'লিবিয়ায় সাইফের ন্যায়বিচার অসম্ভব'
মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল ইসলামের ন্যায়বিচারের কোনো সুযোগ লিবিয়ায় নেই। তাঁর বিচারের বিষয়টি অত্যন্ত 'অপরিবর্তনীয়ভাবে পক্ষপাতদুষ্ট' করে ফেলা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) সাইফের পক্ষের আইনজীবী মেলিন্ডা টেইলর গত শুক্রবার এ অভিযোগ করেছেন।
প্রায় চার সপ্তাহ লিবিয়ায় আটক থাকার পর গত সোমবার মেলিন্ডা মুক্তি পেয়েছেন।
লিবিয়ায় গাদ্দাফির সরকার পতনের প্রায় তিন মাস পর গত ১৯ নভেম্বর সাইফকে গ্রেপ্তার করে বিদ্রোহী বাহিনী। লিবিয়ার শাসনক্ষমতায় সাইফকেই গাদ্দাফির যোগ্য উত্তরাধিকারী বিবেচনা করা হতো। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে সাইফ ও গাদ্দাফি সরকারের গোয়েন্দা প্রধান আবদুল্লাহ সেনুসির বিরুদ্ধে আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। তবে সাইফকে বিচারের মুখোমুখি করা নিয়ে লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আইসিসির পরস্পরবিরোধী অবস্থান তৈরি হয়। আইসিসি নেদারল্যান্ডসের হেগে সাইফের বিচার করতে চাইছে। কিন্তু লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার সাইফকে স্থানীয় কোনো আদালতের কাঠগড়ায় তোলার পরিকল্পনা করছে। গত মে মাসে লিবীয় কর্মকর্তারা হেগে সাইফের বিচারের দাবি প্রত্যাহারের আহ্বান জানায় আইসিসির প্রতি। কিন্তু আইসিসি এখন পর্যন্ত তার অবস্থানে অনড় আছে।
আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার শুরুর ব্যাপারে কথা বলার জন্য অস্ট্রেলীয় আইনজীবী মেলিন্ডা টেইলর গত মাসের শুরুতে লিবিয়া যান। গত ৭ জুন লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জিনতানে মেলিন্ডা ও তাঁর তিন সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। লিবীয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে, সাইফকে তাঁর সাবেক ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোহাম্মদ ইসমাইলের পক্ষ থেকে সাংকেতিক একটি চিঠি ও কলমে লুকানো একটি ক্যামেরা পেঁৗছে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন মেলিন্ডা। লিবীয় কর্তৃপক্ষ ইসমাইলের সন্ধানে রয়েছে। মেলিন্ডার সঙ্গে তাঁর লেবাননি দোভাষী হেলেন আসাফ, রাশিয়ান আইনজীবী আলেঙ্ান্দার খোদাকভ ও স্পেনের নাগরিক এস্তেবান পেরালতা লোসিয়াও আটক হন। আইসিসির সঙ্গে এক চুক্তির আওতায় গত ২ জুলাই তাঁরা মুক্তি পান।
গত শুক্রবার নেদারল্যান্ডস থেকে মেলিন্ডা বলেন, 'সাইফ আল ইসলামের সঙ্গে আমার যোগাযোগসহ তাঁর অধিকার সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ই পক্ষপাতদুষ্ট করে ফেলা হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলি দেখে বিবাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আমার মনে হচ্ছে, লিবিয়ার কোনো আদালতে স্বাধীন বা পক্ষপাতহীনভাবে সাইফের বিচার করা সম্ভব নয়। সাইফের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি মূল্যায়ন করা হতে পারে আশঙ্কায় লিবীয় কর্তৃপক্ষ আমাদের ভুল পথে পরিচালিত করেছে।' মেলিন্ডা আরো অভিযোগ করেন, আইনজীবী হিসেবে এবং আইসিসির নির্দেশ মোতাবেক তিনি যেসব তথ্য বা দলিল চাইতে পারেন, সে ধরনের দলিলপত্রও জব্দ করে রাখা হয়েছে। আগামী বুধবারের মধ্যে মেলিন্ডা ও তাঁর সহযোগীদের লিবিয়ার ঘটনাবলির ব্যাপারে আইসিসির কাছে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
লিবিয়ায় গাদ্দাফির সরকার পতনের প্রায় তিন মাস পর গত ১৯ নভেম্বর সাইফকে গ্রেপ্তার করে বিদ্রোহী বাহিনী। লিবিয়ার শাসনক্ষমতায় সাইফকেই গাদ্দাফির যোগ্য উত্তরাধিকারী বিবেচনা করা হতো। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের অভিযোগে সাইফ ও গাদ্দাফি সরকারের গোয়েন্দা প্রধান আবদুল্লাহ সেনুসির বিরুদ্ধে আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল। তবে সাইফকে বিচারের মুখোমুখি করা নিয়ে লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আইসিসির পরস্পরবিরোধী অবস্থান তৈরি হয়। আইসিসি নেদারল্যান্ডসের হেগে সাইফের বিচার করতে চাইছে। কিন্তু লিবিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার সাইফকে স্থানীয় কোনো আদালতের কাঠগড়ায় তোলার পরিকল্পনা করছে। গত মে মাসে লিবীয় কর্মকর্তারা হেগে সাইফের বিচারের দাবি প্রত্যাহারের আহ্বান জানায় আইসিসির প্রতি। কিন্তু আইসিসি এখন পর্যন্ত তার অবস্থানে অনড় আছে।
আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার শুরুর ব্যাপারে কথা বলার জন্য অস্ট্রেলীয় আইনজীবী মেলিন্ডা টেইলর গত মাসের শুরুতে লিবিয়া যান। গত ৭ জুন লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর জিনতানে মেলিন্ডা ও তাঁর তিন সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। লিবীয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে, সাইফকে তাঁর সাবেক ঘনিষ্ঠ সহযোগী মোহাম্মদ ইসমাইলের পক্ষ থেকে সাংকেতিক একটি চিঠি ও কলমে লুকানো একটি ক্যামেরা পেঁৗছে দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন মেলিন্ডা। লিবীয় কর্তৃপক্ষ ইসমাইলের সন্ধানে রয়েছে। মেলিন্ডার সঙ্গে তাঁর লেবাননি দোভাষী হেলেন আসাফ, রাশিয়ান আইনজীবী আলেঙ্ান্দার খোদাকভ ও স্পেনের নাগরিক এস্তেবান পেরালতা লোসিয়াও আটক হন। আইসিসির সঙ্গে এক চুক্তির আওতায় গত ২ জুলাই তাঁরা মুক্তি পান।
গত শুক্রবার নেদারল্যান্ডস থেকে মেলিন্ডা বলেন, 'সাইফ আল ইসলামের সঙ্গে আমার যোগাযোগসহ তাঁর অধিকার সংশ্লিষ্ট সব বিষয়ই পক্ষপাতদুষ্ট করে ফেলা হয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনাবলি দেখে বিবাদীপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আমার মনে হচ্ছে, লিবিয়ার কোনো আদালতে স্বাধীন বা পক্ষপাতহীনভাবে সাইফের বিচার করা সম্ভব নয়। সাইফের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি মূল্যায়ন করা হতে পারে আশঙ্কায় লিবীয় কর্তৃপক্ষ আমাদের ভুল পথে পরিচালিত করেছে।' মেলিন্ডা আরো অভিযোগ করেন, আইনজীবী হিসেবে এবং আইসিসির নির্দেশ মোতাবেক তিনি যেসব তথ্য বা দলিল চাইতে পারেন, সে ধরনের দলিলপত্রও জব্দ করে রাখা হয়েছে। আগামী বুধবারের মধ্যে মেলিন্ডা ও তাঁর সহযোগীদের লিবিয়ার ঘটনাবলির ব্যাপারে আইসিসির কাছে লিখিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। সূত্র : এএফপি, বিবিসি।
No comments