জেলেদের জাল ও নৌকা রক্ষার দায়িত্ব কার?-ইলিশের মৌসুমে জলদস্যুতা
দীর্ঘ অপেক্ষার পর শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, কিন্তু স্বস্তি নিয়ে নদী-সাগরে যেতেই পারছেন না জেলেরা। শুরু হয়েছে জলদস্যুদের অত্যাচার। এই বিপদ থেকে জেলে ও মর্যাস্য ব্যবসায়ীদের তবে রক্ষা করবে কে? জাটকা সংরক্ষণের জন্য নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত বিরতির পর শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম।
ভোলার সাতটি উপজেলায় যখন ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নিয়েছেন জেলে ও মর্যাস্য ব্যবসায়ীরা, তখন জলদস্যুদের ভয়ে অনেক জেলেনৌকা মেঘনা নদীতে নামতেই সাহস পাচ্ছে না। প্রথম আলোয় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাছ ধরার মৌসুম শুরু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে ২৫টি জেলেনৌকা লুট হয়েছে। ঢালচরের গভীর জঙ্গলে আস্তানা গেড়ে জলদস্যুতা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। জলদস্যুদের আস্তানার বিষয়টিও যখন জানা, তখন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না কেন, সেটা এক বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে। জলদস্যুদের এ ধরনের অপতর্যাপরতা রোধ করার দায়িত্ব যাঁদের, সেই কোস্টগার্ডের সদস্যরা তবে কী করছেন?
জলদস্যুরা জেলেদের নৌকায় হামলা করে যেমন নৌকা ও জাল নিয়ে যাচ্ছে, তেমনি চাঁদাবাজিও করছে। কোস্টগার্ড ও পুলিশকে জানিয়ে কোনো লাভ হয় না, এমন অভিযোগ রয়েছে জেলেদের। ফলে বাধ্য হয়ে জলদস্যুদের চাঁদা দেওয়ার পথই বেছে নিতে হচ্ছে তাঁদের। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয় ভূমিকার অর্থই হচ্ছে কার্যত জলদস্যুদের সহায়তা করা। স্বার্থের ও ভাগবাটোয়ারা সম্পর্ক ছাড়া এমনটি হওয়ার কথা নয়।
কোস্টগার্ডের দক্ষিণ জোনের কমান্ডার বলেছেন, দস্যুতার পরিকল্পনা হয় ঘাটে, শেষও হয় ঘাটে। এ জন্য তিনি ঘাটের সহায়তা চেয়েছেন। কিন্তু নদীতে বা সাগরে যে জেলেনৌকায় হামলা ও লুটের ঘটনা ঘটে, তার দায় কোস্টগার্ডকেই নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা গেলে জলদস্যুরা অবাধে এ ধরনের তর্যাপরতা চালাতে পারত না।
জেলেদের নির্বিঘ্নে মাছ ধরা নিশ্চিত করতে জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই।
জলদস্যুরা জেলেদের নৌকায় হামলা করে যেমন নৌকা ও জাল নিয়ে যাচ্ছে, তেমনি চাঁদাবাজিও করছে। কোস্টগার্ড ও পুলিশকে জানিয়ে কোনো লাভ হয় না, এমন অভিযোগ রয়েছে জেলেদের। ফলে বাধ্য হয়ে জলদস্যুদের চাঁদা দেওয়ার পথই বেছে নিতে হচ্ছে তাঁদের। এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয় ভূমিকার অর্থই হচ্ছে কার্যত জলদস্যুদের সহায়তা করা। স্বার্থের ও ভাগবাটোয়ারা সম্পর্ক ছাড়া এমনটি হওয়ার কথা নয়।
কোস্টগার্ডের দক্ষিণ জোনের কমান্ডার বলেছেন, দস্যুতার পরিকল্পনা হয় ঘাটে, শেষও হয় ঘাটে। এ জন্য তিনি ঘাটের সহায়তা চেয়েছেন। কিন্তু নদীতে বা সাগরে যে জেলেনৌকায় হামলা ও লুটের ঘটনা ঘটে, তার দায় কোস্টগার্ডকেই নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা গেলে জলদস্যুরা অবাধে এ ধরনের তর্যাপরতা চালাতে পারত না।
জেলেদের নির্বিঘ্নে মাছ ধরা নিশ্চিত করতে জলদস্যুদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা ও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাই।
No comments