বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি by সৈয়দ সোহরাব
ঋতু হিসেবে এখন ঘোর শীতকাল। তবে ইট-পাথরের এই যান্ত্রিক নগরীতে গত কয়েক বছর শীত তেমন একটা অনুভূত হয়নি। কিন্তু এবার আর ছাড় দেয়নি শীত। জেঁকে বসেছে রাজধানী ঢাকায়ও। দেশের অন্যান্য অঞ্চলের কথা তো পত্রিকা থেকেই জানছিই।
কনকনে হাড় কাঁপানো শীতে কাবু হয়ে সেসব স্থানে (ঢাকার বাইরে) প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে বহু আদম সনত্মান। বছরের শেষ দিন বৃহস্পতিবার রাজধানীতে সূর্যেরই দেখা মেলেনি তেমন। সারাদিনই আকাশে বিছানো কুয়াশার চাদর সূর্যকে উঁকি দিতে দেয়নি। বিকাল হতে না হতেই ঠা-ার প্রভাব বাড়তে থাকে নগরীতে। ফলে বিদায়ী বছরে অসত্ম যাওয়া সূর্যের শেষ ছবি তুলতে পারেনি শৌখিন আলোকচিত্রীরা।
তবে শীত, কুয়াশা বাদ সাধতে পারেনি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আসা তরম্নণ-তরম্নণীদের। দিনটিকে বর্ণিল করতে, প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা জানাতে বিদায়ী বছরের শেষদিকে তাঁদের ভিড় লৰ্য করা গেছে দেশী-বিদেশী কার্ড ও ফুলের দোকানে। অনেক-প্রেমিক প্রেমিকার পৰেই রাত ১২টা এক মিনিটে ফুল বা কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো সম্ভব নয় বলে তারা বিদায়ী বছরের শেষ দিনেই প্রিয়জনকে ফুল বা কার্ড দিয়ে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছে পার্কে, ফাস্ট ফুডের দোকানে অথবা ফুল বা কার্ডের দোকানে। তবে রাত ১২টা এক মিনিটেই যারা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উদগ্রীব ছিল, বৃহস্পতিবার তাদের একঘণ্টা বেশি অপেৰা করতে হয়েছে। কারণ পয়লা জানুয়ারি থেকে দিনের সময় একঘণ্টা আবার পিছিয়ে দেয়ায় বৃহস্পতিবারটি হয়ে যায় ২৫ ঘণ্টার। ফলে আধুনিক যুগের তরম্নণ-তরম্নণীদের ইংরেজী নববর্ষ সেলিব্রেট করতে অপেৰা করতে হয় এক ঘণ্টা বেশি। তবে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল, ইন্টারনেট অর্থাৎ বায়ু তরঙ্গে ছোটাছুটি শুরম্ন হয়ে যায় লাখ লাখ এসএমএস ও মেইলের। ফলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই মোবাইল তরঙ্গে দেখা দেয় জট, একটি এসএমএস যেতে সময় নেয় অনেকৰণ। ১২টা এক মিনিট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর অভিজাত হোটেল, রেসত্মরাঁগুলোতে ফেনিল উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে সবাই। একে অপরকে 'হ্যাপি নিউ ইয়ার' বলে স্বাগত জানায়, এসে গেল ২০১০। টিএসসিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিৰাথর্ীরা মেতে ওঠে আনন্দ উলস্নাসে।
পুলিশ বিভাগের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় টিনএজাররা। কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে এজন্য রাজধানী জুড়ে ১৫ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে নিয়োজিত রাখা হয়েছিল। র্যাব-পুলিশেরও হুঁশিয়ারি ছিল আনন্দ-ফুর্তি যাই কর, মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে রেহাই নেই। যা কর কা-জ্ঞান, মাত্রাজ্ঞান রেখে কর। এ কারণে গুলশান, বনানী, ধানম-ি, বারিধারা, ডিওএইচএস, টিএসসি, শাহবাগ এলাকাসহ নগরীর গুরম্নত্বপূর্ণ এলাকায় রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যনত্ম ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এমন কড়াকড়ি নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে সেলিব্রেট করনেওয়ালাদের অনেককে চুপসে থাকতে হয়। তবে বাঁধ দিয়ে তো আর বন্যা ঠেকানো যায় না? বিকল্প ব্যবস্থা কোন না কোন থাকেই। বাইরে যেহেতু হৈ-হুলেস্নাড় করা যাবে না, তাই থার্টি ফাস্ট করনেওয়ালারা মাল মসলা আগেই যোগাড় করে রেখেছিলেন। বাইরে নিষেধ থাকলে ঘরে তো আনন্দ করতে নিষেধ নেই। তাই চার দেয়ালের মধ্যে হাল আমলের তরম্নণ-তরম্নণীরা গান-বাজনা ও মদ-বিয়ারের স্বাদে বরণ করে নিল ইংরেজী নববর্ষকে।
দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বেশ দরিদ্র, নেই তেমন সমৃদ্ধি, বীরত্বে আত্মশস্নাঘা থাকলেও জাতি হিসেবে পশ্চাৎপদ, উত্তরণের সদিচ্ছা নেই, দুনর্ীতিতে চ্যাম্পিয়ন_ এই যখন পরিচিতি বিশ্ব দরবারে বাঙালীর তখন বর্ষবরণ বিশেষ কোন উপলৰ নিয়ে আসে না, থাকে না কোন আলাদা তাৎপর্য। গড়পড়তা দিনের মতোই বছরের শেষ ও শুরম্নর দিন পার করে সাধারণ মানুষ। তাঁরা জানেন বছর বছর ভাগ্য বদলায় না তাঁদের। যে হালে বিদায়ী বছরটি গেল, তার চেয়ে অবস্থার খুব হেরফের হবে না নতুন বছরে। বরং দ্রব্যমূল্যের নিত্য উর্ধগতির কারণে খানিকটা অভাব দুর্যোগ আরও বাড়বে। এই শ্রেণীর ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়ার তেমন সুযোগ নেই, যা বাড়ার সুযোগ আছে তা হলো ধার দেনা আর অভাব। বিপদ-আপদ, ধার-কর্জ নিয়ে আগের বছর যেমন গেছে তাদের, নতুন বছরও এমন কি আগামী বছরও তাদের তেমনি যাবে। তবুও আশায় বুক বাঁধে মানুষ। আশা আলোর মতো, আশা থাকুক যেন কেটে যায় তাদের দুর্দিনের ঘোর অমানিশা। নতুন বছরের নতুন সূর্যের তরম্নণ আলোয় কেটে যাক তাঁদের সকল অন্ধকার।
তবে শীত, কুয়াশা বাদ সাধতে পারেনি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে আসা তরম্নণ-তরম্নণীদের। দিনটিকে বর্ণিল করতে, প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা জানাতে বিদায়ী বছরের শেষদিকে তাঁদের ভিড় লৰ্য করা গেছে দেশী-বিদেশী কার্ড ও ফুলের দোকানে। অনেক-প্রেমিক প্রেমিকার পৰেই রাত ১২টা এক মিনিটে ফুল বা কার্ড দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো সম্ভব নয় বলে তারা বিদায়ী বছরের শেষ দিনেই প্রিয়জনকে ফুল বা কার্ড দিয়ে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছে পার্কে, ফাস্ট ফুডের দোকানে অথবা ফুল বা কার্ডের দোকানে। তবে রাত ১২টা এক মিনিটেই যারা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে উদগ্রীব ছিল, বৃহস্পতিবার তাদের একঘণ্টা বেশি অপেৰা করতে হয়েছে। কারণ পয়লা জানুয়ারি থেকে দিনের সময় একঘণ্টা আবার পিছিয়ে দেয়ায় বৃহস্পতিবারটি হয়ে যায় ২৫ ঘণ্টার। ফলে আধুনিক যুগের তরম্নণ-তরম্নণীদের ইংরেজী নববর্ষ সেলিব্রেট করতে অপেৰা করতে হয় এক ঘণ্টা বেশি। তবে বৃহস্পতিবার রাত ১২টার ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল, ইন্টারনেট অর্থাৎ বায়ু তরঙ্গে ছোটাছুটি শুরম্ন হয়ে যায় লাখ লাখ এসএমএস ও মেইলের। ফলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই মোবাইল তরঙ্গে দেখা দেয় জট, একটি এসএমএস যেতে সময় নেয় অনেকৰণ। ১২টা এক মিনিট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর অভিজাত হোটেল, রেসত্মরাঁগুলোতে ফেনিল উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে সবাই। একে অপরকে 'হ্যাপি নিউ ইয়ার' বলে স্বাগত জানায়, এসে গেল ২০১০। টিএসসিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিৰাথর্ীরা মেতে ওঠে আনন্দ উলস্নাসে।
পুলিশ বিভাগের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় টিনএজাররা। কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে এজন্য রাজধানী জুড়ে ১৫ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে নিয়োজিত রাখা হয়েছিল। র্যাব-পুলিশেরও হুঁশিয়ারি ছিল আনন্দ-ফুর্তি যাই কর, মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে রেহাই নেই। যা কর কা-জ্ঞান, মাত্রাজ্ঞান রেখে কর। এ কারণে গুলশান, বনানী, ধানম-ি, বারিধারা, ডিওএইচএস, টিএসসি, শাহবাগ এলাকাসহ নগরীর গুরম্নত্বপূর্ণ এলাকায় রাত ৯টা থেকে ভোর ৬টা পর্যনত্ম ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এমন কড়াকড়ি নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে সেলিব্রেট করনেওয়ালাদের অনেককে চুপসে থাকতে হয়। তবে বাঁধ দিয়ে তো আর বন্যা ঠেকানো যায় না? বিকল্প ব্যবস্থা কোন না কোন থাকেই। বাইরে যেহেতু হৈ-হুলেস্নাড় করা যাবে না, তাই থার্টি ফাস্ট করনেওয়ালারা মাল মসলা আগেই যোগাড় করে রেখেছিলেন। বাইরে নিষেধ থাকলে ঘরে তো আনন্দ করতে নিষেধ নেই। তাই চার দেয়ালের মধ্যে হাল আমলের তরম্নণ-তরম্নণীরা গান-বাজনা ও মদ-বিয়ারের স্বাদে বরণ করে নিল ইংরেজী নববর্ষকে।
দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বেশ দরিদ্র, নেই তেমন সমৃদ্ধি, বীরত্বে আত্মশস্নাঘা থাকলেও জাতি হিসেবে পশ্চাৎপদ, উত্তরণের সদিচ্ছা নেই, দুনর্ীতিতে চ্যাম্পিয়ন_ এই যখন পরিচিতি বিশ্ব দরবারে বাঙালীর তখন বর্ষবরণ বিশেষ কোন উপলৰ নিয়ে আসে না, থাকে না কোন আলাদা তাৎপর্য। গড়পড়তা দিনের মতোই বছরের শেষ ও শুরম্নর দিন পার করে সাধারণ মানুষ। তাঁরা জানেন বছর বছর ভাগ্য বদলায় না তাঁদের। যে হালে বিদায়ী বছরটি গেল, তার চেয়ে অবস্থার খুব হেরফের হবে না নতুন বছরে। বরং দ্রব্যমূল্যের নিত্য উর্ধগতির কারণে খানিকটা অভাব দুর্যোগ আরও বাড়বে। এই শ্রেণীর ব্যাংক ব্যালেন্স বাড়ার তেমন সুযোগ নেই, যা বাড়ার সুযোগ আছে তা হলো ধার দেনা আর অভাব। বিপদ-আপদ, ধার-কর্জ নিয়ে আগের বছর যেমন গেছে তাদের, নতুন বছরও এমন কি আগামী বছরও তাদের তেমনি যাবে। তবুও আশায় বুক বাঁধে মানুষ। আশা আলোর মতো, আশা থাকুক যেন কেটে যায় তাদের দুর্দিনের ঘোর অমানিশা। নতুন বছরের নতুন সূর্যের তরম্নণ আলোয় কেটে যাক তাঁদের সকল অন্ধকার।
No comments