বিচারাধীন বিষয়ে হিউম্যান রাইটসের বক্তব্য অধিকারবহির্ভূত ॥ আইনমন্ত্রী
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিক মানসম্মত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। তিনি বলেন, এ বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে আইন প্রণয়ন করেছিলেন।
’৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মম ও বর্বরোচিতভাবে হত্যার পর তৎকালীন সরকার এ ব্যাপারে কোন উদ্যোগ নেয়নি। শনিবার সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে বাংলাদেশ সরকারী আইন কর্মকর্তা (জিপি) এ্যাসোসিয়েশনের এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিচার সম্পন্ন করা বর্তমান সরকারের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার। এ সময় তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, ধষর্ণসহ মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচারে ব্যাপক জনমত গঠনে আইনজীবীদের স্ব-স্ব জেলায় ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের বিচারসহ সব ধরনের বিচার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাব নিয়ে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যে বক্তব্য দিয়েছে তা তাদের অধিকার বহির্ভূত। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করার অধিকার তাদের নেই।
সরকারী আইন কর্মকর্তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকারী আইন কর্মকর্তাদের (জিপি) বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিচার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে স্থায়ী এ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, যে যাই বলুক, এ বছরের মধ্যে গোলাম আযমসহ কারাগারে আটক মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিচার শেষ হবে। ষড়যন্ত্র যতই হোক, কোন ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, একাত্তরের মতো এবারও আমরা ষড়যন্ত্রের নদী সাঁতরেই পাড়ি দেব। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আমাদের রুখতে পারবে না।
কামরুল ইসলাম আরও বলেন, আমাদের বিচার ব্যবস্থায় ব্রিটিশ আমলের ব্যবস্থা বিদ্যমান। সময় অনুযায়ী অনেক ক্ষেত্রেই পরিবর্তন হয়নি। এ পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মহল এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্র সফল হবে না। আইন প্রতিমন্ত্রী আগামী ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য বার কাউন্সিল নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ সমর্থিত প্যানেলকে বিজয়ী করতে আইনজীবীদের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের অপর বিশেষ অতিথি আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী তাঁর বক্তব্যে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বার কাউন্সিল নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্যানেলকে বিজয়ী করতে হবে। অন্যথায় বহুল প্রতীক্ষিত এ বিচার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। অনুষ্ঠানে সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম প্যানেলের নির্বাচনী অঙ্গীকারনামা পাঠ করেন এবং প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন।
ঢাকা জেলার জিপি এ্যাডভোকেট ফকীর দেলাওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি প্রমুখ।
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের বিচারসহ সব ধরনের বিচার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাব নিয়ে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যে বক্তব্য দিয়েছে তা তাদের অধিকার বহির্ভূত। বিচারাধীন বিষয় নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করার অধিকার তাদের নেই।
সরকারী আইন কর্মকর্তাদের দাবির প্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, সরকারী আইন কর্মকর্তাদের (জিপি) বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিচার ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করতে স্থায়ী এ্যাটর্নি সার্ভিস প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইন প্রতিমন্ত্রী এ্যাভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, যে যাই বলুক, এ বছরের মধ্যে গোলাম আযমসহ কারাগারে আটক মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্তদের বিচার শেষ হবে। ষড়যন্ত্র যতই হোক, কোন ষড়যন্ত্র কাজে আসবে না। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, একাত্তরের মতো এবারও আমরা ষড়যন্ত্রের নদী সাঁতরেই পাড়ি দেব। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ আমাদের রুখতে পারবে না।
কামরুল ইসলাম আরও বলেন, আমাদের বিচার ব্যবস্থায় ব্রিটিশ আমলের ব্যবস্থা বিদ্যমান। সময় অনুযায়ী অনেক ক্ষেত্রেই পরিবর্তন হয়নি। এ পরিবর্তন এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন মহল এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তি ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্র সফল হবে না। আইন প্রতিমন্ত্রী আগামী ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য বার কাউন্সিল নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ সমর্থিত প্যানেলকে বিজয়ী করতে আইনজীবীদের আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানের অপর বিশেষ অতিথি আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী তাঁর বক্তব্যে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বার কাউন্সিল নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্যানেলকে বিজয়ী করতে হবে। অন্যথায় বহুল প্রতীক্ষিত এ বিচার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। অনুষ্ঠানে সম্মিলিত আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম প্যানেলের নির্বাচনী অঙ্গীকারনামা পাঠ করেন এবং প্রার্থীদের পরিচয় করিয়ে দেন।
ঢাকা জেলার জিপি এ্যাডভোকেট ফকীর দেলাওয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজন এমপি প্রমুখ।
No comments