বাংলাভাষা : সংস্কৃতির রক্ষাকবচ ঐক্যের জন্য অবলম্বন by সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
পাকিস্তানি রাষ্ট্রব্যবস্থা চেয়েছিল সব বাঙালি উর্দু শিখবে। কিন্তু সে চাওয়াটিকে যথেষ্ট মনে করেনি তারা। বাংলা ভাষাকে যতভাবে পারা যায় জব্দ করার জন্য মস্তবড় উদ্যোগ নিয়েছিল। তারা চাইল আরবি হরফ চালু করবে। চাইল বাংলা ভাষায় যত তথাকথিত হিন্দুয়ানি শব্দ আছে সব তুলে নদীতে কিংবা সাগরে দেবে ফেলে। এই তৎপরতাটা বড় মজার।
এককালে বাংলা ভাষায় বিস্তর ফার্সি-আরবি শব্দ ছিল, যা কি না মুসলিম শাসনের ফল। ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার পর রাষ্ট্রীয় আনুকূল্যে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের পণ্ডিতরা সে সব শব্দকে দূরে হাঁকিয়ে দিয়ে ভাষার সংস্কৃতায়ন ঘটিয়েছিলেন। পাকিস্তান যেন তার প্রতিশোধ নিল এত দিনে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে 'পূর্ববঙ্গ ভাষা সংস্কার কমিটি' গঠিত হলো, পাকিস্তানমনস্ক বাঙালিদের নিয়ে, যাঁরা উদ্যোগ নিলেন সংস্কৃত শব্দ হটিয়ে আরবি-ফার্সিকে প্রবলভাবে ফেরত আনার। বলা হলো_বিদ্যা চলবে না, এলেম বসাতে হবে, জন্মজন্মান্তর নিতান্তই হিন্দুয়ানি, তার জায়গায় রোজ কেয়ামত চললেও চলতে পারে, অন্য কিছু অচল, 'সন্ন্যাসী' থাকার দরকার নেই কোনো, আমাদের তো 'পীরেরা' রয়েছেন।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ভাষার ঐতিহ্যকে খণ্ডিত করে দিতে চাইল। রবীন্দ্রনাথকে দূরে সরানোর চেষ্টা হলো। নজরুল ইসলামকে পর্যন্ত সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। একদা সেই আশ্চর্য শহর কলকাতা তার নিজের মানদণ্ডকে বাংলা ভাষার ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। কলকাতার আশপাশের মানুষের মুখের ভাষা বাংলা চলতি রীতির ভিত হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখন ঢাকা হয়েছে রাজধানী। তাহলে ঢাকার কুট্টিদের না হোক বিক্রমপুরের ভাষা কেন সাহিত্যের চলতি ভাষা হবে না? 'খাবো' যদি চলে তাহলে 'খামু' কি দোষ করল। 'বলবো'র তুলনায় 'কমু' কম কিসে?_এমন সব বক্তব্য খাড়া করা হয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস তো কোনোদিনই পেছনের দিকে যায় না। ভাষা তার অর্জনগুলোকে ত্যাগ করে না। বাংলা ভাষা তাই বিক্রমপুরের নিম্নভূমিতে তলিয়ে যেতে রাজি হলো না। কিছুতেই না।
স্বাভাবিক ছিল তাই রাষ্ট্রভাষার জন্য আন্দোলন হবে, কোনোদিনই যে ভাষা রাষ্ট্রভাষা হয়নি সেই বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষা হবে। প্রথমে দাবি ছিল অন্যতম রাষ্ট্রভাষা, পরে তা রূপ নিল একমাত্র রাষ্ট্রভাষার। এর কারণ বাঙালি মধ্যবিত্তের বিকাশ। এই মধ্যবিত্ত বাংলা ভাষাকে ছাড়তে রাজি ছিল না। সেই প্রতিরোধ থেকে ধাপে ধাপে যে গণ-আন্দোলন গড়ে উঠেছে, তার আঘাতে রাষ্ট্র ভেঙে গেল, আবারও প্রমাণ হলো যে ভাষা বড়, রাষ্ট্রের চেয়েও বড়। আশা করা গিয়েছিল যে স্বাধীন বাংলাদেশ হবে স্বপ্নসম্ভব এক দেশ। সেখানে শোষণ থাকবে না, বিভাজন দূর হবে, মানুষ পরিণত হবে মানুষের আপনজনে এবং রাষ্ট্র হবে মানুষের মিত্র।
সাম্প্রদায়িকতা অতীতের ঘটনায় পরিণত হবে, ধনী-নির্ধনের ব্যবধান পালানোর পথ পাবে না খুঁজে। রাষ্ট্রের বৈরিতার অবসানে এবং তার উৎসাহে বাংলাদেশে সাহিত্যে অত্যাশ্চর্য বিকাশ ঘটার কথা। আশা ছিল, সমাজতন্ত্রাভিমুখী এই গণতান্ত্রিক ও ইহজাগতিক রাষ্ট্রে অশিক্ষিত বলে আর কেউ থাকবে না। সর্বত্র বাংলা চলবে। বাঙালি তো অবশ্যই বিদেশিরাও বাংলা শিখবে সোৎসাহে। অনুবাদের কোনো অবধি থাকবে না_বাংলা অনুবাদ তো বটেই বাংলারও অনুবাদ হবে। বাংলাদেশে বাঙালি খাঁটি বাঙালি হবে।
কিন্তু হায়, সে সব কিছুই ঘটেনি। হ্যাঁ, মধ্যবিত্তের একাংশ অতিদ্রুত ধনী হয়েছে। ধনী হয়ে তারা আর বাঙালি থাকেনি। এ দেশের অভিজাতরা সংস্কৃত, ফার্সি, ইংরেজি, উর্দু ইত্যাদি বলে এসেছে। এখন আবার ইংরেজি বলছে। পুঁথি সাহিত্যের একটা নিজস্ব ভাষা ছিল, মিশ্রিত ভাষা। সে ভাষা পিয়িছে পড়া মানুষরা ব্যবহার করত, তার আসল স্থান ছিল বটতলায়।
এই মিশ্রিত ভাষা এখন হাস্যকর শোনায়, বিশেষ করে শিক্ষিত কানে। এখন এমনকি পাকিস্তানি অঞ্চলের বহুল প্রচলিত আজাদি, কবুল, জিন্দেগি, ইনসাফ ধরনের শব্দও অস্বাভাবিক ঠেকে, বোধ করি রাজাকারদের কথা মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু ইংরেজির মিশেল সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার। শিক্ষিত বাঙালি এখন নিজেদের মধ্যে কথাবার্তায়, বিদেশে নয় দেশেই, যে পরিমাণ ইংরেজি শব্দ, বাক্যাংশ ও পুরোবাক্য ব্যবহার করে, তা অভূতপূর্ব বটে। ইংরেজ আমলেও এত ব্যাপক ছিল না এ ঘটনা। আর এই মিশ্র রীতি পুঁথি রীতির একেবারে উল্টো আবেদন সৃষ্টি করে। এর মধ্যে অপরাগতার চিহ্নমাত্র নেই, বরঞ্চ উচ্চশিক্ষার বিজ্ঞাপন রয়েছে।
কেন ঘটল এ ঘটনা? এতকাল রাষ্ট্র কর্তৃত্ব করেছে ভাষার ওপর, এবার এত দিনে ভাষার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে রাষ্ট্রের ওপর_এই তো ছিল প্রতিশ্রুতি। কেন তা রক্ষিত হলো না? হলো না এই কারণে যে রাষ্ট্রে যাঁদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলো তাঁরা আর খাঁটি বাঙালি রইলেন না। বুর্জোয়ারাই কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করে। এই বুর্জোয়ারা যে জাতীয় বুর্জোয়া নয়, মুৎসুদ্দি বুর্জোয়ামাত্র তার সবচেয়ে দৃষ্টিগ্রাহ্য প্রমাণ হচ্ছে এদের বাংলা ভাষা-বর্জন।
বাঙালির জন্য তার ভাষাই প্রধান ভরসা। বাঙালি আজ বিপন্ন বটে। বাংলাদেশই হওয়ার কথা বাংলা ভাষার কেন্দ্রভূমি, রাজধানী, কিন্তু সেখানেই তার বড় দুর্দশা। অধিকাংশ বাঙালি বাংলা ব্যবহার করে না ব্যবহার জানে না বলে। তারা অশিক্ষিত। যারা জানে তারা ব্যবহার করে না অবজ্ঞায়। যত বেশি উচ্চশিক্ষিত তত বেশি বাংলা ব্যবহারে অনিচ্ছুক। সাম্রাজ্যবাদের আক্রমণে বাঙালি আজ দিশেহারা। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ বাংলা ভাষার অপ্রচলন।
কিন্তু ভরসা ওই বাংলা ভাষাই। সংস্কৃতির রক্ষাকবচ, ঐক্যের জন্য অবলম্বন। মাতৃভাষা ছাড়া প্রকৃত শিক্ষা অসম্ভব। মাতৃভাষাকে বাদ দিয়ে জাতীয়তাবাদের কল্পনা অবাস্তব। বাঙালিকে যদি সৃষ্টিশীল হতে হয়, মধুসূদন হতে হয়, তবে বাংলা ভাষাকে আঁকড়ে ধরতে হবে, অন্য ভাষায় দোষ নেই, তার চর্চা অত্যাবশ্যকই বলা যায়, কিন্তু মধুসূদন হিসেবেই, মাইকেল হয়ে নয়। এমনকি মাইকেল হওয়াতে নিষেধ নেই, যদি মধুসূদনকে পুষ্ট করে। নইলে বাঙালি মানুষ হয়েও মানুষ হবে না। তার সব চলে যাবে যদি ভাষা চলে যায় এবং ভাষা থাকলে ভাষাই বলে দেবে কত জরুরি দূরত্ব সৃষ্টিকারী দেয়ালগুলো ভেঙে ফেলা। সাম্য গড়া।
লেখক : শিক্ষাবিদ ও সমাজ বিশ্লেষক
পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন ভাষার ঐতিহ্যকে খণ্ডিত করে দিতে চাইল। রবীন্দ্রনাথকে দূরে সরানোর চেষ্টা হলো। নজরুল ইসলামকে পর্যন্ত সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। একদা সেই আশ্চর্য শহর কলকাতা তার নিজের মানদণ্ডকে বাংলা ভাষার ওপর চাপিয়ে দিয়েছিল। কলকাতার আশপাশের মানুষের মুখের ভাষা বাংলা চলতি রীতির ভিত হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এখন ঢাকা হয়েছে রাজধানী। তাহলে ঢাকার কুট্টিদের না হোক বিক্রমপুরের ভাষা কেন সাহিত্যের চলতি ভাষা হবে না? 'খাবো' যদি চলে তাহলে 'খামু' কি দোষ করল। 'বলবো'র তুলনায় 'কমু' কম কিসে?_এমন সব বক্তব্য খাড়া করা হয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস তো কোনোদিনই পেছনের দিকে যায় না। ভাষা তার অর্জনগুলোকে ত্যাগ করে না। বাংলা ভাষা তাই বিক্রমপুরের নিম্নভূমিতে তলিয়ে যেতে রাজি হলো না। কিছুতেই না।
স্বাভাবিক ছিল তাই রাষ্ট্রভাষার জন্য আন্দোলন হবে, কোনোদিনই যে ভাষা রাষ্ট্রভাষা হয়নি সেই বাংলা ভাষা রাষ্ট্রভাষা হবে। প্রথমে দাবি ছিল অন্যতম রাষ্ট্রভাষা, পরে তা রূপ নিল একমাত্র রাষ্ট্রভাষার। এর কারণ বাঙালি মধ্যবিত্তের বিকাশ। এই মধ্যবিত্ত বাংলা ভাষাকে ছাড়তে রাজি ছিল না। সেই প্রতিরোধ থেকে ধাপে ধাপে যে গণ-আন্দোলন গড়ে উঠেছে, তার আঘাতে রাষ্ট্র ভেঙে গেল, আবারও প্রমাণ হলো যে ভাষা বড়, রাষ্ট্রের চেয়েও বড়। আশা করা গিয়েছিল যে স্বাধীন বাংলাদেশ হবে স্বপ্নসম্ভব এক দেশ। সেখানে শোষণ থাকবে না, বিভাজন দূর হবে, মানুষ পরিণত হবে মানুষের আপনজনে এবং রাষ্ট্র হবে মানুষের মিত্র।
সাম্প্রদায়িকতা অতীতের ঘটনায় পরিণত হবে, ধনী-নির্ধনের ব্যবধান পালানোর পথ পাবে না খুঁজে। রাষ্ট্রের বৈরিতার অবসানে এবং তার উৎসাহে বাংলাদেশে সাহিত্যে অত্যাশ্চর্য বিকাশ ঘটার কথা। আশা ছিল, সমাজতন্ত্রাভিমুখী এই গণতান্ত্রিক ও ইহজাগতিক রাষ্ট্রে অশিক্ষিত বলে আর কেউ থাকবে না। সর্বত্র বাংলা চলবে। বাঙালি তো অবশ্যই বিদেশিরাও বাংলা শিখবে সোৎসাহে। অনুবাদের কোনো অবধি থাকবে না_বাংলা অনুবাদ তো বটেই বাংলারও অনুবাদ হবে। বাংলাদেশে বাঙালি খাঁটি বাঙালি হবে।
কিন্তু হায়, সে সব কিছুই ঘটেনি। হ্যাঁ, মধ্যবিত্তের একাংশ অতিদ্রুত ধনী হয়েছে। ধনী হয়ে তারা আর বাঙালি থাকেনি। এ দেশের অভিজাতরা সংস্কৃত, ফার্সি, ইংরেজি, উর্দু ইত্যাদি বলে এসেছে। এখন আবার ইংরেজি বলছে। পুঁথি সাহিত্যের একটা নিজস্ব ভাষা ছিল, মিশ্রিত ভাষা। সে ভাষা পিয়িছে পড়া মানুষরা ব্যবহার করত, তার আসল স্থান ছিল বটতলায়।
এই মিশ্রিত ভাষা এখন হাস্যকর শোনায়, বিশেষ করে শিক্ষিত কানে। এখন এমনকি পাকিস্তানি অঞ্চলের বহুল প্রচলিত আজাদি, কবুল, জিন্দেগি, ইনসাফ ধরনের শব্দও অস্বাভাবিক ঠেকে, বোধ করি রাজাকারদের কথা মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু ইংরেজির মিশেল সম্পূর্ণ ভিন্ন ব্যাপার। শিক্ষিত বাঙালি এখন নিজেদের মধ্যে কথাবার্তায়, বিদেশে নয় দেশেই, যে পরিমাণ ইংরেজি শব্দ, বাক্যাংশ ও পুরোবাক্য ব্যবহার করে, তা অভূতপূর্ব বটে। ইংরেজ আমলেও এত ব্যাপক ছিল না এ ঘটনা। আর এই মিশ্র রীতি পুঁথি রীতির একেবারে উল্টো আবেদন সৃষ্টি করে। এর মধ্যে অপরাগতার চিহ্নমাত্র নেই, বরঞ্চ উচ্চশিক্ষার বিজ্ঞাপন রয়েছে।
কেন ঘটল এ ঘটনা? এতকাল রাষ্ট্র কর্তৃত্ব করেছে ভাষার ওপর, এবার এত দিনে ভাষার কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে রাষ্ট্রের ওপর_এই তো ছিল প্রতিশ্রুতি। কেন তা রক্ষিত হলো না? হলো না এই কারণে যে রাষ্ট্রে যাঁদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হলো তাঁরা আর খাঁটি বাঙালি রইলেন না। বুর্জোয়ারাই কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করে। এই বুর্জোয়ারা যে জাতীয় বুর্জোয়া নয়, মুৎসুদ্দি বুর্জোয়ামাত্র তার সবচেয়ে দৃষ্টিগ্রাহ্য প্রমাণ হচ্ছে এদের বাংলা ভাষা-বর্জন।
বাঙালির জন্য তার ভাষাই প্রধান ভরসা। বাঙালি আজ বিপন্ন বটে। বাংলাদেশই হওয়ার কথা বাংলা ভাষার কেন্দ্রভূমি, রাজধানী, কিন্তু সেখানেই তার বড় দুর্দশা। অধিকাংশ বাঙালি বাংলা ব্যবহার করে না ব্যবহার জানে না বলে। তারা অশিক্ষিত। যারা জানে তারা ব্যবহার করে না অবজ্ঞায়। যত বেশি উচ্চশিক্ষিত তত বেশি বাংলা ব্যবহারে অনিচ্ছুক। সাম্রাজ্যবাদের আক্রমণে বাঙালি আজ দিশেহারা। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ বাংলা ভাষার অপ্রচলন।
কিন্তু ভরসা ওই বাংলা ভাষাই। সংস্কৃতির রক্ষাকবচ, ঐক্যের জন্য অবলম্বন। মাতৃভাষা ছাড়া প্রকৃত শিক্ষা অসম্ভব। মাতৃভাষাকে বাদ দিয়ে জাতীয়তাবাদের কল্পনা অবাস্তব। বাঙালিকে যদি সৃষ্টিশীল হতে হয়, মধুসূদন হতে হয়, তবে বাংলা ভাষাকে আঁকড়ে ধরতে হবে, অন্য ভাষায় দোষ নেই, তার চর্চা অত্যাবশ্যকই বলা যায়, কিন্তু মধুসূদন হিসেবেই, মাইকেল হয়ে নয়। এমনকি মাইকেল হওয়াতে নিষেধ নেই, যদি মধুসূদনকে পুষ্ট করে। নইলে বাঙালি মানুষ হয়েও মানুষ হবে না। তার সব চলে যাবে যদি ভাষা চলে যায় এবং ভাষা থাকলে ভাষাই বলে দেবে কত জরুরি দূরত্ব সৃষ্টিকারী দেয়ালগুলো ভেঙে ফেলা। সাম্য গড়া।
লেখক : শিক্ষাবিদ ও সমাজ বিশ্লেষক
No comments