ভুল চিকিৎসার কারণে...
চিকিৎসা মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোর অন্যতম। কিন্তু দেশের মানুষ চিকিৎসা নিতে গিয়ে নানাভাবে হয়রানির শিকার হন। সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়া, ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীর বিড়ম্বনা এ ধরনের ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। কিন্তু অবস্থার তেমন উন্নতি হচ্ছে না। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে তা যেন বেড়েই চলেছে।
সম্প্রতি একটি সহযোগী দৈনিকে এ সংক্রান্ত খবর বেরিয়েছে, যা অত্যন্ত মর্মন্তুদ। ওই খবরে বলা হয়- হবিগঞ্জের একটি বেসরকারী সংস্থা বেসরকারী হাসপাতালের মাধ্যমে ৫১ রোগীর ছানি অপারেশন করে। আর ওই হাসপাতালের ভুল অপারেশনে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে ১৮ জন। চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমতি নেয়নি সংস্থাটি।
অপারেশনের পর ১৮ জনের চোখে ইনফেকশন দেখা দেয়। ঐ হাসপাতালের চিকিৎসকরা রোগীদের ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। পরে অন্য দু’টি হাসপাতালে সব রোগীকে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, ১৮ রোগী পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গেছেন। তাঁদের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার আর সম্ভাবনা নেই। ওই ১৮ রোগীকে রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, অপারেশনের আগে রোগীদের কোন পরীক্ষা করা হয়নি। তারা অপারেশনের জন্য উপযুক্ত কিনা সেটা নিশ্চিত না হয়েই অপারেশন করাটা ছিল ভুল। ঐ সব রোগীর মধ্যে কেউ কেউ ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত। যে কোন অপারেশন করার আগে রোগীর রক্ত, ইসিজিসহ নানা ধরনের পরীক্ষা করাটা বাধ্যতামূলক। ঐ রোগীদের ছানি অপারেশন করার আগে কেন এ ধরনের পরীক্ষা করা হয়নি, তা বোধগম্য নয়। এছাড়া অভিযোগ উঠেছে অপারেশনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে জীবাণুমুক্তকরণ করা হয়নি। অপরিষ্কার পরিবেশের কারণে ইনফেকশন হতে পারে এমন ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এ অবস্থায় যে ১৮ জন চিরতরে অন্ধ হয়ে গেল কে নেবে তাদের দায়? রাজধানীর একটি নামী হাসপাতালে এক মহিলা রোগীর পেটে কাপড় রেখেই সেলাই করে দেয় চিকিৎসকরা। এ নিয়ে ওই মহিলা বিগত দুই বছর ধরে অবর্ণনীয় কষ্টে কাটান। বিষয়টি মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন সরকারী দলের একজন সাংসদ। এ নিয়ে ডাক্তারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা সেটাও তিনি জানতে চান।
অন্যদিকে চিকিৎসা নিয়ে চলছে নানা বাণিজ্য। যেখানে সেখানে গজিয়ে উঠছে বেসরকারী হাসপাতাল-ক্লিনিক। বেশির ভাগ ডাক্তার এখন সরকারী হাসপাতালে সময় দেয়ার চেয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিসে অধিক মনোযোগী। এ অবস্থার অবসান হওয়া প্রয়োজন। এ জন্য সরকারী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। সবার আগে জনবল সঙ্কট দূর করতে হবে। প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিতে হবে। জীবনরক্ষাকারী ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদিরও যাতে কোন অভাব না থাকে সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিতে হবে। মনে রাখা প্রয়োজন, স্বাস্থ্যসেবার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত নিয়ে অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই। মানুষের এই মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা একটি গণতান্ত্রিক সরকারের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। সংশ্লিষ্ট পেশায় নিয়োজিতদের দায়িত্বও এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
অপারেশনের পর ১৮ জনের চোখে ইনফেকশন দেখা দেয়। ঐ হাসপাতালের চিকিৎসকরা রোগীদের ইনফেকশন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। পরে অন্য দু’টি হাসপাতালে সব রোগীকে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা নিশ্চিত হয়েছেন যে, ১৮ রোগী পুরোপুরি অন্ধ হয়ে গেছেন। তাঁদের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার আর সম্ভাবনা নেই। ওই ১৮ রোগীকে রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে, অপারেশনের আগে রোগীদের কোন পরীক্ষা করা হয়নি। তারা অপারেশনের জন্য উপযুক্ত কিনা সেটা নিশ্চিত না হয়েই অপারেশন করাটা ছিল ভুল। ঐ সব রোগীর মধ্যে কেউ কেউ ডায়াবেটিসসহ নানা রোগে আক্রান্ত। যে কোন অপারেশন করার আগে রোগীর রক্ত, ইসিজিসহ নানা ধরনের পরীক্ষা করাটা বাধ্যতামূলক। ঐ রোগীদের ছানি অপারেশন করার আগে কেন এ ধরনের পরীক্ষা করা হয়নি, তা বোধগম্য নয়। এছাড়া অভিযোগ উঠেছে অপারেশনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সঠিকভাবে জীবাণুমুক্তকরণ করা হয়নি। অপরিষ্কার পরিবেশের কারণে ইনফেকশন হতে পারে এমন ধারণা বিশেষজ্ঞদের। এ অবস্থায় যে ১৮ জন চিরতরে অন্ধ হয়ে গেল কে নেবে তাদের দায়? রাজধানীর একটি নামী হাসপাতালে এক মহিলা রোগীর পেটে কাপড় রেখেই সেলাই করে দেয় চিকিৎসকরা। এ নিয়ে ওই মহিলা বিগত দুই বছর ধরে অবর্ণনীয় কষ্টে কাটান। বিষয়টি মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন সরকারী দলের একজন সাংসদ। এ নিয়ে ডাক্তারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা সেটাও তিনি জানতে চান।
অন্যদিকে চিকিৎসা নিয়ে চলছে নানা বাণিজ্য। যেখানে সেখানে গজিয়ে উঠছে বেসরকারী হাসপাতাল-ক্লিনিক। বেশির ভাগ ডাক্তার এখন সরকারী হাসপাতালে সময় দেয়ার চেয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিসে অধিক মনোযোগী। এ অবস্থার অবসান হওয়া প্রয়োজন। এ জন্য সরকারী হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। সবার আগে জনবল সঙ্কট দূর করতে হবে। প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দিতে হবে। জীবনরক্ষাকারী ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদিরও যাতে কোন অভাব না থাকে সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিতে হবে। মনে রাখা প্রয়োজন, স্বাস্থ্যসেবার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত নিয়ে অবহেলা করার কোন সুযোগ নেই। মানুষের এই মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা একটি গণতান্ত্রিক সরকারের অন্যতম দায়িত্ব ও কর্তব্য। সংশ্লিষ্ট পেশায় নিয়োজিতদের দায়িত্বও এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
No comments