জাম্বুরি মাঠ এখন সবজিখেত by নিয়াজ তুহিন
‘এই মাঠেই একসময় খেলাধুলা করে মোমিনুল খসরু, শেখ মো. আসলাম, মতিউর ও মুন্নাসহ অনেক নামীদামি খেলোয়াড় জাতীয় পর্যায়ে উঠে এসেছে। প্রতিদিন বিকেলে এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শিশু-কিশোর তরুণদের ‘ছক্কা’, ‘আউট’ অথবা ‘গোল’—এমন হর্ষোৎফুল্ল ধ্বনিতে মুখর থাকত মাঠটি।
কিন্তু এই চিত্র অনেক দিন দেখা যায় না এখানে। বিশাল মাঠটি বর্তমানে শাকসবজির চাষ ও গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে। নগরের আগ্রাবাদ এলাকার ঐতিহ্যবাহী জাম্বুরি মাঠের বর্তমান অবস্থায় দুঃখ প্রকাশ করে কথাগুলো বললেন ঢাকা ব্রাদার্স ও চট্টগ্রাম কাস্টমস ক্লাবের সাবেক ফুটবলার জীবন চৌধুরী।
গণপূর্ত বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাম্বুরি মাঠটির মালিক চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ। এর আয়তন ছিল ১৬ একর। উত্তর ও দক্ষিণ আগ্রাবাদের বিপুলসংখ্যক শিশু-কিশোর-তরুণদের খেলাধুলার প্রধান অবলম্বন ছিল মাঠটি। ১৯৯৯-২০০০ সালের দিকে কর্ণফুলী শিশুপার্ক তৈরির জন্য সাড়ে পাঁচ একর জমি ইজারা দেয় কর্তৃপক্ষ। বাকি সাড়ে নয় একর জায়গায় তখনো দাপিয়ে বেড়াত শিশু-কিশোর-তরুণেরা।
২০০৪-০৫ সালের দিকে আবাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে মাঠে সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় গণপূর্ত বিভাগ। ফলে বন্ধ হয়ে যায় খেলাধুলাও।
২৪ জুন সরেজমিনে দেখা যায়, কর্ণফুলী শিশুপার্কের পূর্ব পাশের সাড়ে নয় একর আয়তনের মাঠটির প্রায় তিন-চতুর্থাংশজুড়ে কলমিশাক, পাটশাক, আলু, মরিচ, ধনেপাতাসহ বিভিন্ন জাতের শাকসবজির চাষ করা হয়েছে। বাকি অংশ পরিণত হয়েছে হাঁস-মুরগি পালন ও গোচারণ ভূমিতে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আশপাশের কিছু বস্তিবাসী গণপূর্ত বিভাগের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রশ্রয়ে মাঠের জায়গা দখল করে শাকসবজির চাষ, হাঁস-মুরগি ও গরু পালন করছে।
মাঠে সবজির পরিচর্যাকারী একাধিক ব্যক্তি নিজেদের আশপাশের বস্তির লোক পরিচয় দিয়ে জানান, সংসারের প্রয়োজন মেটানোর জন্য তাঁরা পরিত্যক্ত এই মাঠে শাকসবজির চাষ করছেন। তবে তাঁরা তাঁদের নাম প্রকাশ করতে চাননি। আগ্রাবাদ ব্যাংক কলোনি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র অমর দাশ বলে, ‘মাঠ না থাকায় স্কুল থেকে ফিরে ইচ্ছে করলেও খেলাধুলা করতে পারি না। বিকেলবেলা ঘুমিয়ে কিংবা ভিডিও গেমস খেলে কাটাই।’
সাবেক ফুটবলার জীবন চৌধুরী বলেন, ‘খেলাধুলা শিশু-কিশোর-তরুণদের ধূমপান থেকে বিরত থাকতে সাহায্য করে। তাই তাদের খেলাধুলার সুবিধার জন্য মাঠটি অবশ্যই উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত।’
২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সেকান্দর জানান, তিনি উত্তর ও দক্ষিণ আগ্রাবাদের একমাত্র খেলার মাঠটি রক্ষা করার জন্য বারবার গণপূর্ত বিভাগে ধরনা দিয়েছেন। কিছুদিন আগে স্থানীয় সংগঠন নওজোয়ানের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়েছিল। কিন্তু এতগুলো ছেলেমেয়ের ভেতরের আর্তনাদ গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের মন গলাতে পারেনি। তিনি অভিযোগ করেন, মাঠটি সুপরিকল্পিতভাবে দখলের পাঁয়তারা চলছে। এ জন্য এখানে কিছু লোককে সবজি চাষের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জাম্বুরি মাঠে সরকারিভাবে আবাসনব্যবস্থা অথবা পার্কের আদলে বিনোদনকেন্দ্র গড়ে তোলার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন রয়েছে।
চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-৪-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তছলিম উদ্দিন জমাদ্দার বলেন, ‘জাম্বুরি মাঠ হিসেবে পরিচিত হলেও এটি আদৌ কোনো মাঠ নয়, পতিত জমি। এখানে আবাসন অথবা ঢাকার রমনা পার্কের আদলে পার্ক করার চিন্তাভাবনা চলছে। খালি জমিতে এলাকার ছেলেরা যতদিন পেরেছে খেলাধুলা করেছে। পরে জায়গাটি গণপূর্ত বিভাগের প্রয়োজনে সংরক্ষণ করা হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আশপাশের বস্তিবাসীদের কেউ কেউ বিচ্ছিন্নভাবে সবজির চাষ করে। আমরা সময়ে সময়ে তাদের উচ্ছেদ করি। সামনে আবারও উচ্ছেদ করব।’
গণপূর্ত বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাম্বুরি মাঠটির মালিক চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ। এর আয়তন ছিল ১৬ একর। উত্তর ও দক্ষিণ আগ্রাবাদের বিপুলসংখ্যক শিশু-কিশোর-তরুণদের খেলাধুলার প্রধান অবলম্বন ছিল মাঠটি। ১৯৯৯-২০০০ সালের দিকে কর্ণফুলী শিশুপার্ক তৈরির জন্য সাড়ে পাঁচ একর জমি ইজারা দেয় কর্তৃপক্ষ। বাকি সাড়ে নয় একর জায়গায় তখনো দাপিয়ে বেড়াত শিশু-কিশোর-তরুণেরা।
২০০৪-০৫ সালের দিকে আবাসনব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে মাঠে সাধারণের প্রবেশ বন্ধ করে দেয় গণপূর্ত বিভাগ। ফলে বন্ধ হয়ে যায় খেলাধুলাও।
২৪ জুন সরেজমিনে দেখা যায়, কর্ণফুলী শিশুপার্কের পূর্ব পাশের সাড়ে নয় একর আয়তনের মাঠটির প্রায় তিন-চতুর্থাংশজুড়ে কলমিশাক, পাটশাক, আলু, মরিচ, ধনেপাতাসহ বিভিন্ন জাতের শাকসবজির চাষ করা হয়েছে। বাকি অংশ পরিণত হয়েছে হাঁস-মুরগি পালন ও গোচারণ ভূমিতে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আশপাশের কিছু বস্তিবাসী গণপূর্ত বিভাগের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রশ্রয়ে মাঠের জায়গা দখল করে শাকসবজির চাষ, হাঁস-মুরগি ও গরু পালন করছে।
মাঠে সবজির পরিচর্যাকারী একাধিক ব্যক্তি নিজেদের আশপাশের বস্তির লোক পরিচয় দিয়ে জানান, সংসারের প্রয়োজন মেটানোর জন্য তাঁরা পরিত্যক্ত এই মাঠে শাকসবজির চাষ করছেন। তবে তাঁরা তাঁদের নাম প্রকাশ করতে চাননি। আগ্রাবাদ ব্যাংক কলোনি স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র অমর দাশ বলে, ‘মাঠ না থাকায় স্কুল থেকে ফিরে ইচ্ছে করলেও খেলাধুলা করতে পারি না। বিকেলবেলা ঘুমিয়ে কিংবা ভিডিও গেমস খেলে কাটাই।’
সাবেক ফুটবলার জীবন চৌধুরী বলেন, ‘খেলাধুলা শিশু-কিশোর-তরুণদের ধূমপান থেকে বিরত থাকতে সাহায্য করে। তাই তাদের খেলাধুলার সুবিধার জন্য মাঠটি অবশ্যই উন্মুক্ত করে দেওয়া উচিত।’
২৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. সেকান্দর জানান, তিনি উত্তর ও দক্ষিণ আগ্রাবাদের একমাত্র খেলার মাঠটি রক্ষা করার জন্য বারবার গণপূর্ত বিভাগে ধরনা দিয়েছেন। কিছুদিন আগে স্থানীয় সংগঠন নওজোয়ানের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়েছিল। কিন্তু এতগুলো ছেলেমেয়ের ভেতরের আর্তনাদ গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের মন গলাতে পারেনি। তিনি অভিযোগ করেন, মাঠটি সুপরিকল্পিতভাবে দখলের পাঁয়তারা চলছে। এ জন্য এখানে কিছু লোককে সবজি চাষের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জাম্বুরি মাঠে সরকারিভাবে আবাসনব্যবস্থা অথবা পার্কের আদলে বিনোদনকেন্দ্র গড়ে তোলার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন রয়েছে।
চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ-৪-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তছলিম উদ্দিন জমাদ্দার বলেন, ‘জাম্বুরি মাঠ হিসেবে পরিচিত হলেও এটি আদৌ কোনো মাঠ নয়, পতিত জমি। এখানে আবাসন অথবা ঢাকার রমনা পার্কের আদলে পার্ক করার চিন্তাভাবনা চলছে। খালি জমিতে এলাকার ছেলেরা যতদিন পেরেছে খেলাধুলা করেছে। পরে জায়গাটি গণপূর্ত বিভাগের প্রয়োজনে সংরক্ষণ করা হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আশপাশের বস্তিবাসীদের কেউ কেউ বিচ্ছিন্নভাবে সবজির চাষ করে। আমরা সময়ে সময়ে তাদের উচ্ছেদ করি। সামনে আবারও উচ্ছেদ করব।’
No comments