ফিরে দেখা

রাজাকারদের সর্দার রাসেল রানা সম্প্রতি মহানগর নাট্যমঞ্চে কৃষকলীগের আলোচনাসভা ছিল। মহান বিজয় দিবস উপল েএ আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের উপ-নেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি।


তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় কার্যকরের পরেই যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকারদের বিচার শুরু হবে। আর কয়েকদিন পরই যাদের বিচার শুরু হবে (যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার) তারা কিনা আজ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিচ্ছে। রাজাকারদের সংবর্ধনা যারা নিয়েছে তারা কোনভাবেই মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে না। তারা বরং মুক্তিযুদ্ধে রাজাকারদের সহযোগিতা করেছে। এ সময় সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে "রাজাকারদের সর্দার" আখ্যায়িত করে বলেন, এই রাজাকারের সর্দারদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই। সাজেদা চৌধুরীর এ বক্তব্যের প্রেেিত মিলনায়তনে উপস্থিত একজন বলেন, শুধু মুখে বললেই হবে না, দ্রুত আমরা বিচার শুরু দেখতে চাই।

উধাও
সঞ্জয় রায় চৌধুরী, মাগুরা মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ও কাদিরপাড়া ইউনিয়ন থেকে পল্লী নারী জাগরণ সংস্থা নামে একটি ভুয়া এনজিও দু'শ' গ্রামবাসীর ৮ লাখ টাকা সঞ্চয় নিয়ে পালিয়েছে। উক্ত ভুয়া এনজিও-এর ৬ কর্মকর্তা ও কর্মচারী নাকোল বাজারে অফিস স্থাপন করে প্রচার করে ১শ' টাকা জমা দিলে ১ হাজার ঋণ দেয়া হবে। গ্রামবাসীরা যে পরিমাণ ঋণ নেবে সেই পরিমাণ টাকা জমা দিয়ে ঋণ নিতে গিয়ে দেখে অফিস বন্ধ, কর্মচারীরাও উধাও। ফলে দরিদ্র গ্রামবাসীরা অর্থ হারিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে। এই ভুয়া এনজিওটি শরীয়তপুর থেকে একই পদ্ধতিতে অনেক টাকা নিয়ে পালিয়েছে। প্রতারকরা কত রকমের প্রতারণা করতে পারে এটা তার একটা উদাহরণ। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

ছবি দেখে বোঝা যায় না
বিভাষ বাড়ৈ গত কয়েকদিন আগে প্রকাশিত হয়েছে প্রাথমিক শিা সমাপনী পরীার ফল। ওই দিন আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার মহিউদ্দিনকে রিপোর্ট করতে দিলাম সার্বিকভাবে মেয়েরা কেমন ফল করেছে। লক্ষ্মী ছেলের মতো সুন্দর করে নিউজ লিখে দিল। ব্যস্ততার কারণে আমি আর রিপোর্টটা দেখতে পারিনি। পরের দিন নিউজ ছাপা হলো। তখন দেখি সে রিপোর্টে লেখেছে দেশে যে দশ শিাথর্ী সেরা হয়েছে তাদের মধ্যে ছয় জন মেয়ে রয়েছে। রিপোর্ট দেখে তাকে বললাম সেরা দশের মধ্যে মেয়ে ছিল সাত জন তুই ছয় জন লেখেছিস কেন? তাৎণিকভাবে মহিউদ্দিন বলে দাদা আজ কাল ছবি দেখে বোঝা যায় না কোনটা ছেলে কোনটা মেয়ে। আর আমি নাম দেখে কিভাবে বুঝতে পারব সাত জন মেয়ে!

চেয়ারম্যানের টেলিভিশন প্রেম!
মহিউদ্দিন আহমেদ যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে গণমাধ্যমের পরিবর্তন ঘটছে। প্রিন্ট মিডিয়ার গুরুত্ব কখনো কমবে না ঠিক আছে, কিন্তু এখন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষ দিনের খবর দিনে পাচ্ছে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মধ্যে আবার বেশি জনপ্রিয় টেলিভিশন। কারণ এর মাধ্যমে মানুষ নিজের ছবি নিজে দেখতে পায়। সঙ্গে অন্যরাও। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের অনেকের এ প্রচার মাধ্যমকে বেশি পছন্দ করে। হবিগঞ্জের এক চেয়ারম্যানের কথায় এমনটাই বোঝা গেছে। গত কয়েকদিন আগে বিধবা মহিলাদের উন্নয়নে কাজ করা রিওপা প্রকল্পের কাজের উন্নতি দেখার জন্য ঢাকা থেকে কয়েক জন রিপোর্টার যাই হবিগঞ্জে। সেখানে আমাদের সঙ্গে কথা হয় হবিগঞ্জের ৭ নম্বর নূরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সঙ্গে। যখন তিনি আমাদের সবার পরিচয় জানতে চাইলেন তখন একে একে আমার সবাই নিজেদের পরিচয় দেই। তখন চেয়ারম্যান মন খারাপ করে বলেন, কোন টেলিভিশন সাংবাদিক আসেনি আপনাদের সঙ্গে। তখন নিউএজ পত্রিকার সাংবাদিক ফয়সাল ভাই বলল, আমরা বুঝলাম চেয়ারম্যান সাহেবের টিভিপ্রেম অনেক।

No comments

Powered by Blogger.