শ্রমিকনেতাদের কাছে জিম্মি নির্বাহী প্রশাসন by হামিদ উল্লাহ
শ্রমিকনেতা পরিচয়ধারী অন্তত ১২ জন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রশাসন। তাঁরা সবাই পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মচারী। দৈনন্দিন কাজ ফেলে এসব কর্মচারী প্রায় সময় নগর ভবনে এসে বসে থাকেন। নানা অজুহাতে মেয়রের কার্যালয়ে ঢুকে পড়েন।
অনিয়মের অভিযোগে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষ নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। জনপ্রশাসন থেকে প্রেষণে আসা কর্মকর্তারাই এঁদের বিক্ষোভের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, শ্রমিকনেতা দাবিদারদের বেশির ভাগই পরিদর্শক ও তত্ত্বাবধায়ক পদমর্যাদার। এঁদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় রয়েছেন মোরশেদুল ইসলাম, কানুলাল নাথ, ফরিদুল আলম, সোমনাথ দাশগুপ্ত ও প্রিয়তোষ চক্রবর্তী। তাঁদের প্রত্যেকের অধীনে শতাধিক দৈনিকভিত্তিক শ্রমিক কাজ করেন। অভিযোগ রয়েছে, শ্রমিকদের তত্ত্বাবধানের অভাবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম থেকে শুরু করে খাল-নালা খননকাজ যথাযথভাবে হয় না। তবে সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতার কাজে কোনো অবহেলা নেই। সবকিছু ঠিক মতো চলছে।’
শ্রমিক সংগঠনের নামে নির্বাহী প্রশাসনের ওপর খবরদারিমূলক আচরণের অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রমিক কর্মচারী লীগের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। শ্রমিকদের স্বার্থ দেখাই আমাদের কাজ। তাই বলে যখন-তখন প্রশাসনিক কাজে মাথা ঘামানোর সুযোগ আমাদের নেই।’
তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন শ্রমিক কর্মচারী সংস্থার নেতা কানুলাল নাথ বলেন, ‘আমি শ্রমিক সংগঠনের নেতা। আমাকে এসব নিয়ে তো মাথা ঘামাতেই হবে। এটাই আমার কাজ।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার নিয়ম অনুযায়ী সংগঠনের নেতারা কেবল শ্রমিকদের স্বার্থ দেখবেন। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাও রয়েছে। সে নির্দেশনা উপেক্ষা করছেন সংশ্লিষ্ট শ্রমিকনেতারা।
জানা গেছে, গত ১৯ বছর ধরে এখানে সিবিএ নির্বাচন হয়নি। ফলে শ্রমিকদের পক্ষে কোনো বৈধ সংগঠনও নেই। কিন্তু আওয়ামীপন্থী দুটি এবং বিএনপিপন্থী একটি সংগঠনের নেতা পরিচয়ে কিছু কর্মচারী নিজেদের শ্রমিকনেতা পরিচয়ে হুমকি দিয়ে কাজ আদায়ের চেষ্টা করেন।
এ প্রসঙ্গে মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দাবিদাওয়া নিয়ে যে কেউ আমার কাছে আসতে পারে। কিন্তু তাদের সব কথা আমাদের শুনতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এখানে কেউ কাউকে হুমকি দিলে কিংবা অন্যায়ভাবে কিছু বললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা যায়, সম্প্রতি আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তসলিমা ইসলাম নামের এক উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেন। এ নিয়ে তিন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা মেয়র কার্যালয় ঘেরাও করেন। অভিযোগ রয়েছে, কার্যালয় ঘেরাওকালে পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মচারী কানুলাল নাথ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ারা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। শব্দগুলো বেশি আপত্তিকর হওয়ায় তা মেয়রকে বলা সম্ভব হয়নি। আনোয়ারা বেগম সরকারের একজন যুগ্ম সচিব।
আনোয়ারা বেগম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শ্রমিক সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে এর আগেও তাঁরা আমার সঙ্গে যা-তা বলেছেন। তাঁরা প্রশাসনকে জিম্মি করতে চাইছেন। প্রশাসনের সব সিদ্ধান্তেই নাক গলাচ্ছেন।’
এর আগে জসিম উদ্দিন নামের একজন কর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপ-সচিব) দীপক চক্রবর্তী। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওই চিঠিতে সই করার সময় এসব কর্মচারী ঢুকে পড়েন তাঁর কক্ষে। এ সময় কানুলাল নাথ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘জসিম এ চিঠির উত্তর দেবেন না। দেখি আপনি কী করতে পারেন।’ শেষ পর্যন্ত মেয়র এসব শ্রমিকনেতার কথাই মেনে নেন।
গত ২১ এপ্রিল দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে দুই নম্বর সার্কেলের কর কর্মকর্তা জালাল আহমদকে পদাবনতি এবং মো. সালাহউদ্দিনকে ওই পদে বসানোর বিরুদ্ধে টানা তিন দিন মেয়রের কার্যালয় ঘেরাও করেন সংশ্লিষ্ট শ্রমিকনেতারা। কিন্তু মেয়র তাঁদের সঙ্গে আপস না করায় একপর্যায়ে তাঁরা ঘেরাও কার্যক্রম প্রত্যাহার করেন।
শ্রমিক সংগঠনের নামে নির্বাহী প্রশাসনের ওপর খবরদারিমূলক আচরণের অভিযোগ অস্বীকার করে শ্রমিক কর্মচারী লীগের (সিবিএ) সাধারণ সম্পাদক মোরশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত। শ্রমিকদের স্বার্থ দেখাই আমাদের কাজ। তাই বলে যখন-তখন প্রশাসনিক কাজে মাথা ঘামানোর সুযোগ আমাদের নেই।’
তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন শ্রমিক কর্মচারী সংস্থার নেতা কানুলাল নাথ বলেন, ‘আমি শ্রমিক সংগঠনের নেতা। আমাকে এসব নিয়ে তো মাথা ঘামাতেই হবে। এটাই আমার কাজ।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার নিয়ম অনুযায়ী সংগঠনের নেতারা কেবল শ্রমিকদের স্বার্থ দেখবেন। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাও রয়েছে। সে নির্দেশনা উপেক্ষা করছেন সংশ্লিষ্ট শ্রমিকনেতারা।
জানা গেছে, গত ১৯ বছর ধরে এখানে সিবিএ নির্বাচন হয়নি। ফলে শ্রমিকদের পক্ষে কোনো বৈধ সংগঠনও নেই। কিন্তু আওয়ামীপন্থী দুটি এবং বিএনপিপন্থী একটি সংগঠনের নেতা পরিচয়ে কিছু কর্মচারী নিজেদের শ্রমিকনেতা পরিচয়ে হুমকি দিয়ে কাজ আদায়ের চেষ্টা করেন।
এ প্রসঙ্গে মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দাবিদাওয়া নিয়ে যে কেউ আমার কাছে আসতে পারে। কিন্তু তাদের সব কথা আমাদের শুনতে হবে এমন কোনো কথা নেই। এখানে কেউ কাউকে হুমকি দিলে কিংবা অন্যায়ভাবে কিছু বললে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা যায়, সম্প্রতি আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তসলিমা ইসলাম নামের এক উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেন। এ নিয়ে তিন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা মেয়র কার্যালয় ঘেরাও করেন। অভিযোগ রয়েছে, কার্যালয় ঘেরাওকালে পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মচারী কানুলাল নাথ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ারা বেগমকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। শব্দগুলো বেশি আপত্তিকর হওয়ায় তা মেয়রকে বলা সম্ভব হয়নি। আনোয়ারা বেগম সরকারের একজন যুগ্ম সচিব।
আনোয়ারা বেগম বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘শ্রমিক সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে এর আগেও তাঁরা আমার সঙ্গে যা-তা বলেছেন। তাঁরা প্রশাসনকে জিম্মি করতে চাইছেন। প্রশাসনের সব সিদ্ধান্তেই নাক গলাচ্ছেন।’
এর আগে জসিম উদ্দিন নামের একজন কর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা (উপ-সচিব) দীপক চক্রবর্তী। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওই চিঠিতে সই করার সময় এসব কর্মচারী ঢুকে পড়েন তাঁর কক্ষে। এ সময় কানুলাল নাথ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘জসিম এ চিঠির উত্তর দেবেন না। দেখি আপনি কী করতে পারেন।’ শেষ পর্যন্ত মেয়র এসব শ্রমিকনেতার কথাই মেনে নেন।
গত ২১ এপ্রিল দায়িত্ব পালনে অবহেলার অভিযোগে দুই নম্বর সার্কেলের কর কর্মকর্তা জালাল আহমদকে পদাবনতি এবং মো. সালাহউদ্দিনকে ওই পদে বসানোর বিরুদ্ধে টানা তিন দিন মেয়রের কার্যালয় ঘেরাও করেন সংশ্লিষ্ট শ্রমিকনেতারা। কিন্তু মেয়র তাঁদের সঙ্গে আপস না করায় একপর্যায়ে তাঁরা ঘেরাও কার্যক্রম প্রত্যাহার করেন।
No comments