাসন প্রকল্প। খালের দূষিত পানি সেখানে ফেললে ওই এলাকায় বড় ধরনের পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুয়েটের সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিদিন চার লাখ ৯০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্যযুক্ত পানি বেগুনবাড়ী খালে এসে পড়ে। রাজধানীর গৃহস্থ বর্জ্য এবং বৃষ্টির পানি একই নালা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে খালের পানির সঙ্গে মিশছে। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় প্রায় ৩০০ শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত হওয়া বর্জ্য। এই বর্জ্য পরিশোধন ও নিয়ন্ত্রণের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা এখনো তৈরি হয়নি।
বেগুনবাড়ী-হাতিরঝিল প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। খালের দুই পাশের সড়ক ও হাঁটার রাস্তা এবং সেতু নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি), কারিগরি পরামর্শ ও বিশদ পরিকল্পনায় বুয়েট, বৃষ্টির পানি ও পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ঢাকা ওয়াসা ও প্রধান সড়কসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ।
বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও প্রকল্পের প্রধান পরামর্শক মুজিবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কোনো আদর্শ পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করছি না। ঢাকা ওয়াসার স্যুয়ারেজ ও বৃষ্টির পানির লাইন এক হয়ে আছে। সম্মিলিত পানিপ্রবাহের গতি বর্ষাকালে এসে তীব্র হয়ে গেছে। ফলে বর্জ্যপানি নিয়ন্ত্রণকাঠামো কাজ করছে না। পানিকাঠামো ও নালা টপকে খালের মধ্যে ঢুকে পড়ছে।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা ওয়াসার বৃষ্টির পানি ও পয়োবর্জ্য একই নালা দিয়ে নিষ্কাশন হওয়ার বিষয়টি অনেক পুরোনো।
প্রকল্পের পরামর্শক সংস্থা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বেগুনবাড়ী খালের ৩০০ একর এলাকায় ধেয়ে আসা বর্জ্য এত দিন একটি অস্থায়ী বিকল্প খালের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করা হতো। শুষ্ক মৌসুমে পানির প্রবাহ কম ছিল, ফলে ওই সময়টায় খাল খনন করে গভীরতা বাড়ানোসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়।
নির্মাণকাজ প্রায় শেষ হয়ে এলে বিকল্প অস্থায়ী খালটি কেটে মূল খালের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তেজগাঁও শিল্প এলাকা, সোনারগাঁও হোটেল ও মগবাজার এলাকায় দীর্ঘদিন জমে থাকা বর্জ্য একসঙ্গে খালের মধ্যে পড়ে।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ী প্রকল্প সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ধানমন্ডি লেকের আদলে নগরবাসীর বেড়ানোর জন্য একটি উপযুক্ত স্থান হিসেবে প্রকল্পটি গড়ে উঠছে। প্রকল্পের ৩০০ একর এলাকায় ইতিমধ্যে ১৬ কিলোমিটার সড়ক, সাতটি সেতু, দুটি ওভারপাস, ২০ কিলোমিটার হাঁটার রাস্তা এবং ফুটপাত তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য ছিল হাতিরঝিল ও বেগুনবাড়ী খালের পানি দূষণমুক্ত করা এবং রাজধানীর জলাবদ্ধতা দূর করা।
মূল পরিকল্পনা অনুযায়ী, বর্জ্যযুক্ত পানিনিষ্কাশনের জন্য ১২টি নিষ্কাশন-কাঠামো বা স্পেশাল স্যুয়ারেজ ডাইভারসন স্ট্রাকচার (এসএসডিএস) তৈরি করা হয়। পরিকল্পনা ছিল নিষ্কাশন-কাঠামোতে কিছু বর্জ্য পরিশোধিত হয়ে তা বিশেষ নালায় এসে পড়বে। আর ওই নালার শেষ মাথায় স্থাপন করা হবে দৈনিক পাঁচ লাখ লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পানি পরিশোধন কেন্দ্র। কিন্তু ওই পরিশোধন কেন্দ্রের প্রাথমিক সমীক্ষার কাজ মাত্র শুরু হয়েছে।
ভরা বর্ষায় এসে যখন পানির প্রবাহ বেড়ে যায়, তখনই বিকল্প খালটি কেটে দেওয়া হয়। ফলে নিষ্কাশন-কাঠামো উপচে বর্জ্যযুক্ত পানি সরাসরি খালের মধ্যে পড়তে শুরু করেছে।
ইস্কাটন এলাকায় বেগুনবাড়ী খালের বাসিন্দা শামিম হোসেনকে নাকে রুমাল দিয়ে খালের পাড়ে দাঁড়াতে দেখা গেল। তিনি জানান, আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পেতে বাড়ির জানালা বন্ধ করে রাখছেন। দিন যত যাচ্ছে, দুর্গন্ধ তত বাড়ছে।
প্রকল্পের পরামর্শক সংস্থা বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের বর্জ্য পরিশোধন-ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় এই বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। খালের মধ্যে পড়া ওই বর্জ্যযুক্ত পানি সহনীয় পর্যায়ে আনতে আরও কমপক্ষে তিন মাস সময় লাগবে। আর পানিকে ধানমন্ডি খালের পর্যায়ে স্বচ্ছ এবং দুর্গন্ধমুক্ত করতে তিন বছর সময় লাগবে।
বেগুনবাড়ী-হাতিরঝিল প্রকল্পের উপপরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ারউদ্দিন এ ব্যাপারে প্রথম আলোকে বলেন, খালের পানিকে পূর্ণাঙ্গভাবে দূষণমুক্ত করতে সময় লাগবে। দাশেরকান্দি পানি শোধনাগার তৈরি না হলে খালের মধ্যে আসা দূষিত পানি পরিশোধন করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, পানিকে দূষণ ও দুর্গন্ধমুক্ত করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে আলোচনা চলছে। দ্রুত এ ব্যাপারে উদ্যোগ শুরু হবে।
হাতিরঝিল প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্জ্যযুক্ত দূষিত পানিকে আপাতত পাম্প করে রামপুরা খালের নিচে ফেলা হবে। কিন্তু ওই খালের দুই পাশে গড়ে উঠেছে আফতাবনগরসহ বেশ কয়েকটি আবাসন প্রকল্প। খালের দূষিত পানি সেখানে ফেললে ওই এলাকায় বড় ধরনের পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বুয়েটের সমীক্ষা অনুযায়ী, প্রতিদিন চার লাখ ৯০ হাজার ঘনমিটার বর্জ্যযুক্ত পানি বেগুনবাড়ী খালে এসে পড়ে। রাজধানীর গৃহস্থ বর্জ্য এবং বৃষ্টির পানি একই নালা দিয়ে প্রবাহিত হয়ে খালের পানির সঙ্গে মিশছে। এর সঙ্গে যোগ হচ্ছে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় প্রায় ৩০০ শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত হওয়া বর্জ্য। এই বর্জ্য পরিশোধন ও নিয়ন্ত্রণের কোনো কার্যকর ব্যবস্থা এখনো তৈরি হয়নি।
বেগুনবাড়ী-হাতিরঝিল প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। খালের দুই পাশের সড়ক ও হাঁটার রাস্তা এবং সেতু নির্মাণ করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি), কারিগরি পরামর্শ ও বিশদ পরিকল্পনায় বুয়েট, বৃষ্টির পানি ও পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ঢাকা ওয়াসা ও প্রধান সড়কসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ।
বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ও প্রকল্পের প্রধান পরামর্শক মুজিবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কোনো আদর্শ পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করছি না। ঢাকা ওয়াসার স্যুয়ারেজ ও বৃষ্টির পানির লাইন এক হয়ে আছে। সম্মিলিত পানিপ্রবাহের গতি বর্ষাকালে এসে তীব্র হয়ে গেছে। ফলে বর্জ্যপানি নিয়ন্ত্রণকাঠামো কাজ করছে না। পানিকাঠামো ও নালা টপকে খালের মধ্যে ঢুকে পড়ছে।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা ওয়াসার বৃষ্টির পানি ও পয়োবর্জ্য একই নালা দিয়ে নিষ্কাশন হওয়ার বিষয়টি অনেক পুরোনো।
প্রকল্পের পরামর্শক সংস্থা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বেগুনবাড়ী খালের ৩০০ একর এলাকায় ধেয়ে আসা বর্জ্য এত দিন একটি অস্থায়ী বিকল্প খালের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করা হতো। শুষ্ক মৌসুমে পানির প্রবাহ কম ছিল, ফলে ওই সময়টায় খাল খনন করে গভীরতা বাড়ানোসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়।
নির্মাণকাজ প্রায় শেষ হয়ে এলে বিকল্প অস্থায়ী খালটি কেটে মূল খালের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তেজগাঁও শিল্প এলাকা, সোনারগাঁও হোটেল ও মগবাজার এলাকায় দীর্ঘদিন জমে থাকা বর্জ্য একসঙ্গে খালের মধ্যে পড়ে।
No comments