অক্সফামের প্রতিবেদন-ফিলিস্তিনের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করছে ইসরায়েলের বসতি
ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বসতি নির্মাণের বিষয়টি ফিলিস্তিনিদের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করছে বলে অভিযোগ করেছে অক্সফাম। যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক এই সাহায্য সংস্থার মতে, অধিকৃত পশ্চিম তীরের জর্দান উপত্যকা অঞ্চলের ফিলিস্তিনিরা ভূমি ও পানি ব্যবহারের সুযোগ থেকে বঞ্চিত। স্বচ্ছন্দে চলাফেরাও করতে পারে না তারা।
অঞ্চলটির মাত্র ৬ শতাংশ ভূমি ব্যবহার করতে পারে ফিলিস্তিনিরা। ফলে বর্তমানের তুলনায় অতিরিক্ত ১০০ কোটি পাউন্ড সমমূল্যের উপার্জন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা।
'অন দ্য ব্রিংক : দি ইমপ্যাক্ট অব সেটলমেন্টস অন প্যালেস্টিনিয়ানস ইন দ্য জর্দান ভ্যালি' শীর্ষক প্রতিবেদনে অক্সফাম এসব কথা বলেছে। প্রতিবেদনটি গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে। সংস্থাটির দাবি, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের পরিধি বৃদ্ধি এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সক্ষমতাকেও ধ্বংস করছে। এ অবস্থায় শিগগির ইসরায়েলের বসতি স্থাপন বন্ধে দেশটির সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অক্সফাম। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সহ সব দাতা সংস্থাকে জর্দান উপত্যকায় উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। ইইউ ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার ও ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে বড় দাতাগোষ্ঠী। তবে ইসরায়েল এর সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, প্রতিবেদনের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট। প্রতিবেদনটি 'রাজনৈতিক এজেন্ডার অংশ।'
১৯৬৭ সালে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের দখল নেয় ইসরায়েল। এর পর থেকে ১০০টিরও বেশি স্থানে বসতি স্থাপন করেছে তারা। এসব বসতিতে প্রায় ৫০ হাজার ইহুদি বাস করে। আন্তর্জাতিক আইনে, এসব বসতি স্থাপন অবৈধ বিবেচিত হলেও ইসরায়েল এর পক্ষে সাফাই গেয়ে চলেছে।
অক্সফামের হিসাব অনুযায়ী, জর্দান ভ্যালিতেও প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ইহুদি বসতি গেড়েছে। পশ্চিম তীরের পূর্বাংশের ১২০ কিলোমিটার লম্বা ও ১৫ কিলোমিটার প্রস্থের এই অঞ্চলটিতে প্রায় ৬৬ হাজার ফিলিস্তিনির বাস। অথচ তাদের অধিকারে মাত্র ৬ শতাংশ ভূমি। বিপরীতে সংখ্যা অনুপাতে ইহুদিদের ১৩ শতাংশ ব্যবহারের কথা থাকলেও তাদের দখলে ৮৬ শতাংশেরও বেশি ভূমি। এ জন্য পশ্চিম তীরের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এখানে ফিলিস্তিনিদের দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ বলে অক্সফাম দাবি করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'নিয়মতান্ত্রিকভাবে ফিলিস্তিনিদের সম্পদ ধ্বংস এবং তাদের ভূমি ও পানি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো ইসরায়েলি নীতি এবং তাদের বসতি নির্মাণের বিষয়টি জর্দান উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের জীবন দুর্দশাগ্রস্ত করে তুলেছে। পাশাপাশি তাদের চলাচলের ওপর নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা পরিস্থিতিকে আরো দুর্বিষহ করেছে।'
অক্সফামের আন্তর্জাতিক নির্বাহী পরিচালক জেরেমি হবস বলেন, 'সব মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসরায়েলের। জর্দান উপত্যকায় ইহুদিরা বসতি স্থাপন না করলে ফিলিস্তিনিদের ওপর এই মাত্রাতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন হতো না।' তাঁর মতে, 'এই পক্ষপাতমূলক নীতি ও তার প্রয়োগের ফলে ক্রমশ আরো বেশি গরিব হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। এ জন্য শান্তি ও নিরাপত্তায় দুই দেশের পাশাপাশি অবস্থানের সম্ভাবনাও নস্যাৎ হচ্ছে।' এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বসতি নির্মাণ বন্ধে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি ফিলিস্তিনে আরো বেশি উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন করা দরকার। এ ব্যাপারে অক্সফামের সুপারিশ হলো, নতুন অর্থায়নে ইসরায়েলের অনুমোদন না থাকলেও তা অগ্র্রাহ্য করা।
তবে ইসরায়েল অক্সফামের বক্তব্যে দ্বিমত পোষণ করেছে। লন্ডনে ইসরায়েলি দূতাবাসের মুখপাত্র আমির ওফেক বলেন, 'ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পরিস্থিতি নিয়ে অক্সফামের সর্বশেষ প্রতিবেদনটি পরিষ্কারভাবে একটি রাজনৈতিক এজেন্ডা।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
'অন দ্য ব্রিংক : দি ইমপ্যাক্ট অব সেটলমেন্টস অন প্যালেস্টিনিয়ানস ইন দ্য জর্দান ভ্যালি' শীর্ষক প্রতিবেদনে অক্সফাম এসব কথা বলেছে। প্রতিবেদনটি গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়েছে। সংস্থাটির দাবি, ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের পরিধি বৃদ্ধি এবং ফিলিস্তিনিদের ওপর নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের সক্ষমতাকেও ধ্বংস করছে। এ অবস্থায় শিগগির ইসরায়েলের বসতি স্থাপন বন্ধে দেশটির সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অক্সফাম। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়সহ সব দাতা সংস্থাকে জর্দান উপত্যকায় উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়নের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। ইইউ ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য অংশীদার ও ফিলিস্তিনিদের সবচেয়ে বড় দাতাগোষ্ঠী। তবে ইসরায়েল এর সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, প্রতিবেদনের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট। প্রতিবেদনটি 'রাজনৈতিক এজেন্ডার অংশ।'
১৯৬৭ সালে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমের দখল নেয় ইসরায়েল। এর পর থেকে ১০০টিরও বেশি স্থানে বসতি স্থাপন করেছে তারা। এসব বসতিতে প্রায় ৫০ হাজার ইহুদি বাস করে। আন্তর্জাতিক আইনে, এসব বসতি স্থাপন অবৈধ বিবেচিত হলেও ইসরায়েল এর পক্ষে সাফাই গেয়ে চলেছে।
অক্সফামের হিসাব অনুযায়ী, জর্দান ভ্যালিতেও প্রায় সাড়ে ৯ হাজার ইহুদি বসতি গেড়েছে। পশ্চিম তীরের পূর্বাংশের ১২০ কিলোমিটার লম্বা ও ১৫ কিলোমিটার প্রস্থের এই অঞ্চলটিতে প্রায় ৬৬ হাজার ফিলিস্তিনির বাস। অথচ তাদের অধিকারে মাত্র ৬ শতাংশ ভূমি। বিপরীতে সংখ্যা অনুপাতে ইহুদিদের ১৩ শতাংশ ব্যবহারের কথা থাকলেও তাদের দখলে ৮৬ শতাংশেরও বেশি ভূমি। এ জন্য পশ্চিম তীরের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এখানে ফিলিস্তিনিদের দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ বলে অক্সফাম দাবি করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'নিয়মতান্ত্রিকভাবে ফিলিস্তিনিদের সম্পদ ধ্বংস এবং তাদের ভূমি ও পানি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞার মতো ইসরায়েলি নীতি এবং তাদের বসতি নির্মাণের বিষয়টি জর্দান উপত্যকার ফিলিস্তিনিদের জীবন দুর্দশাগ্রস্ত করে তুলেছে। পাশাপাশি তাদের চলাচলের ওপর নানাবিধ নিষেধাজ্ঞা পরিস্থিতিকে আরো দুর্বিষহ করেছে।'
অক্সফামের আন্তর্জাতিক নির্বাহী পরিচালক জেরেমি হবস বলেন, 'সব মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসরায়েলের। জর্দান উপত্যকায় ইহুদিরা বসতি স্থাপন না করলে ফিলিস্তিনিদের ওপর এই মাত্রাতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজন হতো না।' তাঁর মতে, 'এই পক্ষপাতমূলক নীতি ও তার প্রয়োগের ফলে ক্রমশ আরো বেশি গরিব হচ্ছে ফিলিস্তিনিরা। এ জন্য শান্তি ও নিরাপত্তায় দুই দেশের পাশাপাশি অবস্থানের সম্ভাবনাও নস্যাৎ হচ্ছে।' এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বসতি নির্মাণ বন্ধে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি ফিলিস্তিনে আরো বেশি উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন করা দরকার। এ ব্যাপারে অক্সফামের সুপারিশ হলো, নতুন অর্থায়নে ইসরায়েলের অনুমোদন না থাকলেও তা অগ্র্রাহ্য করা।
তবে ইসরায়েল অক্সফামের বক্তব্যে দ্বিমত পোষণ করেছে। লন্ডনে ইসরায়েলি দূতাবাসের মুখপাত্র আমির ওফেক বলেন, 'ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের পরিস্থিতি নিয়ে অক্সফামের সর্বশেষ প্রতিবেদনটি পরিষ্কারভাবে একটি রাজনৈতিক এজেন্ডা।' সূত্র : বিবিসি, এএফপি।
No comments