হ্যাকারদের জন্য লোকসান গুনছে অনেক ব্যাংক
বর্তমান কম্পিউটার যুগে ভাইরাস নিয়ে মানুষকে যে রকম উদ্বিগ্ন থাকতে হচ্ছে তেমনি হ্যাকারদের নিয়েও সারাক্ষণ তটস্থ থাকতে হচ্ছে। হ্যাকাররা হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অনেক গোপনীয় তথ্য-উপাত্ত যেমন চুরি করছে তেমনি বিভিন্ন উপায়ে অনলাইনের মাধ্যমে বিশাল অঙ্কের অর্থও হাতিয়ে নিচ্ছে।
বর্তমানে হ্যাকাররা খুব দ্রুত বিনাপরিশ্রমে প্রচুর পরিমাণ অর্থের মালিক হওয়ার জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের গ্রাহকের এ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ চুরি করছে। সংঘবদ্ধ হ্যাকার চক্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যাংকের গ্রাহকদের এ্যাকাউন্ট হ্যাকিং করে লুটে নিচ্ছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। কম্পিউটার নিরাপত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ম্যাকাফি ও বিখ্যাত সংবাদ সংস্থা গার্ডিয়ানের গবেষণা অনুযায়ী কলম্বিয়া, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যাংক এ পর্যন্ত হ্যাকিংয়ের কারণে প্রায় ৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার হারিয়েছে। হ্যাকাররা হ্যাকিংয়ের জন্য নানা রকম পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে। কিন্তু যতবার হ্যাকিংয়ের চেষ্টা চালানো হয়েছে তার বেশিরভাগ সময়ই হ্যাকাররা অর্থ চুরি করতে ব্যর্থ হয়েছে। যদি হ্যাকারদের সব চেষ্টা সফল হতো তবে ২০০ কোটি ডলার পরিমাণ অর্থ ব্যাংকগুলো থেকে চুরি হয়ে যেত। হ্যাকাররা নিত্যনতুন হ্যাকিংয়ের পদ্ধতি অবলম্বন করে, যার ফলে অনেক সময় তাদের হ্যাকিংয়ের বিষয়টি দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে। আবার হ্যাকাররা নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ঘন ঘন সার্ভারের ঠিকানা বদলায় যার ফলে তাদের হ্যাকিংয়ের স্থানটি শনাক্ত করা দুরূহ হয়ে পড়ে। ইতোমধ্যে হ্যাকাররা একই সঙ্গে অনেক গ্রাহকের এ্যাকাউন্ট হ্যাক করার পদ্ধতি আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। হ্যাকাররা এমনভাবে গ্রাহকের এ্যাকাউন্টে ঢুকে অর্থ চুরি করছে যে গ্রাহকরা তাদের অর্থ যে চুরি যাচ্ছে তা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ধরতেই পারে না। ব্যাংক এ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ চুরি করার জন্য হ্যাকাররা দু’টি সফটওয়্যার ব্যবহার করে, যার মাধ্যমে অন্য ব্যক্তির ব্যাংক এ্যাকাউন্টে গুপ্তচরবৃত্তি করা ও অর্থ স্থানান্তর করা হয়। এগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারীর পাসওয়ার্ডও হ্যাকাররা পেয়ে যায় যার মাধ্যেমে হ্যাকাররা গ্রাহকের এ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে অর্থ স্থানান্তর করে থাকে।
চুরির পর সফটওয়্যারের মাধ্যমে গ্রাহককে ব্যাংক এ্যাকাউন্টের অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে ভুল তথ্যও দেয়া হয়। এসব হ্যাকিং প্রতিরোধে বেশিরভাগ ব্যাংকেরই তেমন কোন মজবুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে এবং প্রতিনিয়ত নতুন রূপ নিচ্ছে। যদি হ্যাকারদের এই আগ্রাসন রোধ করা সম্ভব না হয় তবে গ্রাহকরা তাদের টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত রাখতে যেমন ভরসা পাবে না তেমনি ব্যাংকগুলোকেও ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে। তাই হ্যাকিং প্রতিরোধক এ্যান্টি-ভাইরাস ও সফটওয়্যার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে ম্যাকাফির বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতি ডেস্ক
চুরির পর সফটওয়্যারের মাধ্যমে গ্রাহককে ব্যাংক এ্যাকাউন্টের অর্থের পরিমাণ সম্পর্কে ভুল তথ্যও দেয়া হয়। এসব হ্যাকিং প্রতিরোধে বেশিরভাগ ব্যাংকেরই তেমন কোন মজবুত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। বিশ্বজুড়ে সাইবার হামলার পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে এবং প্রতিনিয়ত নতুন রূপ নিচ্ছে। যদি হ্যাকারদের এই আগ্রাসন রোধ করা সম্ভব না হয় তবে গ্রাহকরা তাদের টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত রাখতে যেমন ভরসা পাবে না তেমনি ব্যাংকগুলোকেও ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে। তাই হ্যাকিং প্রতিরোধক এ্যান্টি-ভাইরাস ও সফটওয়্যার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে ম্যাকাফির বিশ্লেষকরা।
অর্থনীতি ডেস্ক
No comments