হকিংয়ের মস্তিষ্কতরঙ্গ বাক্যে পরিণত করার কাজ শুরু

বিখ্যাত পদার্থবিদ স্টিফেন হকিংয়ের মস্তিষ্কতরঙ্গের গতিবিধির বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন মার্কিন বিজ্ঞানী ফিলিপ লো। তিনি মনে করেন, হকিংয়ের মস্তিষ্কতরঙ্গ শব্দতরঙ্গে পরিণত করা গেলে তাঁর যোগাযোগ-সামর্থ্য রক্ষা করা যাবে।


স্নায়ুতন্ত্রের জটিল রোগে আক্রান্ত হকিং বর্তমানে মুখের মাংসপেশির নড়াচড়া যান্ত্রিক উপায়ে রূপান্তরের মাধ্যমে যোগাযোগ করে থাকেন। বিকল্প উপায় হিসেবে তিনি মস্তিষ্কের বার্তা লিখে প্রকাশ করতে পারবেন বলে ফিলিপ লো আশাবাদী। তিনি বলেন, নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন হলে হকিংয়ের যোগাযোগপ্রক্রিয়া ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।
বিশ্বখ্যাত প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টেল ওই বিকল্প পদ্ধতি উদ্ভাবনের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। হকিংয়ের মোটর নিউরন রোগ ধরা পড়ে ১৯৬৩ সালে। তিনি গত শতকের আশির দশকে একটি আঙুল ব্যবহার করে কম্পিউটারের সাহায্যে বাক্য লিখতে সক্ষম ছিলেন। পরে তাঁর অবস্থার অবনতি হয় এবং তিনি যোগাযোগের জন্য ভিন্ন উপায় ব্যবহার শুরু করেন। এ পদ্ধতিতে তাঁর ডান গালের মাংসপেশি চশমায় সংযুক্ত ইনফ্রারেড সেন্সর ব্যবহূত হয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সাহায্যে যোগাযোগের সামর্থ্য হকিং সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলতে পারেন বলে আশঙ্কা রয়েছে। মস্তিষ্ক স্ক্যান করার জন্য তিনি ২০১১ সালে ফিলিপ লোকে অনুমতি দেন। একজন মুখপাত্র বলেন, অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য তাঁর সহায়তায় নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারসংক্রান্ত গবেষণার ব্যাপারে হকিং সব সময় আগ্রহী। বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.