শেখ হাসিনার সফর সম্পর্কের ৰেত্রে নতুন মাত্রা আনবে-আশাবাদী নতুন ভারতীয় হাইকমিশনার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়াদিলস্নী সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দ্বিপাকি সম্পর্কে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে বলে মনে করেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের নয়া হাইকমিশনার রজত মিত্র। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট ্রসচিব মোহাম্মদ মিজারম্নল কায়েসের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁরা বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। আগামী ১০ জানুয়ারি রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের কথা রয়েছে। সফরকালে সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধ দমনে তিনটি চুক্তি এবং বিদু্যত খাতে সহযোগিতা বিষয়ক একটি সমঝোতা স্মারক এবং পণ্যের মান নিয়ন্ত্রন সংক্রানত্ম আলাদা একটি চুক্তি স্বারের কথা রয়েছে। আলোচিত এই সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১১ জানুয়ারি নয়াদিলস্নীতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়া কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখাজর্ী, রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং লোকসভায় প্রধান বিরোধী দল বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। সফরকালে শেখ হাসিনা আজমীর শরীফে খাজা মইনুদ্দীন চিশতির মাজার জিয়ারত করেন। ভারত সফরকালে প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের বোলপুরে শানত্মিনিকেতনে যাবেন। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের প্রবীণ বাম নেতা জ্যোতি বসু এবং মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গেও তাঁর বৈঠকের কথা রয়েছে।
নয়া হাইকমিশনার রজত মিত্র গত ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আসেন। তিনি সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবতর্ীর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। এর আগে রজত মিত্র সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি জিলস্নুর রহমানের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিপুল বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরম্নত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, দণি এশিয়ার নিকটবর্তী প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ সব সময় গুরম্নত্ব দিয়ে আসছে। সকল প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা উলেস্নখ করে তিনি বলেন, এ অঞ্চলের জনগণের আর্থ-সামাজিক মুক্তি অর্জনে দণি এশিয়ার দেশগুলোর সম্মিলিত প্রয়াস জরম্নরী। রাষ্ট্রপতি তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে আনত্মর্জাতিক মানের বাংলাদেশী তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া, সিরামিক সামগ্রী বেশি করে আমদানির জন্য ভারতীয় উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান। বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ককে ঐতিহাসিক ও বহুমুখী উলেস্নখ করে তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবিচল সমর্থনের কথা ভুলে যাওয়া যাবে না এবং আমরা আপনার দেশের এই বিশাল অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। রাষ্ট্রপতি ভারতীয় নতুন দূতকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং আশা করেন ঢাকা ও দিলস্নীর মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাকি সম্পর্ক আরও গভীর ও কার্যকর করার েেত্র হাইকমিশনার কার্যকর অবদান রাখবেন।
এ সময় হাইকমিশনার রজত মিত্র বলেন, সাউথ এশিয়া মুক্তবাণিজ্য এলাকা (সাফটা) চুক্তি বাসত্মবায়িত হলে ব্যবসা-বাণিজ্যেেত্র উভয় দেশ লাভবান হবে। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, তিনি এখানে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বিনিয়োগ গড়ে তোলার জন্য কাজ করবেন। এ ছাড়াও তিনি ২০১১ সালে নোবেল বিজয়ী মহান বাঙালী কবিগুরম্ন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে উদ্যাপনের উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এ সময় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের উপহাইকমিশনার মুক্তা ডি তুমার উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব সফিউল আলম, পররাষ্ট ্রসচিব মিজারম্নল কায়েস, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোঃ হুমায়ুন কবির ও রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব একেএম নেসারউদ্দিন ভঁূইয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
নয়া হাইকমিশনার রজত মিত্র গত ২৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আসেন। তিনি সাবেক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবতর্ীর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। এর আগে রজত মিত্র সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি জিলস্নুর রহমানের কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান বিপুল বাণিজ্য ব্যবধান কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরম্নত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, দণি এশিয়ার নিকটবর্তী প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ সব সময় গুরম্নত্ব দিয়ে আসছে। সকল প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে বাংলাদেশের অঙ্গীকারের কথা উলেস্নখ করে তিনি বলেন, এ অঞ্চলের জনগণের আর্থ-সামাজিক মুক্তি অর্জনে দণি এশিয়ার দেশগুলোর সম্মিলিত প্রয়াস জরম্নরী। রাষ্ট্রপতি তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে আনত্মর্জাতিক মানের বাংলাদেশী তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া, সিরামিক সামগ্রী বেশি করে আমদানির জন্য ভারতীয় উদ্যোক্তাদের প্রতি আহবান জানান। বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ককে ঐতিহাসিক ও বহুমুখী উলেস্নখ করে তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবিচল সমর্থনের কথা ভুলে যাওয়া যাবে না এবং আমরা আপনার দেশের এই বিশাল অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। রাষ্ট্রপতি ভারতীয় নতুন দূতকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং আশা করেন ঢাকা ও দিলস্নীর মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাকি সম্পর্ক আরও গভীর ও কার্যকর করার েেত্র হাইকমিশনার কার্যকর অবদান রাখবেন।
এ সময় হাইকমিশনার রজত মিত্র বলেন, সাউথ এশিয়া মুক্তবাণিজ্য এলাকা (সাফটা) চুক্তি বাসত্মবায়িত হলে ব্যবসা-বাণিজ্যেেত্র উভয় দেশ লাভবান হবে। ভারতের হাইকমিশনার বলেন, তিনি এখানে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বিনিয়োগ গড়ে তোলার জন্য কাজ করবেন। এ ছাড়াও তিনি ২০১১ সালে নোবেল বিজয়ী মহান বাঙালী কবিগুরম্ন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে উদ্যাপনের উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। এ সময় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের উপহাইকমিশনার মুক্তা ডি তুমার উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের সচিব সফিউল আলম, পররাষ্ট ্রসচিব মিজারম্নল কায়েস, রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোঃ হুমায়ুন কবির ও রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব একেএম নেসারউদ্দিন ভঁূইয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
No comments