১৫ দফা দাবি তুলে ধরে সমন্বয় পরিষদের প্যানেল ঘোষণা-বার কাউন্সিল নির্বাচন
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ প্যানেল ঘোষণা করেছে। শনিবার দুপুরে সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ হলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্যানেল ঘোষণা করে পরিষদের আহ্বায়ক প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সংবিধানের সার্বভৌমত্ব
নিরঙ্কুশ রাখা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইনজীবীদের দায়িত্ব অপরিসীম। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ প্যানেল দেয়া হয়েছে। বার কাউন্সিলে যাঁরা দুবার নির্বাচন করেছেন, তাঁরা নির্বাচন করতে পারবেন না। এ বিষয়ে কিছু মামলাও হয়েছে। যাঁরা ইতোমধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তাঁরা ২ বারের বেশি নির্বাচন করেছেন। নির্বাচনকে সহায়তা করার জন্য তাঁরা নিজেদের প্রার্থিতা পদ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আশা করছি নির্বাচনে সমন্বয় পরিষদ নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে ১৫ দফা অঙ্গীকার ও দাবীনামা তুলে ধরে ব্যারিষ্টার এম আমীর-উল-ইসলাম বলেন, হত্যা-সন্ত্রাস ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া পুনর্¯’াপনের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার প্রয়াসে আইনজীবীদের সুদৃঢ ঐক্য ও মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠতে পারে সন্ত্রাস ও দুর্নীতি মুক্ত একটি গনতান্ত্রিক সমাজ। এমন একটি কল্যাণমুখী ন্যায়ানুগ সমাজ গঠনে আইনজীবীদের ঐক্য, সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদকে বারবার বিজয়ী করেছে। এবারও সমন্বয় পরিষদের কর্মসূচী বাস্তবায়নে লক্ষ্যে আপনাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা আমাদের নিঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত করবে। একাধিক বার সমিতির সদস্যরা আগে শুধু একটি বারে ভোট দিতে পারত। এ সীমাবদ্ধতা দূর করে একাধিক বারের সদস্যদের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার দাবি ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনে যে অঙ্গীকার ও দাবি নাম দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগকে আরও স্বচ্ছ ও মানসম্পন্ন করার লক্ষ্যে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে বিচারপতি নিয়োগে যেসব রীতিনীতি বলবত রয়েছে তার নিরিখে গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতা আলোকে সৎ, যোগ্য, মেধা ও মননসম্পন্ন উপযুক্ত বিচারক নিয়োগের মাপকাঠি নিরুপণ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫(গ) এর অধীনে একটি সর্বাঙ্গীন আইন প্রনয়ন অতীব জরুরী বিধায় এমন একটি আইন প্রণয়নের দাবি উত্থাপন করা হচ্ছে। জেলা বারে পেশায় নিয়োজিত আইনজীবীদের জন্য নিম্ন আদালতের বিচারক নিয়োগের পদ্ধতি একইভাবে প্রয়োগ করতে হবে। অন্তত ৫ বছরের অভিজ্ঞতা ও সুনামের সহিত পেশাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রাথমিক তালিকা তৈরির মাধ্যমে বিচারক এবং নিম্ন আদালতের বিচারকদের বয়স সীমা পাঁচ বছর বাড়িয়ে দেয়া যেতে পারে।
বার কাউন্সিলে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে। সদস্য সংখ্যা ১৪ থেকে বাড়িয়ে ৪০ জন হওয়া সময়ের জরুরী প্রয়োজন। বার কাউন্সিল দ্বারা অনুষ্ঠিত পরীক্ষা পদ্ধতির উৎকর্ষ সাধন এবং পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার দীর্ঘসূত্রীতা কমিয়ে যথাসম্ভব স্বল্প সময়ে প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রেস্ট হাউজ গড়ে তোলার জন্য সরকারী সহযোগিতায় নিজস্ব ভবন নির্মাণ করতে হবে।
আগামী ১৮ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনক্ষণ নির্ধারিত রয়েছে। এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ৩৮৯৬০ জন। ৩ বছর মেয়াদী নির্বাহী কমিটির মোট সদস্য ১৫ জন। সুপ্রীমকোর্টের এ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। সে হিসেবে বার কাউন্সিলের ভোটাররা মূলত ১৪ জনকে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত করবেন।
শনিবার ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম যে ঐক্্যবদ্ধ প্যানেল ঘোষণা করেন তার মধ্যে রয়েছেন, সৈয়দ রেজাউর রহমান, আব্দুল মতিন খসরু এমপি, ব্যারিস্টার তানিয়া আমির, সুব্রত চৌধুরী, মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, মোঃ জাহেদুল বারী, মোঃ মাহবুব আলী। গ্রুপ আসনে মধ্যে রয়েছেন, গ্রুপ-এ (ঢাকা বিভাগ) খন্দকার আব্দুল মান্নান, গ্রুপ-বি (ময়মনসিংহ-ফরিদপুর) আলহাজ এইচ আর জাহিদ আনোয়ার, গ্রুপ-সি (চট্টগ্রাম বিভাগ) এ এম আনোয়ারুল কবির, গ্রুপ-ডি (সিলেট-কুমিল্লা) শান্তিপদ ঘোষ, গ্রুপ-ই (খুলনা-বরিশাল বিভাগ) এম এম মুজিবুর রহমান, গ্রুপ-এফ (রাজশাহী-যশোর-কুষ্টিয়া) সিরাজ-উল-ইসলাম, গ্রুপ-জি (বগুড়া) রংপুর বিভাগ) মোঃ আব্দুল গনি। প্যানেল পরিচিতি সভায় উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রীমকোট আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি কে এম সাইফুদ্দিন আহম্মেদ, সম্পাদক মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী ও নুরুল ইসলাম সুজন এমপি।
অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেলে রয়েছেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন এমপি, আলহাজ গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ, নিতাই রায় চৌধুরী, মোঃ সানাউল্লাহ মিয়া, শেখ মোহম্মদ আজাদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া গ্রুপ আসনের প্রার্থী হিসেবে গোলাম মোস্তফা খান (গ্রুপ-এ), মোহাম্মদ আব্দুল বাকী মিয়া (গ্রুপ-বি), মোঃ কবির চৌধুরী (গ্রুপ-সি), মোঃ কাইমুল হক (গ্রুপ-ডি), আব্দুল মালেক (গ্রুপ-ই), মোঃ ইসহাক (গ্রুপ-এফ), একেএম হাফিজুর রহমানের (গ্রুপ-জি) নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ১৫ দফা অঙ্গীকার ও দাবীনামা তুলে ধরে ব্যারিষ্টার এম আমীর-উল-ইসলাম বলেন, হত্যা-সন্ত্রাস ও মানবতা বিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া পুনর্¯’াপনের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখার প্রয়াসে আইনজীবীদের সুদৃঢ ঐক্য ও মূল্যবোধের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠতে পারে সন্ত্রাস ও দুর্নীতি মুক্ত একটি গনতান্ত্রিক সমাজ। এমন একটি কল্যাণমুখী ন্যায়ানুগ সমাজ গঠনে আইনজীবীদের ঐক্য, সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদকে বারবার বিজয়ী করেছে। এবারও সমন্বয় পরিষদের কর্মসূচী বাস্তবায়নে লক্ষ্যে আপনাদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা আমাদের নিঙ্কুশ বিজয় নিশ্চিত করবে। একাধিক বার সমিতির সদস্যরা আগে শুধু একটি বারে ভোট দিতে পারত। এ সীমাবদ্ধতা দূর করে একাধিক বারের সদস্যদের ভোটাধিকার ফিরে পাওয়ার দাবি ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনে যে অঙ্গীকার ও দাবি নাম দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগকে আরও স্বচ্ছ ও মানসম্পন্ন করার লক্ষ্যে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে বিচারপতি নিয়োগে যেসব রীতিনীতি বলবত রয়েছে তার নিরিখে গবেষণালব্ধ অভিজ্ঞতা আলোকে সৎ, যোগ্য, মেধা ও মননসম্পন্ন উপযুক্ত বিচারক নিয়োগের মাপকাঠি নিরুপণ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫(গ) এর অধীনে একটি সর্বাঙ্গীন আইন প্রনয়ন অতীব জরুরী বিধায় এমন একটি আইন প্রণয়নের দাবি উত্থাপন করা হচ্ছে। জেলা বারে পেশায় নিয়োজিত আইনজীবীদের জন্য নিম্ন আদালতের বিচারক নিয়োগের পদ্ধতি একইভাবে প্রয়োগ করতে হবে। অন্তত ৫ বছরের অভিজ্ঞতা ও সুনামের সহিত পেশাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রাথমিক তালিকা তৈরির মাধ্যমে বিচারক এবং নিম্ন আদালতের বিচারকদের বয়স সীমা পাঁচ বছর বাড়িয়ে দেয়া যেতে পারে।
বার কাউন্সিলে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হবে। সদস্য সংখ্যা ১৪ থেকে বাড়িয়ে ৪০ জন হওয়া সময়ের জরুরী প্রয়োজন। বার কাউন্সিল দ্বারা অনুষ্ঠিত পরীক্ষা পদ্ধতির উৎকর্ষ সাধন এবং পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার দীর্ঘসূত্রীতা কমিয়ে যথাসম্ভব স্বল্প সময়ে প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রেস্ট হাউজ গড়ে তোলার জন্য সরকারী সহযোগিতায় নিজস্ব ভবন নির্মাণ করতে হবে।
আগামী ১৮ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনক্ষণ নির্ধারিত রয়েছে। এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ৩৮৯৬০ জন। ৩ বছর মেয়াদী নির্বাহী কমিটির মোট সদস্য ১৫ জন। সুপ্রীমকোর্টের এ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। সে হিসেবে বার কাউন্সিলের ভোটাররা মূলত ১৪ জনকে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত করবেন।
শনিবার ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম যে ঐক্্যবদ্ধ প্যানেল ঘোষণা করেন তার মধ্যে রয়েছেন, সৈয়দ রেজাউর রহমান, আব্দুল মতিন খসরু এমপি, ব্যারিস্টার তানিয়া আমির, সুব্রত চৌধুরী, মোঃ আব্দুল্লাহ আবু, মোঃ জাহেদুল বারী, মোঃ মাহবুব আলী। গ্রুপ আসনে মধ্যে রয়েছেন, গ্রুপ-এ (ঢাকা বিভাগ) খন্দকার আব্দুল মান্নান, গ্রুপ-বি (ময়মনসিংহ-ফরিদপুর) আলহাজ এইচ আর জাহিদ আনোয়ার, গ্রুপ-সি (চট্টগ্রাম বিভাগ) এ এম আনোয়ারুল কবির, গ্রুপ-ডি (সিলেট-কুমিল্লা) শান্তিপদ ঘোষ, গ্রুপ-ই (খুলনা-বরিশাল বিভাগ) এম এম মুজিবুর রহমান, গ্রুপ-এফ (রাজশাহী-যশোর-কুষ্টিয়া) সিরাজ-উল-ইসলাম, গ্রুপ-জি (বগুড়া) রংপুর বিভাগ) মোঃ আব্দুল গনি। প্যানেল পরিচিতি সভায় উপস্থিত ছিলেন, সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সুপ্রীমকোট আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি কে এম সাইফুদ্দিন আহম্মেদ, সম্পাদক মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী ও নুরুল ইসলাম সুজন এমপি।
অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেলে রয়েছেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন এমপি, আলহাজ গিয়াস উদ্দিন আহম্মেদ, নিতাই রায় চৌধুরী, মোঃ সানাউল্লাহ মিয়া, শেখ মোহম্মদ আজাদের নাম ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া গ্রুপ আসনের প্রার্থী হিসেবে গোলাম মোস্তফা খান (গ্রুপ-এ), মোহাম্মদ আব্দুল বাকী মিয়া (গ্রুপ-বি), মোঃ কবির চৌধুরী (গ্রুপ-সি), মোঃ কাইমুল হক (গ্রুপ-ডি), আব্দুল মালেক (গ্রুপ-ই), মোঃ ইসহাক (গ্রুপ-এফ), একেএম হাফিজুর রহমানের (গ্রুপ-জি) নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
No comments