খালাফ হত্যারহস্য উদ্ঘাটনে সৌদি দূতাবাসের সন্তোষ
দ্রুততার সঙ্গে চাঞ্চল্যকর খালাফ আল আলী হত্যাকা-ের রহস্য উদ্ঘাটন করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশস্থ সৌদি দূতাবাস। খালাফ হত্যাকা-ে ৫ ছিনতাইকারী জড়িত। এর মধ্যে মূল ৪ আসামিকেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। বাকি একজনকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ২ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। বাকি ২ জনকে দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। রিমান্ডে পাওয়া তথ্য মোতাবেক বাকি এক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।
গত ৫ মার্চ খালাফ আল আলী বাসার কাছেই হাঁটছিলেন। খালাফ সাধারণত অনেক রাত পর্যন্ত হাঁটতেন। এ সময় প্রাইভেটকারযোগে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সেখানে হাজির হয় ৫ ছিনতাইকারী। তারা খালাফকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। খালাফের দেহ তল্লাশি করে। তল্লাশি করে কিছু না পেয়ে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ছিনতাইকারীরা। এতে খালাফ উত্তেজিত হয়ে ছিনতাইকারীদের গালিগালাজের জবাব দিতে গিয়ে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় নেশার ঘুরে খালাফকে গুলি চালিয়ে দেয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে খালাফ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ছিনতাইকারীরা মৃত ভেবে রাজধানীর গুলশান-১ এর ১২০ নম্বর রোডের ১৯/বি নম্বর বাড়ির দেয়ালের পাশে ড্রেনের ওপর ফুল গাছের নিচে একটি সিমেন্টের পাটাতনের ওপর ফেলে রেখে চলে যায়।
রবিউল নমে এক নিরাপত্তাকর্মীর মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত সোয়া একটার দিকে পুলিশ খালাফকে অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করে। ভোর পৌনে ৫টার দিকে ইউনাইটেড হাসপাতালেই খালাফকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতের পরিচয় পাওয়া গেলে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়। খালাফ বাংলাদেশস্থ সৌদি দূতাবাসে প্রায় আড়াই বছর যাবত কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী কর্মস্থল জর্দানের রাজধানী আম্মানে যাওয়ার কথা ছিল খালাফ আল আলীর।
গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যার ঘটনা তদন্তে সৌদি আরব থেকে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ৪ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসে। বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল্লাহ বিন নাসের আল বুশারির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি ঘটনাস্থল ও খালাফের বাসভবন পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এর আগে গত ২১ মার্চ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সৌদি আরব সফরে গিয়েও এ নিয়ে আলোচনা করেন। পরে দীপু মনি সাংবাদিকদের জানান, খালাফ হত্যা তদন্তে ঢাকার পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কোন সহায়তা চাওয়া হয়নি। সৌদি আরব তদন্তে আসার আগ্রহ দেখানোর কারণে বাংলাদেশ তাতে সম্মত ও স্বাগত জানিয়েছে।
খালাফ হত্যাকান্ডের ঘটনা দেশে বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করলে শুরু হয় খুনীদের গ্রেফতারে নানামুখী অভিযান। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গত ২৪ জুলাই রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সাইফুল ইসলাম ওরফে মামুন, আল আমিন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি, রফিকুল ইসলাম ওরফে খোকনকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয় হত্যাকা-ে ব্যবহৃত রিভলভার ও প্রাইভেট কারটি। পরে গ্রেফতারকৃতদের প্রত্যেককে ৮ দিনের করে রিমান্ডে নেয়া হয়। ৮ দিনের রিমান্ড শেষে রফিকুল ইসলাম ওরফে খোকন ও সাইফুল ইসলাম ওরফে মামুন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। জবানবন্দীতে তারা খালাফ আল আলীকে হত্যাকা-ের কথা স্বীকার করে। ঘটনার দিন থাকা আরও একজনের সন্ধান জানতে গ্রেফতারকৃত বাকি দুইজন আল আমিন ও আকবর আলী লালু ওরফে রনিকে দ্বিতীয় মেয়াদে আবার রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানান, মূলত ছিনতাই করতে গিয়েই ৫ ছিনতাইকারী খালাফ আল আলীকে খুন করে। ৫ জনের মধ্যে মূল ৪ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি একজনকে গ্রেফতার করতে আল আমিন ও আকবর আলী লালুকে আবার রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
খালাফ হত্যাকা-ের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশস্থ সৌদি দূতাবাসের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে খালাফ হত্যাকা-ের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে বাংলাদেশস্থ সৌদি দূতাবাসকে। দূতাবাস হত্যাকা-ের তদন্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
গত ৫ মার্চ খালাফ আল আলী বাসার কাছেই হাঁটছিলেন। খালাফ সাধারণত অনেক রাত পর্যন্ত হাঁটতেন। এ সময় প্রাইভেটকারযোগে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সেখানে হাজির হয় ৫ ছিনতাইকারী। তারা খালাফকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। খালাফের দেহ তল্লাশি করে। তল্লাশি করে কিছু না পেয়ে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ছিনতাইকারীরা। এতে খালাফ উত্তেজিত হয়ে ছিনতাইকারীদের গালিগালাজের জবাব দিতে গিয়ে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় নেশার ঘুরে খালাফকে গুলি চালিয়ে দেয়। গুলিবিদ্ধ হয়ে খালাফ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে ছিনতাইকারীরা মৃত ভেবে রাজধানীর গুলশান-১ এর ১২০ নম্বর রোডের ১৯/বি নম্বর বাড়ির দেয়ালের পাশে ড্রেনের ওপর ফুল গাছের নিচে একটি সিমেন্টের পাটাতনের ওপর ফেলে রেখে চলে যায়।
রবিউল নমে এক নিরাপত্তাকর্মীর মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত সোয়া একটার দিকে পুলিশ খালাফকে অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করে গুলশান ইউনাইটেড হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করে। ভোর পৌনে ৫টার দিকে ইউনাইটেড হাসপাতালেই খালাফকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতের পরিচয় পাওয়া গেলে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়। খালাফ বাংলাদেশস্থ সৌদি দূতাবাসে প্রায় আড়াই বছর যাবত কর্মরত ছিলেন। পরবর্তী কর্মস্থল জর্দানের রাজধানী আম্মানে যাওয়ার কথা ছিল খালাফ আল আলীর।
গত এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহে সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যার ঘটনা তদন্তে সৌদি আরব থেকে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ৪ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসে। বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ড. আবদুল্লাহ বিন নাসের আল বুশারির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি ঘটনাস্থল ও খালাফের বাসভবন পরিদর্শন শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এর আগে গত ২১ মার্চ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি সৌদি আরব সফরে গিয়েও এ নিয়ে আলোচনা করেন। পরে দীপু মনি সাংবাদিকদের জানান, খালাফ হত্যা তদন্তে ঢাকার পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক কোন সহায়তা চাওয়া হয়নি। সৌদি আরব তদন্তে আসার আগ্রহ দেখানোর কারণে বাংলাদেশ তাতে সম্মত ও স্বাগত জানিয়েছে।
খালাফ হত্যাকান্ডের ঘটনা দেশে বিদেশে তোলপাড় সৃষ্টি করলে শুরু হয় খুনীদের গ্রেফতারে নানামুখী অভিযান। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ গত ২৪ জুলাই রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সাইফুল ইসলাম ওরফে মামুন, আল আমিন, আকবর আলী লালু ওরফে রনি, রফিকুল ইসলাম ওরফে খোকনকে গ্রেফতার করে। উদ্ধার হয় হত্যাকা-ে ব্যবহৃত রিভলভার ও প্রাইভেট কারটি। পরে গ্রেফতারকৃতদের প্রত্যেককে ৮ দিনের করে রিমান্ডে নেয়া হয়। ৮ দিনের রিমান্ড শেষে রফিকুল ইসলাম ওরফে খোকন ও সাইফুল ইসলাম ওরফে মামুন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। জবানবন্দীতে তারা খালাফ আল আলীকে হত্যাকা-ের কথা স্বীকার করে। ঘটনার দিন থাকা আরও একজনের সন্ধান জানতে গ্রেফতারকৃত বাকি দুইজন আল আমিন ও আকবর আলী লালু ওরফে রনিকে দ্বিতীয় মেয়াদে আবার রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম জনকণ্ঠকে জানান, মূলত ছিনতাই করতে গিয়েই ৫ ছিনতাইকারী খালাফ আল আলীকে খুন করে। ৫ জনের মধ্যে মূল ৪ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি একজনকে গ্রেফতার করতে আল আমিন ও আকবর আলী লালুকে আবার রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তাকে গ্রেফতার করতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
খালাফ হত্যাকা-ের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশস্থ সৌদি দূতাবাসের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে খালাফ হত্যাকা-ের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে বাংলাদেশস্থ সৌদি দূতাবাসকে। দূতাবাস হত্যাকা-ের তদন্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
No comments