তারকাখচিত হাসপাতালে চিকিৎসার নামে হচ্ছেটা কী? by আবদুল মান্নান

প্রতি মাসে বাংলাদেশ হতে কয়েক শ’ রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে দেশের বাইরে যায়। সামর্থ্য অনুযায়ী কেউ যায় ভারতে, কেউ বা সিঙ্গাপুর ব্যাঙ্ককে। সামর্থ্য না থাকলেও অনেকে জায়গা জমি বিক্রি করে যায়। বিষয়টা যখন একজন মানুষের জীবন মরণের সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় তখন তার বা পরিবারের সামনে অর্থের উৎসের চাইতে রোগীকে উন্নত


চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলাই জরুরী হয়ে দেখা দেয়। বাংলাদেশ হতে এখন ভারত, সিঙ্গাপুর আর থাইল্যান্ডে এত রোগী স্বাস্থ্য সেবা নিতে যায় যে সেখানকার অনেক হাসপাতালে বাংলাদেশীদের সেবাদানের জন্য ভিন্ন কাউন্টার খুলেছে। আছে বাংলাভাষী স্টাফ। স্বাস্থ্য সেবা নেয়ার জন্য যখন একজন রোগী দেশের বাইরে যায় তার সঙ্গে পরিবারের আরো দু’থেকে তিনজন সদস্যও যায়। এর ফলে প্রতি বছর দেশ থেকে কোটি কোটি ডলার পরিমাণের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা দেশের বাইরে চলে যায়। বাংলাদেশের চল্লিশ বছরের ইতিহাসে যে ক’টি খাত পিছিয়ে আছে তার মধ্যে চিকিৎসা খাত অন্যতম। দেশের উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসা সেবার কিছু সুযোগ তৈরি হয়েছে ঠিক কিন্তু বেশিরভাগ স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে কোন সেবা মিলে না কারণ উপজেলা পর্যায়ের এই সেবা কেন্দ্রগুলোতে তেমন কোন সুযোগ-সুবিধা নেই। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোন চিকিৎসক থাকে না। চিকিৎসকদের শহর ছেড়ে গ্রামে যাওয়াতে তেমন একটা আগ্রহ নেই।
গত দশ বছরে ঢাকা শহরকেন্দ্রিক কিছু তারকাখচিত হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। এতে যারা বিত্তবান তাদের অনেকেই একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল এই মনে করে যে এখন যখন তখন রোগী নিয়ে আর ভারত সিঙ্গাপুরে দৌড়াতে হবে না। এই হাসপাতালগুলো তারকাখচিত এই কারণেই যে এদের ভবনগুলো বেশ আকর্ষণীয়, অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতি, অনেক সময় সেবিকা আসেন দক্ষিণ ভারত হতে, আর কোন কোন হাসপাতালে ‘বিশেষজ্ঞ’ চিকিৎসক আসেন দিল্লী, মাদ্রাজ, সিঙ্গাপুর হতে। বাংলাদেশে আবার বিদেশ হতে একজন অর্ধশিক্ষিত মূর্খ আসলে তাকেও ‘বিশেষজ্ঞ’ খেতাবে ভূষিত করতে আমরা দেরি করি না। তবে সত্যিকার বিশেষজ্ঞ যে আসে না তা কিন্তু নয়। তবে তাদের সংখ্যা হাতেগোনা যায়। বর্তমান সরকারের আমলে স্বাস্থ্য খাতের স্বেচ্ছাচারিতা কিছুটা কমবে আশা করা গিয়েছিল তবে তা বর্তমানে অনেকটা গুড়েবালিতে পরিণত হয়েছে। তার অন্যতম কারণ হচ্ছে দেশে কোন কার্যকর স্বাস্থ্যনীতি নেই, নেই কোন মনিটরিং ব্যবস্থা। আর দশটা পেশার মতো বেশিরভাগ চিকিৎসক দলাদলিতে ব্যস্ত থাকেন, সেবা প্রদানে নয়। আমাদের মিডিয়া বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতলে যে নৈরাজ্য এবং চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা বা ভুল চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সে সম্পর্কে চুপচাপ থাকে কারণ বেশি উচ্চবাচ্য করলে আবার লাখ টাকার বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা পেশাগত নৈতিকতা বলতে অজ্ঞান কিন্তু কদাচিৎ তা নিজের পেশায় প্রয়োগ করি। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আছেন। তার সঙ্গে আছেন আবার একজন উপদেষ্টা। প্রথমজন অর্থোপেডিক সার্জন মানে হাড়ের ডাক্তার আর দ্বিতীয়জন চোখের ডাক্তার। দু’জনেরই পেশাগত খ্যাতি আছে কিন্তু মন্ত্রী বা উপদেষ্টা হিসাবে তাদের দক্ষতা নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ।
গত ৩ জুলাই জাতীয় সংসদে ঢাকার একটি তারকাখচিত হাসপাতালের চিকিৎসকদের দায়িত্বহীনতা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিজ দলের সংসদ সদস্যদের হাতেই তুমুল সমালোচিত হন। এই হাসপাতালটি বাংলাদেশের প্রথম তারকাখচিত হাসপাতাল। এটি একটি আন্তর্জাতিক হাসপাতালের ফ্র্যানচাইজ মানে লাইসেন্সপ্রাপ্ত। বর্তমান মালিক সম্ভবত সরকারি দলের একজন সংসদ সদস্য। এই হাসপাতালটি সম্পর্কে বাজারে একটা কথা চালু আছে আর তা হচ্ছে এখানে একজন রোগী প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই তার নামে বিল উঠতে থাকে আর রোগী কয়েকদিন হাসপাতালে কাটিয়ে বাড়ি যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার পরিবারের সদস্যদের যে একটি বিল ধরিয়ে দেয় তা দেখে কারো কারো হার্টএট্যাক হওয়ার উপক্রম হয়। এই হাসপাতালে সৈয়দপুর হতে পেটের টিউমার অপসারণের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন রিপা সরকার দু’বছর আগে। অস্ত্রোপচারে টিউমার অপসারণের পর রিপাকে ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই আবার পেটে প্রচ- ব্যথা শুরু হয় রিপার। অনেকটা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রংপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর পেট থেকে যেটি অপসারণ করা হয় তা হলো ওই তারকাখচিত হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় পেঠের ভিতর রেখে দেয়া গজ (মপ)। রিপার পেটে এটিকে সে দু’বছর বয়ে বেড়িয়েছে। বিষয়টি পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হলে জাতীয় সংসদে একজন সংসদ সদস্য তা নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রথমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিষয়টাকে তেমন গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন মনে করেননি। পরে অন্য সদস্যদের চাপে পড়ে তিনি বলেন, বিষয়টির তদন্ত হবে এবং ওই হাসপাতাল দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে অতীত অভিজ্ঞতা হতে বলা যায় তেমন কিছু যে একটা হবে তা কিন্তু মনে হয় না। বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে এমন ঘটনা অনেকবার ঘটছে কিন্তু তেমন কোন ব্যবস্থা কারো বিরুদ্ধে নেয়া হয়েছে তা কখনো শোনা যায় না। বাংলাদেশের ভোক্তা শ্রেণী বিশ্বের সম্ভবত সবচাইতে দুর্বল। এই দেশে তিন টাকার লবণ ত্রিশ টাকায় আর কুড়ি টাকার বেগুন আশি টাকায় বিক্রি হলে তা অপরাধ বলে গণ্য হয় না। সরকার সব সময় অসাধু ব্যবসায়ীদের পক্ষ অবলম্বন করে। বর্তমান জাতীয় সংসদে আশি ভাগ সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী।
তারকাখচিত হাসপাতালের উপরে উল্লিখিত অপরাধ কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি সংসদ আলোচনা বা সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়েছে কারণ এখানে যারা চিকিৎসা নিতে যান তাদের বিলের পরিমাণ ন্যূনপক্ষে এক লাখ টাকা হয়। অনেকের সামর্থ্য না থাকলেও ধার দেনা করে চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে সক্ষম। এদের সংবাদ যত সহজে গণমাধ্যমে আসে একজন সাধারণ রোগীর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার পর যে দুর্গতির মুখোমুখি হয় তা কদাচিৎ সংবাদপত্রের শিরোনাম হয় অথবা সংসদে আলোচিত হয়। তবে এটাও ঠিক এই সব তারকাখচিত হাসপাতালের সব অপকর্মও সব সময় সংবাদপত্রে আসে না। আমার এক পরিচিতজন কিছুদিন আগে ঢাকার এমন একটি হাসপাতালে হার্টের চিকিৎসা নিতে গিয়েছিল। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানাল তার হার্টে চারটা ব্লক ধরা পড়েছে। রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ। কালবিলম্ব না করে চারটা স্টেন্টিং (রিং পড়ানো) করতে হবে। মোট ছয় লাখ টাকা লাগবে। কী আর করা। টাকার কথা চিন্তা না করে আত্মীয়স্বজনরা সিদ্ধান্ত দিলেন স্টেন্টিং করতে। ক’দিন পর রোগী বাড়ি ফিরে গেলেন। কিছুদিন পর রোগীর বুকে আবার ব্যথা। আবার সেই হাসপাতালে। ডাক্তার দেখে কিছু টেস্ট দিলেন। সব দেখে কিছু ওষুধ লিখে দিয়ে বললেন সব ঠিক হয়ে যাবে। তারপরও ঠিক হয় না। রোগীর আত্মীয়স্বজন অনেকটা আশঙ্কাজনক অবস্থায় রোগীকে নিয়ে ছুটলেন ভারতে একটা নামকরা হাসপাতালে। সেখানে পরীক্ষা করে জানা গেল আসলে ঢাকায় ওই রোগীর কোন স্টেন্টিংই হয়নি। ভারতের হাসপাতালে রোগীর আবার স্টেন্টিং হলো। সেখানকার ডাক্তার তার বক্তব্য লিখে দিলেন। সপ্তাহখানেক পর অনেকটা সুস্থ হয়ে রোগী দেশে ফিরলেন। আত্মীয়স্বজন ছুটলেন ঢাকার সেই হাসপতালে। কাগজপত্র দিয়ে পুরো বিষয়টার একটা ব্যাখ্যা দাবি করলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিজেদের পক্ষে সাফাই গাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই। রোগীর আত্মীয়স্বজন বললেন তারা আদালতে যাবেন। অগত্যা পাঁচ লাখ টাকা ফেরত দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হলো। চিকিৎসা ব্যবস্থায় এর চাইতে বড় ডাকাতি আর কী হতে পারে? এমন ঘটনা আরো অসংখ্য আছে। সব ঘটনা সাধারণ মানুষ জানতে পারে না কারণ রোগীদের পুরো বিষয় সম্পর্কে অন্ধকারে রাখা অথবা তাদের অজ্ঞতা বা আমাদের মিডিয়ার এই সব ব্যাপারে নির্লিপ্ততা।
কিছুদিন আগে একটি জাতীয় দৈনিকে একটি তদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেল বাংলাদেশে যত সিজারিয়ান ডেলিভারি হয় তার ষাট ভাগ বিনা প্রয়োজনে হয়। আমার এক বন্ধু কন্যার বাচ্চা হবে। একটি তারকাখচিত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একদিন আগে তাকে বলা হলো সিজারিয়ান করতে হবে কারণ গর্ভের তরল পদার্থ (ফ্লুইড) কমে গেছে। কী আর করা। বাচ্চা সিজারিয়ানই হলো। বন্ধুর প্রায় লাখখানেক টাকা খসে গেল। নরমাল হলে অর্ধেক লাগত। পরে জানা গেল তা না করে নরমাল ডেলিভারি করা যেত তবে এই হাসপাতালে হাজারে একটা নরমাল ডেলিভারি হয়। বন্ধুর মন্তব্য এমন প্রতারণা না করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তো রাতে ছুরি চাকু নিয়ে ছিনতাই করতে বের হলে অপরাধ কম হতো। নিজে একবার এক নামকরা গাইনীর ডাক্তারকে প্রশ্ন করেছিলাম বর্তমানে এত সিজারিয়ান কেন হয়? আমরা ছয় ভাইবোন তো বাড়িতেই ধাত্রীর হাতে জন্ম নিয়েছিলাম। জবাবে উনি বলেছিলেন এখন যে সকল নার্স হাসপাতালে কাজ করে তাদের অনেকের ওই ধাত্রীদের দক্ষতাও নেই। আর যে সকল জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে নরমাল ডেলিভারি করব তারা তা করতে খুব আগ্রহ দেখায় না। তারা এখন থেকে চিন্তা করছে কোন পদ্ধতিতে ডেলিভারি করলে পয়সা বেশি আসে।
তারকাখচিত হাসপাতালের লাইফ সাপোর্ট আর কেবিন ভাড়ার কাহিনী না বললে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ থেকে যাবে। রোগী নিশ্চিতভাবে মারা গেছে। আত্মীয়স্বজনদের বলা হলো লাইফ সাপোর্টে আছে। বিলের মিটার দ্রুত গতিতে ঘুরছে তো ঘুরছেই। থামার লক্ষণ নেই। এক দিন, দু’দিন, তিন দিন। সকলের উৎকণ্ঠা ও অপেক্ষার পালা। সব শেষে খবর এলো। না সব চেষ্টা সত্ত্বেও রোগীকে বাঁচানো গেল না। লাইফ সাপোর্টেরই চার্জ প্রায় দেড় লাখ টাকা। সব মিলে লাখ দশেক টাকা দিন তারপর লাশ রিলিজ করা হবে। হ্যাঁ এমন নির্দয় কাজ কারবার বাংলাদেশেই ঘটছে। এসব নিয়ে কথা বলার কেউ নেই। এমন কী আমাদের তথাকথিত মানবাধিকার সংস্থাগুলোও না। তারা এখন র‌্যাব গুম নিয়ে মহা ব্যস্ত।
আমার এক বন্ধু সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে গেল এক দামী হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ডিউটি ডাক্তার বললেন একটু অবজারভেশনে রাখতে হবে। বন্ধু রাজি। গোল বাধলো কেবিন পাওয়া নিয়ে। নরমাল কেবিন খালি নেই। পরেরটা এক্সিকিউটিভ স্যুইট । ভাড়া দৈনিক সতেরো হাজার টাকা। বন্ধু বললেন দুঃখিত। অত টাকা এই মুহূর্তে আমার পক্ষে খরচ করা সম্ভব নয়। কাল সকালে না হয় একবার এসে দেখিয়ে যাব। কিছুক্ষণ পর ঠিকই নরমাল কেবিন পাওয়া গেল। ভাড়া সাত হাজার টাকা। এমন ঘটনা এই সব হাসপাতালে হরদম ঘটছে। দেখার কেউ নেই। তবে অন্য দেশে যে এমনটা ঘটছে না তা কিন্তু নয় । তবে সে সব দেশে তেমনটি ঘটলে তার জন্য সেবা গ্রাহক ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারে। রাষ্ট্র ও আইন তখন তার সহায়ক হয়। বাংলাদেশে ঠিক তার উল্টোটা। আর সবচাইতে বড় সত্যটা হচ্ছে এদেশের সাধারণ জনগণের চিকিৎসা সেবা বেসরকারি হাসপাতালের ওপর ছেড়ে দেয়া হবে আত্মঘাতী। বিকল্প হিসাবে দেশের সকল সরকারী হাসপাতালকে ন্যূনতম সেবা দেয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন হাসপাতাল হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। শুধু পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ দিয়ে দায়িত্ব শেষ করলে হবে না। রাখতে হবে সঠিক তত্ত্বাবধানে। নিশ্চিত করতে হবে এই সব হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও অন্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে কিনা। সর্Ÿোপরি চাই একটি সুষ্ঠু স্বাস্থ্যনীতি যা হবে জনবান্ধব। সব পেশারই একটি নৈতিক অবস্থান আছে। তবে চিকিৎসা পেশার চাইতে অন্য কোন পেশায় তা এতো গুরুত্বপূর্ণ নয় কারণ অনেক সময় একজন চিকিৎসক জীবন মরণের মাঝখানে দাঁড়িয়ে থাকেন।

লেখক : শিক্ষাবিদ ও বিশ্লেষক। জুলাই ৭, ২০১২

No comments

Powered by Blogger.