ডনের সম্পাদকীয়-মুম্বাই হামলায় সন্দেহভাজনদের বিচারে তৎপর নয় পাকিস্তান
মুম্বাই হামলায় জড়িত সন্দেহে পাকিস্তানের হাতে আটক ব্যক্তিদের বিচারকাজে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতি নিরসনে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ খুব একটা তৎপরও নয়। তাদের এমন আচরণে এ মামলার বিচার নিয়ে দিন দিন হতাশা বাড়ছে ভারত কর্তৃপক্ষের।
গতকাল শনিবার পাকিস্তানের ডন পত্রিকায় প্রকাশিত সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে আরো বলা হয়, প্রতিবেশী দুই দেশ নানা বিষয়ে শুধু আলোচনাই করছে। তাদের সব কথা কেবল আলোচনাতেই সীমাবদ্ধ। সমঝোতা বা চুক্তিতে পেঁৗছাতে কার্যত ব্যর্থ তারা।
২০০৮ সালে মুম্বাই হামলা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে গত বুধবার ভারতের রাজধানী নয়াদিলি্লতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব জলিল আব্বাস জিলানি ও ভারতের পররাষ্ট্রসচিব রঞ্জন মাথাইয়ের মধ্যে বৈঠক হয়। এ প্রসঙ্গে সম্পাদকীয়তে বলা হয়, নয়াদিলি্লতে দুই সচিবের বৈঠক থেকে কোনো ফল পাওয়া যায়নি। দুদিন ধরে দুই প্রতিনিধি তাঁদের দুজনের মাথা একত্র করে ব্যাপক আলোচনা করলেন। এরপর তাঁরা যে যৌথ বিবৃতি দিলেন, তাতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েরই উল্লেখ ছিল না। এমনকি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ভিসা-প্রক্রিয়া উদারীকরণ, কাশ্মীরের সঙ্গে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধ গড়া এবং পরমাণু ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর ব্যাপারেও তাঁরা একমত হতে পারেননি। এসব বিষয়ে চুক্তি করার ব্যাপারে পাকিস্তান বেশ কিছুদিন ধরেই গুরুত্বারোপ করছে। মুম্বাই হামলায় জড়িত সন্দেহে জাবিউদ্দিন আনসারি নামের এক ব্যক্তিকে গত মাসের শেষের দিকে আটক করে ভারত। এ প্রসঙ্গে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম মন্তব্য করেন, তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এটা বলা যায়, পাকিস্তানের লোকজন মুম্বাই হামলায় জড়িত ছিল। এ প্রসঙ্গে জিলানি বলেন, 'দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর পারিপাশ্বর্িক পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে শান্তি আলোচনায় ফের ভাটা পড়তে পারে।' পাকিস্তানের এমন মন্তব্য এবং সেখানে আটক সন্দেহভাজনদের বিচারকাজে অচলাবস্থা তৈরি হওয়ায় ভারতের মধ্যে এ নিয়ে হতাশা বাড়ছে।
২০০৮ সালে মুম্বাই হামলা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্প্রতি নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এ নিয়ে গত বুধবার ভারতের রাজধানী নয়াদিলি্লতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব জলিল আব্বাস জিলানি ও ভারতের পররাষ্ট্রসচিব রঞ্জন মাথাইয়ের মধ্যে বৈঠক হয়। এ প্রসঙ্গে সম্পাদকীয়তে বলা হয়, নয়াদিলি্লতে দুই সচিবের বৈঠক থেকে কোনো ফল পাওয়া যায়নি। দুদিন ধরে দুই প্রতিনিধি তাঁদের দুজনের মাথা একত্র করে ব্যাপক আলোচনা করলেন। এরপর তাঁরা যে যৌথ বিবৃতি দিলেন, তাতে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েরই উল্লেখ ছিল না। এমনকি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ভিসা-প্রক্রিয়া উদারীকরণ, কাশ্মীরের সঙ্গে সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধ গড়া এবং পরমাণু ইস্যুতে দুই দেশের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর ব্যাপারেও তাঁরা একমত হতে পারেননি। এসব বিষয়ে চুক্তি করার ব্যাপারে পাকিস্তান বেশ কিছুদিন ধরেই গুরুত্বারোপ করছে। মুম্বাই হামলায় জড়িত সন্দেহে জাবিউদ্দিন আনসারি নামের এক ব্যক্তিকে গত মাসের শেষের দিকে আটক করে ভারত। এ প্রসঙ্গে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম মন্তব্য করেন, তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এটা বলা যায়, পাকিস্তানের লোকজন মুম্বাই হামলায় জড়িত ছিল। এ প্রসঙ্গে জিলানি বলেন, 'দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর পারিপাশ্বর্িক পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে তাতে শান্তি আলোচনায় ফের ভাটা পড়তে পারে।' পাকিস্তানের এমন মন্তব্য এবং সেখানে আটক সন্দেহভাজনদের বিচারকাজে অচলাবস্থা তৈরি হওয়ায় ভারতের মধ্যে এ নিয়ে হতাশা বাড়ছে।
No comments