সুইপার কলোনির আট ভবন নির্মাণে দুর্নীতি, ধসে পড়ার আশঙ্কা-তারপরও প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব একনেকে by হামিদ-উজ-জামান মামুন
ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সুইপার কলোনির ৮টি ভবন নির্মাণে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। এতে সরকারের অপচয় হয়েছে মোট ১২ কোটি ২১ লাখ ১৩ হাজার টাকা। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) তদন্ত করে এ প্রমাণ পেয়েছে।
ভবনগুলো নির্মাণে দুর্নীতির কারণে আটটি সুইপার কলোনি ভবন ধসে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। এদিকে প্রকল্পটির ব্যয় আরও বৃদ্ধির জন্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে। সেখানে মোট ব্যয় ৪ কোটি ২৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা বা ২০ দশমিক ৪৮ শতাংশ বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটিতে মোট ব্যয় ২০ কোটি ৯৩ লাখ টাকার জায়গায় ২৫ কোটি ২২ লাখ ১৭ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় সংশোধনের প্রস্তাব উপস্থাপন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
প্রকল্পটির দুর্নীতির বিষয়ে আইএমইডির সচিব মোজাম্মেল হক খান জনকণ্ঠকে জানান, আমরা প্রায় দেড় মাস আগে প্রকল্পটি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। সে সময় দুর্নীতির প্রমাণ মেলায় পুনরায় দ্বিতীয়বার এটি ভালভাবে খতিয়ে দেখা হয়েছে। প্রকল্পটির দুর্নীতির বিষয়টি একনেকে উপস্থাপনের জন্য আইএমইডি থেকে ইতোমধ্যেই একনেকে অণু বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দয়াগঞ্জ, ধলপুর এবং সূত্রাপুর ক্লিনার কলোনি শীর্ষক এ প্রকল্পটি ২০০৫ সালে হাতে নেয় সরকার। এর ব্যয় ধরা হয় ২০ কোটি ৯৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা। প্রকল্পের আওতায় ৪ তলা বিশিষ্ট ১২টি ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। এর মধ্যে ২০০৬ সালে ৯টি ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে একটি ২০০৭ সালের মে মাসে নির্মাণ চলাকালীন ধসে পড়ে। বাকি আটটি ভবনের লোড ডিজাইনে লোড নেয়ার ক্ষমতা নেই। ফলে বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা, এ আটটি ভবন ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। ভবনগুলো নির্মাণে কাজের আদেশ দেয়ার ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে বলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রত্যেকটি ভবন নির্মাণে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি দামে কাজের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এর ফলে ১ কোটি ২২ লাখ টাকার দুর্নীতি করা হয়। আইএমডি মনে করছে, নির্দিষ্ট ঠিকাদারকে কাজ দেয়ার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে উচ্চ মূল্যে কাজ দেয়া হয়েছে। এখানে দুর্নীতি হয়েছে। আবার প্রকল্পটি বর্তমান ২০১১-১২ অর্থবছরে শেষ করার জন্য নির্ধারিত না থাকলেও সমাপ্ত ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে খতিয়ে দেখার অনুরোধ করা হয়েছে।
আইএমইডি প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আটটি ভবনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় সরকারের অপচয় হয়েছে ১২ কোটি ২১ লাখ ১৩ হাজার টাকা। এ ভবনগুলোয় কয়েক হাজার নিম্ন বেতন ভোগী কর্মচারী মানবেতর ও ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপন করছে। যে কোন মুহূর্তে ভবনগুলো ধসে প্রাণহানি ঘটতে পারে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
ভবন ধসের বিষয়ে, বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের দেয়া প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নির্মাণ কাজের জন্য ঠিকাদার দক্ষ প্রকৌশলী ও দক্ষ জনবল নিয়োগ করেনি। একই সঙ্গে মানসম্মতভাবে কংক্রিটের কাজ করা হয়নি। এর শাস্তি হিসেবে ঠিকাদারদের নিজ দায়িত্বে ধসে যাওয়া ভবনটি অপসারণের পর নতুন করে নির্মাণ করার সুপারিশ করেছে।
জানা গেছে, ঢাকা সিটি কর্পোরশনের নিজস্ব তদন্তে প্রকল্পের দুর্নীতিতে প্রকল্প পরিচালকের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে অন্য একটি প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
প্রকল্পটির দুর্নীতির বিষয়ে আইএমইডির সচিব মোজাম্মেল হক খান জনকণ্ঠকে জানান, আমরা প্রায় দেড় মাস আগে প্রকল্পটি সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। সে সময় দুর্নীতির প্রমাণ মেলায় পুনরায় দ্বিতীয়বার এটি ভালভাবে খতিয়ে দেখা হয়েছে। প্রকল্পটির দুর্নীতির বিষয়টি একনেকে উপস্থাপনের জন্য আইএমইডি থেকে ইতোমধ্যেই একনেকে অণু বিভাগে পাঠানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দয়াগঞ্জ, ধলপুর এবং সূত্রাপুর ক্লিনার কলোনি শীর্ষক এ প্রকল্পটি ২০০৫ সালে হাতে নেয় সরকার। এর ব্যয় ধরা হয় ২০ কোটি ৯৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা। প্রকল্পের আওতায় ৪ তলা বিশিষ্ট ১২টি ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। এর মধ্যে ২০০৬ সালে ৯টি ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে একটি ২০০৭ সালের মে মাসে নির্মাণ চলাকালীন ধসে পড়ে। বাকি আটটি ভবনের লোড ডিজাইনে লোড নেয়ার ক্ষমতা নেই। ফলে বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা, এ আটটি ভবন ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। ভবনগুলো নির্মাণে কাজের আদেশ দেয়ার ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে বলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রত্যেকটি ভবন নির্মাণে প্রায় ১০ শতাংশ বেশি দামে কাজের অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। এর ফলে ১ কোটি ২২ লাখ টাকার দুর্নীতি করা হয়। আইএমডি মনে করছে, নির্দিষ্ট ঠিকাদারকে কাজ দেয়ার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে উচ্চ মূল্যে কাজ দেয়া হয়েছে। এখানে দুর্নীতি হয়েছে। আবার প্রকল্পটি বর্তমান ২০১১-১২ অর্থবছরে শেষ করার জন্য নির্ধারিত না থাকলেও সমাপ্ত ঘোষণা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে খতিয়ে দেখার অনুরোধ করা হয়েছে।
আইএমইডি প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আটটি ভবনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় সরকারের অপচয় হয়েছে ১২ কোটি ২১ লাখ ১৩ হাজার টাকা। এ ভবনগুলোয় কয়েক হাজার নিম্ন বেতন ভোগী কর্মচারী মানবেতর ও ঝুঁকিপূর্ণ জীবনযাপন করছে। যে কোন মুহূর্তে ভবনগুলো ধসে প্রাণহানি ঘটতে পারে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে।
ভবন ধসের বিষয়ে, বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের দেয়া প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নির্মাণ কাজের জন্য ঠিকাদার দক্ষ প্রকৌশলী ও দক্ষ জনবল নিয়োগ করেনি। একই সঙ্গে মানসম্মতভাবে কংক্রিটের কাজ করা হয়নি। এর শাস্তি হিসেবে ঠিকাদারদের নিজ দায়িত্বে ধসে যাওয়া ভবনটি অপসারণের পর নতুন করে নির্মাণ করার সুপারিশ করেছে।
জানা গেছে, ঢাকা সিটি কর্পোরশনের নিজস্ব তদন্তে প্রকল্পের দুর্নীতিতে প্রকল্প পরিচালকের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায়। কিন্তু তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে অন্য একটি প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
No comments