তর্কটা তুলে দিল স্পেন
সময়মতো জ্বলে ওঠা। ঘিরে ধরা সব সংশয়-সন্দেহ এক ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়া। সত্যিকারের বড় দলগুলো এখানেই সবার চেয়ে আলাদা। ইউরোর ফাইনালে ইতালিকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সেটা আবার প্রমাণ করল স্পেন। ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরো—স্পেনের এই ত্রিমুকুট জয় এই প্রশ্নও তুলে দিয়েছে, তারাই কি সর্বকালের সর্বসেরা ফুটবল দল? ক্যাসিয়াসের এই স্পেনের সঙ্গে কোন দলেরই বা তুলনা আসছে।
ব্রাজিল
১৯৭০
অনেকের চোখেই ব্রাজিলের ১৯৭০ বিশ্বকাপজয়ী দলটিই সর্বকালের সেরা। বিশ্বকাপ জয়ের পথে প্রতিটি দলকেই দুমড়েমুচড়ে দিয়েছে। ৬ ম্যাচেই করেছে ১৯ গোল। ফাইনালে এবারের ইউরোর মতোই ইতালিয়ানরা উড়ে যায় ১-৪ গোলে। মধ্যমাঠ ও আক্রমণভাগে দলটির সমতুল্য খুঁজে পাওয়া ভার। টুর্নামেন্ট-সেরা গারসনের সঙ্গে মধ্যমাঠে ছড়ি ঘুরিয়েছেন ক্লোদোয়ালদো, রিভেলিনো ও প্রতি ম্যাচেই গোল করা জেয়ারজিনহো। আক্রমণভাগে টোস্টাওয়ের সঙ্গে সর্বকালের সেরা পেলে তো ছিলেনই।
রক্ষণভাগে সেলেসাওদের দুর্বলতা থাকলেও সেটা বুঝতে দেয়নি দুর্দান্ত আক্রমণভাগ। মেক্সিকো বিশ্বকাপে ‘জোগো বনিতো’র ফুল ফোটানো দলটি বিশ্বকে উপহার দিয়েছে অসাধারণ কিছু মুহূর্ত। আর এ সবকিছুই হয়েছে এমন এক যুগে যেটাকে বিবেচনা করা হয় আন্তর্জাতিক ফুটবলের সেরা সময় হিসেবে। ইতালি, পশ্চিম জার্মানি ও ইংল্যান্ড প্রত্যেকেরই সামর্থ্য ছিল বিশ্বসেরা হওয়ার। দক্ষিণ আমেরিকার দুই দল পেরু ও উরুগুয়েও কম বিপজ্জনক ছিল না। আর সবাইকে ছাপিয়েই বিশ্বসেরা পেলের ব্রাজিল।
তবে স্পেনের বর্তমান দলটির টানা তিনটি বড় শিরোপার কাছে শুধু ১৯৭০ বিশ্বকাপ জয়কে সাদা চোখে কমই মনে হয়। তবে মনে রাখতে হবে ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত কোপা আমেরিকা অনুষ্ঠিত হয়নি। আর ১৯৭৪ বিশ্বকাপের আগেই ভেঙে গিয়েছিল ব্রাজিলের এই সোনালি প্রজন্ম।
জার্মানি ১৯৭২-৭৬
স্পেনের আগে হেলমুট শোনের এই দলটিই টানা ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরোর ফাইনাল খেলেছে। দলটির মেরুদণ্ড ছিলেন বায়ার্ন মিউনিখের তিন কিংবদন্তি—গোলরক্ষক সেপ মেয়ার, লিবারো ও অধিনায়ক ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার এবং গোলমেশিন গার্ড মুলার। বলা হয়ে থাকে শারীরিকভাবে জার্মানির এই দলটির মতো কার্যকর দল আর কখনো আসেনি। শুধু শক্তি ও ফিটনেস দিয়ে প্রতিপক্ষকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়াটা ডালভাত ছিল দলটির কাছে।
১৯৭২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নকে হারিয়ে ইউরো, ১৯৭৪-এ হল্যান্ডের টোটাল ফুটবলকে থমকে দিয়ে বিশ্বকাপজয়ী জার্মানি দলটি ১৯৭৬ ইউরোর ফাইনালে টাইব্রেকারে হারে আন্তোনিন পানেনকার চেকোস্লোভাকিয়ার কাছে। সর্বকালের সর্বসেরা দলের প্রশ্নে স্পেনের বর্তমান দলটির সঙ্গে আর যেসব দলের নাম উঠে আসে তাদের মধ্যে জার্মানির দলটিকেই সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ মনে করা হয়। সব বিভাগেই বিশ্বমানের খেলোয়াড়ে পরিপূর্ণ ছিল দলটি। অসাধারণ এক গোলরক্ষক, দৃঢ় রক্ষণভাগ, কুশলী ও পরিশ্রমী মধ্যভাগ এবং সর্বকালের অন্যতম সেরা এক স্ট্রাইকার ছিল দলটিতে। মানসিক দৃঢ়তায় স্পেনের মতোই শক্তিশালী ছিল জার্মানরা। কঠিন পরিস্থিতি থেকে অসংখ্যবার বের হয়ে আসার উদাহরণ আছে দলটির। সবচেয়ে বড় উদাহরণ ১৯৭৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রুইফ ও নিসকেন্সের হল্যান্ডের বিপক্ষে জয়। ১৯৭৬ ইউরোর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল দুটোতেই ২ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও দলটি ফিরে এসেছিল প্রবল বিক্রমে। দুটো ম্যাচই গড়িয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে।
ফ্রান্স
১৯৯৮-২০০০
কাছাকাছি সময়ের দলগুলোর মধ্যে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ (১৯৯৮) ও ইউরোর (২০০০) ডাবলজয়ী এই দলটিকেই স্পেনের পাশাপাশি রাখা যায়। আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা রক্ষণভাগ ছিল এই ফরাসি দলটিতেই। লিলিয়াম থুরাম, মার্সেল দেশাই, লরাঁ ব্লাঁ ও বিজেন্তে লিজারাজুর রক্ষণভাগের ওপরে ছিল জিনেদিন জিদান ও দিদিয়ের দেশমের অসাধারণ মধ্যভাগ। ১৯৯৮ বিশ্বকাপটা আইমে জ্যাকের দল জিতেছিল ভালো মানের কোনো স্ট্রাইকার ছাড়াই। দুই বছর পর অবশ্য থিয়েরি অঁরি ও ডেভিড ত্রেজেগের জুটি নতুন মাত্রা এনেছিল আক্রমণভাগে।
তবে সর্বকালের সেরা দলগুলোর তালিকায় থাকা অন্যান্য দলের সঙ্গে ফ্রান্সের এই দলের মৌলিক পার্থক্যটা অবশ্যই জিদান। একজন খেলোয়াড় একটা দলে কতটা প্রভাব রাখতে পারেন তাঁর সবচেয়ে ভালো উদাহরণ ফরাসিদের প্রিয় জিজু। মাহেন্দ্রক্ষণে জ্বলে ওঠাটাকেই অভ্যেস বানিয়ে ফেলেছিলেন জিদান। বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে হেডের সেই দুই গোল কিংবা ২০০০ ইউরোতে নকআউট পর্বে স্পেন ও পর্তুগালের বিপক্ষে জয়সূচক গোল দুটি তার সাক্ষী।
ফ্রান্সের সাফল্যের এই যুগটাতে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতামুখরই ছিল ফুটবল-বিশ্ব। আন্তর্জাতিক ফুটবলে বিশ্বমানের ফুটবলার ও দলের অভাব ছিল না। রোনালদোর ব্রাজিল, পাওলো মালদিনির ইতালি, এডগার ডাভিডসের হল্যান্ড কিংবা লুইস ফিগোর পর্তুগালকে টপকে বিশ্বসেরা হওয়াটা শুধু সত্যিকারের একটি ভালো দলের পক্ষেই সম্ভব।
মানসিক দিক দিয়েও বেশ দৃঢ় ছিল ফরাসিরা। প্যারাগুয়ে, পর্তুগাল ও ইতালির বিপক্ষে তিনটি গোল্ডেন গোলের জয়ই সেটার প্রমাণ।
যে প্রশ্নের জবাব নেই
ভিন্ন ভিন্ন যুগের দলগুলোর মধ্যে তুলনা করার মতো বিপদ আর নেই। সময়ের সঙ্গে খেলাটা অনেক বদলে যায়। কৌশল বদলায়, বদলায় আইন-কানুন। চামড়ার ফুটবলের জায়গায় এসেছে সিনথেটিক ফুটবল, গতি বেড়েছে, বিপদও বেড়েছে রক্ষণভাগের। ৬০ ও ৭০ দশকের অনেক বিশ্বমানের ফুটবলার যেমন এখনকার গতিময় ফুটবলের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খেতেন, তেমনি এখনকার অনেক তারকাকে সেই যুগের শৈল্পিক ফুটবলের কাছে হয়তো অসহায়ই দেখাত। তবে ওপরে যে তিনটি দলের কথা বলা হলো একটা সময় বিশ্ব ফুটবলে নিরঙ্কুশ শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছিল তারা। এখন যেমন স্পেন। সর্বকালের সেরা দলের প্রশ্নে ১৯৬০ সালের আগের দলগুলোকে হিসাবের বাইরে রাখেন ফুটবলবোদ্ধারা। এর বড় একটা কারণ ওই সময়ের খেলার ভালো ভিডিও ফুটেজ না থাকা। আলাদাভাবে আলোচনা না করা হলেও ১৯৭৪ ও ১৯৮২ বিশ্বকাপে হল্যান্ড ও ব্রাজিল এবং ১৯৮৪ ইউরোর ফ্রান্স দলও ছিল দুর্দান্ত।
ওয়েবসাইট অবলম্বনে মোহাম্মদ সোলায়মান
১৯৭০
অনেকের চোখেই ব্রাজিলের ১৯৭০ বিশ্বকাপজয়ী দলটিই সর্বকালের সেরা। বিশ্বকাপ জয়ের পথে প্রতিটি দলকেই দুমড়েমুচড়ে দিয়েছে। ৬ ম্যাচেই করেছে ১৯ গোল। ফাইনালে এবারের ইউরোর মতোই ইতালিয়ানরা উড়ে যায় ১-৪ গোলে। মধ্যমাঠ ও আক্রমণভাগে দলটির সমতুল্য খুঁজে পাওয়া ভার। টুর্নামেন্ট-সেরা গারসনের সঙ্গে মধ্যমাঠে ছড়ি ঘুরিয়েছেন ক্লোদোয়ালদো, রিভেলিনো ও প্রতি ম্যাচেই গোল করা জেয়ারজিনহো। আক্রমণভাগে টোস্টাওয়ের সঙ্গে সর্বকালের সেরা পেলে তো ছিলেনই।
রক্ষণভাগে সেলেসাওদের দুর্বলতা থাকলেও সেটা বুঝতে দেয়নি দুর্দান্ত আক্রমণভাগ। মেক্সিকো বিশ্বকাপে ‘জোগো বনিতো’র ফুল ফোটানো দলটি বিশ্বকে উপহার দিয়েছে অসাধারণ কিছু মুহূর্ত। আর এ সবকিছুই হয়েছে এমন এক যুগে যেটাকে বিবেচনা করা হয় আন্তর্জাতিক ফুটবলের সেরা সময় হিসেবে। ইতালি, পশ্চিম জার্মানি ও ইংল্যান্ড প্রত্যেকেরই সামর্থ্য ছিল বিশ্বসেরা হওয়ার। দক্ষিণ আমেরিকার দুই দল পেরু ও উরুগুয়েও কম বিপজ্জনক ছিল না। আর সবাইকে ছাপিয়েই বিশ্বসেরা পেলের ব্রাজিল।
তবে স্পেনের বর্তমান দলটির টানা তিনটি বড় শিরোপার কাছে শুধু ১৯৭০ বিশ্বকাপ জয়কে সাদা চোখে কমই মনে হয়। তবে মনে রাখতে হবে ১৯৬৭ থেকে ১৯৭৫ পর্যন্ত কোপা আমেরিকা অনুষ্ঠিত হয়নি। আর ১৯৭৪ বিশ্বকাপের আগেই ভেঙে গিয়েছিল ব্রাজিলের এই সোনালি প্রজন্ম।
জার্মানি ১৯৭২-৭৬
স্পেনের আগে হেলমুট শোনের এই দলটিই টানা ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরোর ফাইনাল খেলেছে। দলটির মেরুদণ্ড ছিলেন বায়ার্ন মিউনিখের তিন কিংবদন্তি—গোলরক্ষক সেপ মেয়ার, লিবারো ও অধিনায়ক ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার এবং গোলমেশিন গার্ড মুলার। বলা হয়ে থাকে শারীরিকভাবে জার্মানির এই দলটির মতো কার্যকর দল আর কখনো আসেনি। শুধু শক্তি ও ফিটনেস দিয়ে প্রতিপক্ষকে মাটিতে মিশিয়ে দেওয়াটা ডালভাত ছিল দলটির কাছে।
১৯৭২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নকে হারিয়ে ইউরো, ১৯৭৪-এ হল্যান্ডের টোটাল ফুটবলকে থমকে দিয়ে বিশ্বকাপজয়ী জার্মানি দলটি ১৯৭৬ ইউরোর ফাইনালে টাইব্রেকারে হারে আন্তোনিন পানেনকার চেকোস্লোভাকিয়ার কাছে। সর্বকালের সর্বসেরা দলের প্রশ্নে স্পেনের বর্তমান দলটির সঙ্গে আর যেসব দলের নাম উঠে আসে তাদের মধ্যে জার্মানির দলটিকেই সবচেয়ে পূর্ণাঙ্গ মনে করা হয়। সব বিভাগেই বিশ্বমানের খেলোয়াড়ে পরিপূর্ণ ছিল দলটি। অসাধারণ এক গোলরক্ষক, দৃঢ় রক্ষণভাগ, কুশলী ও পরিশ্রমী মধ্যভাগ এবং সর্বকালের অন্যতম সেরা এক স্ট্রাইকার ছিল দলটিতে। মানসিক দৃঢ়তায় স্পেনের মতোই শক্তিশালী ছিল জার্মানরা। কঠিন পরিস্থিতি থেকে অসংখ্যবার বের হয়ে আসার উদাহরণ আছে দলটির। সবচেয়ে বড় উদাহরণ ১৯৭৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে ক্রুইফ ও নিসকেন্সের হল্যান্ডের বিপক্ষে জয়। ১৯৭৬ ইউরোর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল দুটোতেই ২ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও দলটি ফিরে এসেছিল প্রবল বিক্রমে। দুটো ম্যাচই গড়িয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে।
ফ্রান্স
১৯৯৮-২০০০
কাছাকাছি সময়ের দলগুলোর মধ্যে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ (১৯৯৮) ও ইউরোর (২০০০) ডাবলজয়ী এই দলটিকেই স্পেনের পাশাপাশি রাখা যায়। আন্তর্জাতিক ফুটবলের ইতিহাসে অন্যতম সেরা রক্ষণভাগ ছিল এই ফরাসি দলটিতেই। লিলিয়াম থুরাম, মার্সেল দেশাই, লরাঁ ব্লাঁ ও বিজেন্তে লিজারাজুর রক্ষণভাগের ওপরে ছিল জিনেদিন জিদান ও দিদিয়ের দেশমের অসাধারণ মধ্যভাগ। ১৯৯৮ বিশ্বকাপটা আইমে জ্যাকের দল জিতেছিল ভালো মানের কোনো স্ট্রাইকার ছাড়াই। দুই বছর পর অবশ্য থিয়েরি অঁরি ও ডেভিড ত্রেজেগের জুটি নতুন মাত্রা এনেছিল আক্রমণভাগে।
তবে সর্বকালের সেরা দলগুলোর তালিকায় থাকা অন্যান্য দলের সঙ্গে ফ্রান্সের এই দলের মৌলিক পার্থক্যটা অবশ্যই জিদান। একজন খেলোয়াড় একটা দলে কতটা প্রভাব রাখতে পারেন তাঁর সবচেয়ে ভালো উদাহরণ ফরাসিদের প্রিয় জিজু। মাহেন্দ্রক্ষণে জ্বলে ওঠাটাকেই অভ্যেস বানিয়ে ফেলেছিলেন জিদান। বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে হেডের সেই দুই গোল কিংবা ২০০০ ইউরোতে নকআউট পর্বে স্পেন ও পর্তুগালের বিপক্ষে জয়সূচক গোল দুটি তার সাক্ষী।
ফ্রান্সের সাফল্যের এই যুগটাতে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতামুখরই ছিল ফুটবল-বিশ্ব। আন্তর্জাতিক ফুটবলে বিশ্বমানের ফুটবলার ও দলের অভাব ছিল না। রোনালদোর ব্রাজিল, পাওলো মালদিনির ইতালি, এডগার ডাভিডসের হল্যান্ড কিংবা লুইস ফিগোর পর্তুগালকে টপকে বিশ্বসেরা হওয়াটা শুধু সত্যিকারের একটি ভালো দলের পক্ষেই সম্ভব।
মানসিক দিক দিয়েও বেশ দৃঢ় ছিল ফরাসিরা। প্যারাগুয়ে, পর্তুগাল ও ইতালির বিপক্ষে তিনটি গোল্ডেন গোলের জয়ই সেটার প্রমাণ।
যে প্রশ্নের জবাব নেই
ভিন্ন ভিন্ন যুগের দলগুলোর মধ্যে তুলনা করার মতো বিপদ আর নেই। সময়ের সঙ্গে খেলাটা অনেক বদলে যায়। কৌশল বদলায়, বদলায় আইন-কানুন। চামড়ার ফুটবলের জায়গায় এসেছে সিনথেটিক ফুটবল, গতি বেড়েছে, বিপদও বেড়েছে রক্ষণভাগের। ৬০ ও ৭০ দশকের অনেক বিশ্বমানের ফুটবলার যেমন এখনকার গতিময় ফুটবলের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খেতেন, তেমনি এখনকার অনেক তারকাকে সেই যুগের শৈল্পিক ফুটবলের কাছে হয়তো অসহায়ই দেখাত। তবে ওপরে যে তিনটি দলের কথা বলা হলো একটা সময় বিশ্ব ফুটবলে নিরঙ্কুশ শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছিল তারা। এখন যেমন স্পেন। সর্বকালের সেরা দলের প্রশ্নে ১৯৬০ সালের আগের দলগুলোকে হিসাবের বাইরে রাখেন ফুটবলবোদ্ধারা। এর বড় একটা কারণ ওই সময়ের খেলার ভালো ভিডিও ফুটেজ না থাকা। আলাদাভাবে আলোচনা না করা হলেও ১৯৭৪ ও ১৯৮২ বিশ্বকাপে হল্যান্ড ও ব্রাজিল এবং ১৯৮৪ ইউরোর ফ্রান্স দলও ছিল দুর্দান্ত।
ওয়েবসাইট অবলম্বনে মোহাম্মদ সোলায়মান
No comments