জাতির পিতাকে ১৫ কোটি মানুষের মধ্যেই রাখা উচিত গাফ্্ফার চৌধুরী by সমুদ্র হক
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্দিষ্ট একটি দলের মধ্যে আবদ্ধ না রেখে এ দেশের ১৫ কোটি মানুষের মধ্যে রাখা উচিত। দেশের তথা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস একেক সময় একেক রকম হয়ে যাচ্ছে। সকল মতের উর্ধে উঠে সাংবাদিকরাই পারে আগামী প্রজন্মকে এই বাংলা আলোয় পথ দেখাতে।
সাংবাদিকদের মধ্যে যে বিভাজন তৈরি হয়ে আছে সাংবাদিকদের স্বার্থেই এই বিভাজন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপড়ে ফেলা দরকার। প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী সোমবার রাতে বগুড়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে অনত্মরঙ্গ আলাপে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিইউজে) সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে সংবর্ধনা দেয়। প্রেসকাব মিলনায়তনে বিইউজে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার আগমনের পর সাংবাদিক তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন। সত্তরোর্ধ বয়সেও এই শীতে সারা দিনের কানত্মি তাঁকে মোটেও কাবু করতে পারেনি। তারম্নণ্যের উদ্দীপনার ছাপ তাঁর চোখেমুখে। রাতে বাইরে যখন শিশির ঘন হয়ে ঝরছে, লোক চলাচল কমে গিয়েছে তখন প্রেসকাব মিলনায়তন ভরা সাংবাদিকদের উষ্ণতায় লন্ডন প্রবাসী আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী সবাইকে আপন করে নিয়ে সাংবাদিকতায় তাঁর যৌবনের স্মৃতির পাতা মেলে ধরলেন । বললেন, যৌবনের দিনগুলোতে ঢাকায় সাংবাদিকতার জীবনে সাংবাদিকদের মধ্যে মতের ভিন্নতা থাকলেও পেশায় তাঁরা ছিলেন এক ও অভিন্ন। দেশের সঙ্কটময় অনেক মুহূর্তে সাংবাদিকরা এক হয়ে দেশপ্রেমের অনেক দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এমনকি যে দায়িত্ব রাজনৈতিক দলের করার কথা সেই দায়িত্ব জাতীয় দায়িত্ব ভেবে অনেক সময় সাংবাদিকরা পালন করে গেছেন অকুণ্ঠচিত্তে। তখন বিভাজনের কথা কেউ ভাবেনি। ব্যথিত হয়ে তিনি বলেন, আজকের দিনে সাংবাদিকদের এই বিভাজন পেশাকেই কলুষিত করেছে। সাংবাদিক সমাজ একতাবদ্ধ হয়ে থাকলে গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে, কোন কৃষ্ণপ আসবে না। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বললেন, জাতির পিতাকে কেন আমরা একটি দলের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তো বাঙালী জাতির জনক। স্মৃতির একটি অধ্যায়ের কথা তুলে ধরলেন এভাবে_ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাটিসবার্গ শহরে আব্রাহাম লিঙ্কনের বাড়ি দেখতে গিয়েছিলেন। আমেরিকার গণতন্ত্রের 'সেভিয়ার' আব্রাহাম লিঙ্কন গণতন্ত্রের সংজ্ঞা দিয়েছিলেন 'অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল...'। বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন লিঙ্কন কোন্ দলের! উত্তর পেয়েছিলেন-লিঙ্কনকে নিয়ে এমন কথা জিজ্ঞাসা করা আমেরিকায় ক্রাইম। তিনি (আব্রাহাম লিঙ্কন) সকল মানুষের, যেমন আমেরিকার লিবারেটর ওয়াশিংটন সকল মানুষের। স্মৃতিচারণের পালায় বর্তমান সরকারের দিনবদলের কথাও এলো তাঁর কণ্ঠে। এক বছর পূর্তিতে বর্তমান সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা দুই-ই আছে। দেশের মানুষ সাফল্যের মুখ দেখে খুশি হয়েছে, ব্যর্থতা দেখে কষ্টও পেয়েছে। তবে সরকার সব বাধা অতিক্রম করে যেতে পারলে সাফল্য আসবেই। দিনবদলকে শুধু সেস্নাগান হিসেবে প্রচার করলে হবে না, দিন কী ভাবে পাল্টাতে হয় সেই বিষয়ে দৃষ্টি দিয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে গেলে সফলতা আসবে। বিরোধী দলকে আনতে হবে সংসদে। বিরোধী দলকেও পালন করতে হবে যথার্থ ভূমিকা। এই অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ ইফতেখারম্নল ইসলাম খান। বিএফইউজের সহসভাপতি আখতারম্নজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় পিনপতন নীরবতায় প্রায় এক ঘণ্টা বক্তব্য রাখেন অবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি বলেন, যে যে পত্রিকাতেই কাজ করম্নন সাংবাদিকতার স্বার্থে সকলকে এক হতে হবে। জাতির উন্নয়নে সাংবাদিকরা পারে পথ প্রদর্শন করতে। তাঁর যৌবনের সাংবাদিকতার এবং বর্তমান সাংবাদিকতার অনেক উদাহরণ দিলেন তিনি। বগুড়ায় তাঁর আগমন এই প্রথম। বগুড়ার সাংবাদিকরা তাঁকে কাছে পেয়ে যে ধন্য এমন কথা বললেন বক্তারা। সবাই দেখলেন, শীতের রাতেও কেমন কানত্মিহীন এগিয়ে যাচ্ছেন বরেণ্য সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। শেষে বললেন, তিনি জীবনের শ্রেষ্ঠ কিছু রেখে যেতে চান, জাতির পিতাকে নিয়ে তিনি একটি ছবি বানাচ্ছেন, যে ছবি বর্তমান প্রজন্মকে দেখাবে আলোর পথ।
সাংবাদিকদের মধ্যে যে বিভাজন তৈরি হয়ে আছে সাংবাদিকদের স্বার্থেই এই বিভাজন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উপড়ে ফেলা দরকার। প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী সোমবার রাতে বগুড়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে অনত্মরঙ্গ আলাপে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিইউজে) সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে সংবর্ধনা দেয়। প্রেসকাব মিলনায়তনে বিইউজে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তার আগমনের পর সাংবাদিক তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে বরণ করে নেন। সত্তরোর্ধ বয়সেও এই শীতে সারা দিনের কানত্মি তাঁকে মোটেও কাবু করতে পারেনি। তারম্নণ্যের উদ্দীপনার ছাপ তাঁর চোখেমুখে। রাতে বাইরে যখন শিশির ঘন হয়ে ঝরছে, লোক চলাচল কমে গিয়েছে তখন প্রেসকাব মিলনায়তন ভরা সাংবাদিকদের উষ্ণতায় লন্ডন প্রবাসী আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী সবাইকে আপন করে নিয়ে সাংবাদিকতায় তাঁর যৌবনের স্মৃতির পাতা মেলে ধরলেন । বললেন, যৌবনের দিনগুলোতে ঢাকায় সাংবাদিকতার জীবনে সাংবাদিকদের মধ্যে মতের ভিন্নতা থাকলেও পেশায় তাঁরা ছিলেন এক ও অভিন্ন। দেশের সঙ্কটময় অনেক মুহূর্তে সাংবাদিকরা এক হয়ে দেশপ্রেমের অনেক দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এমনকি যে দায়িত্ব রাজনৈতিক দলের করার কথা সেই দায়িত্ব জাতীয় দায়িত্ব ভেবে অনেক সময় সাংবাদিকরা পালন করে গেছেন অকুণ্ঠচিত্তে। তখন বিভাজনের কথা কেউ ভাবেনি। ব্যথিত হয়ে তিনি বলেন, আজকের দিনে সাংবাদিকদের এই বিভাজন পেশাকেই কলুষিত করেছে। সাংবাদিক সমাজ একতাবদ্ধ হয়ে থাকলে গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হবে, কোন কৃষ্ণপ আসবে না। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বললেন, জাতির পিতাকে কেন আমরা একটি দলের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তো বাঙালী জাতির জনক। স্মৃতির একটি অধ্যায়ের কথা তুলে ধরলেন এভাবে_ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্যাটিসবার্গ শহরে আব্রাহাম লিঙ্কনের বাড়ি দেখতে গিয়েছিলেন। আমেরিকার গণতন্ত্রের 'সেভিয়ার' আব্রাহাম লিঙ্কন গণতন্ত্রের সংজ্ঞা দিয়েছিলেন 'অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল...'। বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন লিঙ্কন কোন্ দলের! উত্তর পেয়েছিলেন-লিঙ্কনকে নিয়ে এমন কথা জিজ্ঞাসা করা আমেরিকায় ক্রাইম। তিনি (আব্রাহাম লিঙ্কন) সকল মানুষের, যেমন আমেরিকার লিবারেটর ওয়াশিংটন সকল মানুষের। স্মৃতিচারণের পালায় বর্তমান সরকারের দিনবদলের কথাও এলো তাঁর কণ্ঠে। এক বছর পূর্তিতে বর্তমান সরকারের সাফল্য-ব্যর্থতা দুই-ই আছে। দেশের মানুষ সাফল্যের মুখ দেখে খুশি হয়েছে, ব্যর্থতা দেখে কষ্টও পেয়েছে। তবে সরকার সব বাধা অতিক্রম করে যেতে পারলে সাফল্য আসবেই। দিনবদলকে শুধু সেস্নাগান হিসেবে প্রচার করলে হবে না, দিন কী ভাবে পাল্টাতে হয় সেই বিষয়ে দৃষ্টি দিয়ে সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে গেলে সফলতা আসবে। বিরোধী দলকে আনতে হবে সংসদে। বিরোধী দলকেও পালন করতে হবে যথার্থ ভূমিকা। এই অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ ইফতেখারম্নল ইসলাম খান। বিএফইউজের সহসভাপতি আখতারম্নজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় পিনপতন নীরবতায় প্রায় এক ঘণ্টা বক্তব্য রাখেন অবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। তিনি বলেন, যে যে পত্রিকাতেই কাজ করম্নন সাংবাদিকতার স্বার্থে সকলকে এক হতে হবে। জাতির উন্নয়নে সাংবাদিকরা পারে পথ প্রদর্শন করতে। তাঁর যৌবনের সাংবাদিকতার এবং বর্তমান সাংবাদিকতার অনেক উদাহরণ দিলেন তিনি। বগুড়ায় তাঁর আগমন এই প্রথম। বগুড়ার সাংবাদিকরা তাঁকে কাছে পেয়ে যে ধন্য এমন কথা বললেন বক্তারা। সবাই দেখলেন, শীতের রাতেও কেমন কানত্মিহীন এগিয়ে যাচ্ছেন বরেণ্য সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী। শেষে বললেন, তিনি জীবনের শ্রেষ্ঠ কিছু রেখে যেতে চান, জাতির পিতাকে নিয়ে তিনি একটি ছবি বানাচ্ছেন, যে ছবি বর্তমান প্রজন্মকে দেখাবে আলোর পথ।
No comments