আবারও সোহেল তাজের পদত্যাগ
অবশেষে সশরীরে এসে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে সংসদ সদস্য পদ ছাড়লেন তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তিনি নিজ হাতে লেখা পদত্যাগপত্র স্পিকার আবদুল হামিদের কাছে জমা দেন। তাঁর পদত্যাগপত্র গৃহীতও হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল ব্যক্তিগত সহকারীর মাধ্যমে স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন সোহেল তাজ। ওই সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। পরে ৯ মে স্পিকার জানান, সোহেল তাজের পদত্যাগপত্র সংবিধান ও জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী জমা দেওয়া হয়নি। তাই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়নি। তাঁকে সশরীরে এসে পদত্যাগপত্র জমা দিতে হবে।
তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের একমাত্র ছেলে। তাঁর পদত্যাগের সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। স্পিকার পদত্যাপত্র গ্রহণ করার পর তিনি সোহেল তাজকে গণভবনে নিয়ে যান।
স্পিকারের একান্ত সচিব এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখার পরিচালক জয়নাল আবেদীন জানান, সোহেল তাজ সংবিধানের ৬৭ ধারা অনুসারে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং তা গৃহীত হয়েছে।
গত ৩০ জুন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন সোহেল তাজ। তাঁর মা জোহরা তাজউদ্দীনের অসুস্থতার কারণে তিনি দেশে আসেন।
গাজীপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচিত সোহেল তাজ এর আগেরবার সংবিধানের ৬৭(২) ধারা উল্লেখ করে পদত্যাগপত্র পাঠান স্পিকারের দপ্তরে। সে সময় পদত্যাগপত্র বাতিলের ব্যাখ্যায় স্পিকার বলেন, কার্যপ্রণালি বিধির ১৭৭(১) বিধিতে বলা হয়েছে, পদত্যাগপত্রে 'পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক' কথাগুলো লেখা থাকতে হবে। কিন্তু সোহেল তাজের চিঠিতে সে বিষয়টি উল্লেখ নেই। আরো বলা হয়েছে, পদত্যাগপত্র স্বহস্তে লিখিত হতে হবে। কিন্তু সোহেল তাজের পদত্যাগপত্রটি টাইপ করা।
ওই সময় পদত্যাগপত্রে পদত্যাগের কারণ উল্লেখ না করলেও নিজের নির্বাচনী এলাকা গাজীপুরের কাপাসিয়ার জনগণের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি খোলা চিঠিও লিখে পাঠান। সেই চিঠিতে তিনি বলেন, কাপাসিয়ার মানুষ ও নিজের 'সম্মান রক্ষায়' পদত্যাগ ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। সম্মান রক্ষায় সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁর পদত্যাগ ছাড়া কোনো পথ ছিল না মন্তব্য করে খোলা চিঠিতে সোহেল তাজ এখনই সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা নাকচ করেন।
২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বর্তমান সরকার গঠন করা হলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। পরে ২০০৯ সালের ৩১ মে তিনি প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়েন। সংবিধানের ৫৮(ক) ধারা মোতাবেক তিনি পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে প্রদান করেন। পরে তিনি ১ জুন পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠান। তবে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে সরকারের তরফে তাঁকে দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পরও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পদত্যাগের গেজেট নোটিফিকেশন না হওয়ায় বিব্রত বোধ করে এবং প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তাজের অ্যাকাউন্টে জমাকৃত মাসিক পারিতোষিক এবং ভাতার চেক প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দুটি চিঠি পাঠান সোহেল তাজ।
উল্লেখ্য, সোহেল তাজের বাবা মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং পরে স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদও বিশেষ পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এ ছাড়া তাঁর চাচা আফসার উদ্দিন আহমদও গত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভায় শপথ নেওয়ার কয়েক মাস পর পদত্যাগ করেছিলেন। তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের একমাত্র ছেলে। তাঁর পদত্যাগের সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। স্পিকার পদত্যাপত্র গ্রহণ করার পর তিনি সোহেল তাজকে গণভবনে নিয়ে যান।
স্পিকারের একান্ত সচিব এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখার পরিচালক জয়নাল আবেদীন জানান, সোহেল তাজ সংবিধানের ৬৭ ধারা অনুসারে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং তা গৃহীত হয়েছে।
গত ৩০ জুন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন সোহেল তাজ। তাঁর মা জোহরা তাজউদ্দীনের অসুস্থতার কারণে তিনি দেশে আসেন।
গাজীপুর-৪ আসন থেকে নির্বাচিত সোহেল তাজ এর আগেরবার সংবিধানের ৬৭(২) ধারা উল্লেখ করে পদত্যাগপত্র পাঠান স্পিকারের দপ্তরে। সে সময় পদত্যাগপত্র বাতিলের ব্যাখ্যায় স্পিকার বলেন, কার্যপ্রণালি বিধির ১৭৭(১) বিধিতে বলা হয়েছে, পদত্যাগপত্রে 'পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক' কথাগুলো লেখা থাকতে হবে। কিন্তু সোহেল তাজের চিঠিতে সে বিষয়টি উল্লেখ নেই। আরো বলা হয়েছে, পদত্যাগপত্র স্বহস্তে লিখিত হতে হবে। কিন্তু সোহেল তাজের পদত্যাগপত্রটি টাইপ করা।
ওই সময় পদত্যাগপত্রে পদত্যাগের কারণ উল্লেখ না করলেও নিজের নির্বাচনী এলাকা গাজীপুরের কাপাসিয়ার জনগণের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি খোলা চিঠিও লিখে পাঠান। সেই চিঠিতে তিনি বলেন, কাপাসিয়ার মানুষ ও নিজের 'সম্মান রক্ষায়' পদত্যাগ ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। সম্মান রক্ষায় সংসদ সদস্য হিসেবে তাঁর পদত্যাগ ছাড়া কোনো পথ ছিল না মন্তব্য করে খোলা চিঠিতে সোহেল তাজ এখনই সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে আসার সম্ভাবনা নাকচ করেন।
২০০৯ সালের জানুয়ারিতে বর্তমান সরকার গঠন করা হলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। পরে ২০০৯ সালের ৩১ মে তিনি প্রতিমন্ত্রীর পদ ছাড়েন। সংবিধানের ৫৮(ক) ধারা মোতাবেক তিনি পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে প্রদান করেন। পরে তিনি ১ জুন পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠান। তবে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ না করে সরকারের তরফে তাঁকে দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করার পরও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পদত্যাগের গেজেট নোটিফিকেশন না হওয়ায় বিব্রত বোধ করে এবং প্রতিমন্ত্রী হিসেবে তাজের অ্যাকাউন্টে জমাকৃত মাসিক পারিতোষিক এবং ভাতার চেক প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগকে দুটি চিঠি পাঠান সোহেল তাজ।
উল্লেখ্য, সোহেল তাজের বাবা মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং পরে স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদও বিশেষ পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। এ ছাড়া তাঁর চাচা আফসার উদ্দিন আহমদও গত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভায় শপথ নেওয়ার কয়েক মাস পর পদত্যাগ করেছিলেন। তিনি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।
No comments