পবিত্র কোরআনের আলো-আল্লাহকে ভালোবাসতে হলে তাঁর রাসুল (সা.)-কে অনুসরণ করতে হবে
৩১। ক্বুল ইন কুন্তুম তুহিব্বূনাল্লাহা ফাত্তাবি'ঊনী ইউহ্বিব্কুমুল্লাহু ওয়া ইয়াগ্ফির্লাকুম যুনূবাকুম; ওয়াল্লাহু গাফূরুর রাহিম।
৩২। ক্বুল আত্বী'ঊল্লাহা ওয়ার্রাসূলা ফা-ইন তাওয়াল্লাও ফা-ইন্নাল্লাহা লা-ইউহিব্বুল কাফিরীন। ৩৩। ইন্নাল্লাহাস্ত্বফা আদামা ওয়া নূহাওঁ ওয়া আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা 'ইম্রানা 'আলাল 'আলামীন।
৩২। ক্বুল আত্বী'ঊল্লাহা ওয়ার্রাসূলা ফা-ইন তাওয়াল্লাও ফা-ইন্নাল্লাহা লা-ইউহিব্বুল কাফিরীন। ৩৩। ইন্নাল্লাহাস্ত্বফা আদামা ওয়া নূহাওঁ ওয়া আলা ইব্রাহীমা ওয়া আলা 'ইম্রানা 'আলাল 'আলামীন।
৩৪। যুর্রিইয়াতাম বা'দ্বুহা মিম বা'দ্বিন ওয়াল্লাহু সামী'উন 'আলীম।
[সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৩১-৩৪]
অনুবাদ : ৩১. (হে রাসুল) আপনি বলে দিন, যদি তোমরা আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসো, তবে আমাকে অনুসরণ করো। তাহলেই আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ তায়ালা অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়াবান।
৩২. আপনি বলে দিন, তোমরা আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল (সা.)-কে মেনে চলো। এর পরও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে আপনি জেনে রাখুন, আল্লাহ তায়ালা কখনো কাফিরদের পছন্দ করেন না।
৩৩. অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আদম (আ), নূহ (আ), ইব্রাহিম (আ.) এবং ইমরান (আ.)-এর বংশধরদের জগদ্বাসীর ওপর নেতৃত্ব করার জন্য বাছাই করেছেন।
৩৪. তাঁদের সন্তানরা বংশানুক্রমে পরস্পর পরস্পরের অধস্তন পুরুষ। আল্লাহ তায়ালা সবকিছু শোনেন এবং জানেন।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতগুলো আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায়ই এসেছে। এখানে মানবজাতিকে সার্বিকভাবে সঠিক পথের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং মানবজাতির আদি ইতিহাস থেকে ক্রমবিকাশের ধারার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। ৩১ ও ৩২ নম্বর আয়াতে বেশ স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, মানুষ যদি আল্লাহকে ভালোবাসতে চায়, তাঁকে খুশি করতে চায়, তাহলে তাঁর রাসুল হজরত মুহাম্মদ (স.)-কে অনুসরণ করতে হবে, তাঁকে মেনে চলতে হবে। তিনি আল্লাহর রাসুল। সুতরাং তাঁকে মেনে চলা মানেই আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলা। আল্লাহ কিসে খুশি হন আর কিসে হন না, তা আমরা জানি না। তিনি শুধু রাসুল (সা.) এবং কোরআনের মাধ্যমে আমাদের যা কিছু জানান, সেটুকুই জানতে পারি। অতএব আল্লাহর নির্দেশিত বিধান অনুসরণ করতে হলে রাসুল (সা.)-এর জীবনাদর্শই অনুসরণ করতে হবে। ৩১ নম্বর আয়াতে কথাটি পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে এবং ৩২ নম্বর আয়াতে এটা আবার পুনরুল্লেখ করে বলা হয়েছে, এর পরও যারা মুখ ফিরিয়ে নেবে, তাদের ফয়সালা আল্লাহর হাতে। আল্লাহ কাফিরদের পছন্দ করেন না। সুতরাং তারা তাদের নাফরমানির পরিণতি ভোগ করবে।
৩৩ ও ৩৪ নম্বর আয়াতে মানবজাতির আদি ইতিহাসের প্রতি ইঙ্গিত করে আমাদের প্রধান প্রধান সম্মানিত পূর্বপুরুষের নাম উল্লেখ করে তাঁদের নেতৃত্ব এবং তাঁদের বংশধরদের নেতৃত্বের বৈধতা স্বীকার করা হয়েছে। এখানে আদম (আ.), নূহ (আ.), ইব্রাহিম (আ.) ও ইমরান (আ.)-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই নাম উল্লেখের অর্থ সীমাবদ্ধকরণ নয়। তাঁদের মধ্যে আরো অনেক নবী-রাসুল ও নেতৃত্বশীল সম্মানিত ব্যক্তি এসেছেন। আর বংশধর বলতেও শুধু রক্ত-সম্পর্কের বংশধর নয়, বরং যাঁরা তাঁদের আদর্শ অনুসরণ করেছেন, তাঁদেরকেও বংশধর বা সম্প্রদায়ের মধ্যে গণ্য করা হয়েছে। ৩৪ নম্বর আয়াতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের সন্তানরা আবার পরস্পরের বংশধর। অর্থাৎ বংশপরম্পরায়ও সামাজিক নেতৃত্ব এবং মানবিক উৎকর্ষ চলে এসেছে। উপরোলি্লখিত নামগুলো ধারাবাহিকভাবে মানব সভ্যতার আদি পূর্বপুরুষদের। তাঁরা শুধু জন্মদাতা পূর্বপুরুষ নন, তাঁরা আদর্শের শিক্ষাদাতা পূর্বপুরুষও।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
[সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৩১-৩৪]
অনুবাদ : ৩১. (হে রাসুল) আপনি বলে দিন, যদি তোমরা আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসো, তবে আমাকে অনুসরণ করো। তাহলেই আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের ভুলত্রুটি ক্ষমা করে দেবেন। আল্লাহ তায়ালা অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়াবান।
৩২. আপনি বলে দিন, তোমরা আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল (সা.)-কে মেনে চলো। এর পরও যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে আপনি জেনে রাখুন, আল্লাহ তায়ালা কখনো কাফিরদের পছন্দ করেন না।
৩৩. অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা আদম (আ), নূহ (আ), ইব্রাহিম (আ.) এবং ইমরান (আ.)-এর বংশধরদের জগদ্বাসীর ওপর নেতৃত্ব করার জন্য বাছাই করেছেন।
৩৪. তাঁদের সন্তানরা বংশানুক্রমে পরস্পর পরস্পরের অধস্তন পুরুষ। আল্লাহ তায়ালা সবকিছু শোনেন এবং জানেন।
ব্যাখ্যা : এই আয়াতগুলো আগের আয়াতের ধারাবাহিকতায়ই এসেছে। এখানে মানবজাতিকে সার্বিকভাবে সঠিক পথের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং মানবজাতির আদি ইতিহাস থেকে ক্রমবিকাশের ধারার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। ৩১ ও ৩২ নম্বর আয়াতে বেশ স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, মানুষ যদি আল্লাহকে ভালোবাসতে চায়, তাঁকে খুশি করতে চায়, তাহলে তাঁর রাসুল হজরত মুহাম্মদ (স.)-কে অনুসরণ করতে হবে, তাঁকে মেনে চলতে হবে। তিনি আল্লাহর রাসুল। সুতরাং তাঁকে মেনে চলা মানেই আল্লাহর নির্দেশ মেনে চলা। আল্লাহ কিসে খুশি হন আর কিসে হন না, তা আমরা জানি না। তিনি শুধু রাসুল (সা.) এবং কোরআনের মাধ্যমে আমাদের যা কিছু জানান, সেটুকুই জানতে পারি। অতএব আল্লাহর নির্দেশিত বিধান অনুসরণ করতে হলে রাসুল (সা.)-এর জীবনাদর্শই অনুসরণ করতে হবে। ৩১ নম্বর আয়াতে কথাটি পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে এবং ৩২ নম্বর আয়াতে এটা আবার পুনরুল্লেখ করে বলা হয়েছে, এর পরও যারা মুখ ফিরিয়ে নেবে, তাদের ফয়সালা আল্লাহর হাতে। আল্লাহ কাফিরদের পছন্দ করেন না। সুতরাং তারা তাদের নাফরমানির পরিণতি ভোগ করবে।
৩৩ ও ৩৪ নম্বর আয়াতে মানবজাতির আদি ইতিহাসের প্রতি ইঙ্গিত করে আমাদের প্রধান প্রধান সম্মানিত পূর্বপুরুষের নাম উল্লেখ করে তাঁদের নেতৃত্ব এবং তাঁদের বংশধরদের নেতৃত্বের বৈধতা স্বীকার করা হয়েছে। এখানে আদম (আ.), নূহ (আ.), ইব্রাহিম (আ.) ও ইমরান (আ.)-এর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই নাম উল্লেখের অর্থ সীমাবদ্ধকরণ নয়। তাঁদের মধ্যে আরো অনেক নবী-রাসুল ও নেতৃত্বশীল সম্মানিত ব্যক্তি এসেছেন। আর বংশধর বলতেও শুধু রক্ত-সম্পর্কের বংশধর নয়, বরং যাঁরা তাঁদের আদর্শ অনুসরণ করেছেন, তাঁদেরকেও বংশধর বা সম্প্রদায়ের মধ্যে গণ্য করা হয়েছে। ৩৪ নম্বর আয়াতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁদের সন্তানরা আবার পরস্পরের বংশধর। অর্থাৎ বংশপরম্পরায়ও সামাজিক নেতৃত্ব এবং মানবিক উৎকর্ষ চলে এসেছে। উপরোলি্লখিত নামগুলো ধারাবাহিকভাবে মানব সভ্যতার আদি পূর্বপুরুষদের। তাঁরা শুধু জন্মদাতা পূর্বপুরুষ নন, তাঁরা আদর্শের শিক্ষাদাতা পূর্বপুরুষও।
গ্রন্থনা : মাওলানা হোসেন আলী
No comments