ছয় বছরেও তানোরের সেতুর সড়ক হয়নি, মামলাও ঝুলছে by আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ
রাজশাহীর তানোরে রাস্তাঘাট ছাড়াই সেতু নির্মাণ করে সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগে দায়ের করা মামলাটি এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। সেতুটির রাস্তার জন্য সরকার থেকে বরাদ্দের প্রস্তাব এলেও অপ্রয়োজনীয় সেতু বলে তা ফেরত দেওয়া হয়েছে। ছয় বছর আগে নির্মিত সেতুটি ফাঁকা মাঠের মধ্যে তেমনি রয়েছে।
গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক চান্দুড়িয়া ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন ও বিএনপিদলীয় সাবেক সাংসদ ও মন্ত্রী আমিনুল হকের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়েই দুদক অভিযোগপত্র দায়ের করে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আমিনুল হক এ বিষয়ে হাইকোর্টে মিস মামলা করলে ২০১১ সালের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট মামলার রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। এখন পর্যন্ত সেই রুলের নিষ্পত্তি হয়নি। মফিজ উদ্দিনও এই মামলার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মিস মামলা দায়ের করেন। আদালত তাঁর পক্ষে ২০১১ সালের ২০ জুন মামলার যাবতীয় কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দেন। একই বছর ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট পুনরায় ছয় মাসের জন্য স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। গত ১৩ জুন সেই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মফিজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলার জন্য ৩১ জুলাই তাঁর মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই সেতুটির রাস্তা তৈরির জন্য ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানের আপত্তির কারণে তা ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে চান্দুড়িয়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, ‘এই এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য এ সেতুর আসলে কোনো প্রয়োজন নেই। শুধু সরকারি অর্থেরই অপচয় হবে।’
২০০৬ সালের ১৫ মার্চ তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আমিনুল হক সেতুটির উদ্বোধন করেন। চান্দুড়িয়া-মৌগাছি রাস্তার চান্দুড়িয়া খালের ওপরে ৩৭ দশমিক ৫০ ফুট লম্বা এই সেতুটির নির্মাণ করতে প্রায় ১৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সেতুর কোনো পাশেই কোনো রাস্তাঘাট নেই। এর পূর্ব পাশে রয়েছে পনি উন্নয়ন বোর্ডের একটি বাঁধ। আর পশ্চিম পাশে রয়েছে চান্দুড়িয়া গ্রাম। প্রায় আধা কিলোমিটার ধানখেত মাড়িয়ে সেখানে যেতে হয়।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, তৎকালীন ইউপি চেয়াম্যান মফিজ উদ্দিন নিজের জমিতে যাতায়াতের সুবিধার্থে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রাস্তাঘাট ছাড়াই এই সেতুটি নির্মাণ করার ব্যবস্থা করেন। মফিজ উদ্দিন ২০০৭ সালে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, চান্দুড়িয়া-মৌগাছি হাটের সঙ্গে যোগযোগের জন্য সেতুটি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম আলোকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আমিনুল হক এ বিষয়ে হাইকোর্টে মিস মামলা করলে ২০১১ সালের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট মামলার রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মামলার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। এখন পর্যন্ত সেই রুলের নিষ্পত্তি হয়নি। মফিজ উদ্দিনও এই মামলার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মিস মামলা দায়ের করেন। আদালত তাঁর পক্ষে ২০১১ সালের ২০ জুন মামলার যাবতীয় কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করার নির্দেশ দেন। একই বছর ১৩ ডিসেম্বর হাইকোর্ট পুনরায় ছয় মাসের জন্য স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। গত ১৩ জুন সেই মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মফিজ উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলার জন্য ৩১ জুলাই তাঁর মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই সেতুটির রাস্তা তৈরির জন্য ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প প্রস্তাব এসেছিল। কিন্তু ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যানের আপত্তির কারণে তা ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে চান্দুড়িয়া ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন, ‘এই এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য এ সেতুর আসলে কোনো প্রয়োজন নেই। শুধু সরকারি অর্থেরই অপচয় হবে।’
২০০৬ সালের ১৫ মার্চ তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আমিনুল হক সেতুটির উদ্বোধন করেন। চান্দুড়িয়া-মৌগাছি রাস্তার চান্দুড়িয়া খালের ওপরে ৩৭ দশমিক ৫০ ফুট লম্বা এই সেতুটির নির্মাণ করতে প্রায় ১৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। সেতুর কোনো পাশেই কোনো রাস্তাঘাট নেই। এর পূর্ব পাশে রয়েছে পনি উন্নয়ন বোর্ডের একটি বাঁধ। আর পশ্চিম পাশে রয়েছে চান্দুড়িয়া গ্রাম। প্রায় আধা কিলোমিটার ধানখেত মাড়িয়ে সেখানে যেতে হয়।
স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, তৎকালীন ইউপি চেয়াম্যান মফিজ উদ্দিন নিজের জমিতে যাতায়াতের সুবিধার্থে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে রাস্তাঘাট ছাড়াই এই সেতুটি নির্মাণ করার ব্যবস্থা করেন। মফিজ উদ্দিন ২০০৭ সালে প্রথম আলোকে বলেছিলেন, চান্দুড়িয়া-মৌগাছি হাটের সঙ্গে যোগযোগের জন্য সেতুটি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম আলোকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
No comments