জাতীয় সংসদে স্পিকারের দুঃখ প্রকাশ-আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে নিয়ে অসংসদীয় বক্তব্য বাদ
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের কাছে জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ। তাঁকে নিয়ে সংসদে অনুষ্ঠিত বিতর্কের সময় দেওয়া সব অসংসদীয় ভাষা এক্সপাঞ্জ করার ঘোষণা দিয়ে স্পিকার বলেন, 'ওই দিনের আলোচনা ছিল অপ্রত্যাশিত।
এ জন্য সংসদের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করছি।' একই সঙ্গে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের বক্তব্য কয়েকটি পত্রিকা বিভ্রান্তিমূলকভাবে প্রকাশ করে চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে বলেও কড়া সমালোচনা করেন স্পিকার।
গতকাল রবিবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনের শুরুতেই এ রুলিং দেন স্পিকার।
স্পিকার বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি অনুষ্ঠানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের বক্তব্য উদ্ধৃত করে গত ৩ জুন 'মন্ত্রী এমপিদের কোনো নীতি নেই' শিরোনামে কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে সংসদ অধিবেশনে কয়েকজন সদস্য পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিষয়টি সম্পর্কে সংসদে বক্তব্য রাখেন। সদস্যরা প্রত্যেকেই সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করেই সংসদে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেন, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে সংসদের মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষা করা সংসদ সদস্যদের নৈতিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই সংসদ সদস্যরা এ বিষয়ে কথা বলেছেন এবং এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে তা প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব করেছেন।
স্পিকার বলেন, "গত ২ জুন টিআইবি আয়োজিত 'দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে আমরা তরুণ : অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও করণীয়' শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের বক্তব্যের অনুলিখন ৪ জুন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান স্পিকারের কার্যালয়ে পাঠান। সেই সঙ্গে এ-সম্পর্কিত একটি সিডিও পাঠানো হয়। আমি তাঁর বক্তব্যের অনুলিখন পড়েছি এবং সিডিটি শুনেছি। আমার কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে তাঁর বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তিনি 'মন্ত্রী-এমপিদের কোন নীতি নেই'- এ ধরনের বক্তব্যও রাখেন নাই।"
স্পিকার বলেন, 'গত ৩ জুন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে উদ্ধৃত করে প্রকাশিত সংবাদটিও ছিল ভিত্তিহীন। এতে পাঠক সমাজ বিভ্রান্ত হয়েছে এবং বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশের কারণেই সংসদে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। সংবাদের যথার্থতা ও সত্যতা যাচাই না করে যেসব পত্রিকা এ সংবাদটি প্রকাশ করেছে তারা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। আমি আশা করব, ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট পত্রিকাসমূহ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে এবং সংবাদের সত্যতা ও যথার্থতা নিশ্চিত হয়ে তা প্রকাশ করবে।'
স্পিকার বলেন, 'গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। গণতন্ত্র সচল থাকলে গণমাধ্যমও বিকশিত হয়। তাই দেশ, জনগণ ও গণমাধ্যমের বিকাশের স্বার্থে গণমাধ্যম কর্মীদের দায়িত্বশীল হতে হবে। সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম কর্মীদের অত্যন্ত সচেতন হতে হবে। মনে রাখতে হবে, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যেকোনো সংবাদ জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে এবং তা দেশ ও জনগণের জন্য অকল্যাণ বয়ে আনতে পারে।'
স্পিকার সেই দিনের বিতর্কের অসংসদীয় ভাষা এক্সপাঞ্জ করা হবে জানিয়ে বলেন, 'জাতীয় সংসদ জনগণেরই প্রতিষ্ঠান। তাই জাতীয় সংসদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের কল্যাণে কাজ করা। ওই দিন বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশের কারণেই সংসদে অপ্রত্যাশিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং কিছু অসংসদীয় কথাবার্তা হয়েছে। এ জন্য আমি জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এ দেশের একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তাই ওই দিনের আলোচনায় তাঁর সম্পর্কে যেসব অসংসদীয় শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো এক্সপাঞ্জ করা হলো।'
গত ৩ জুন পত্রিকায় প্রকাশিত আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের বক্তব্য নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংসদে তাঁর কড়া সমালোচনা করেন কয়েকজন সিনিয়র সদস্য। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ ধরনের বক্তব্য না দেন সে জন্য স্পিকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান তাঁরা। পরে সুধী সমাজের পক্ষ থেকে ওই আলোচনার সমালোচনা করা হয়। আর অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত ওই সংবাদের প্রতিবাদ জানান। এ অবস্থায় স্পিকার গতকাল রুলিং দেন।
গতকাল রবিবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনের শুরুতেই এ রুলিং দেন স্পিকার।
স্পিকার বলেন, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি অনুষ্ঠানে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্মানিত সদস্য অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের বক্তব্য উদ্ধৃত করে গত ৩ জুন 'মন্ত্রী এমপিদের কোনো নীতি নেই' শিরোনামে কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে সংসদ অধিবেশনে কয়েকজন সদস্য পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিষয়টি সম্পর্কে সংসদে বক্তব্য রাখেন। সদস্যরা প্রত্যেকেই সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করেই সংসদে বক্তব্য রেখেছেন। তিনি বলেন, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে সংসদের মর্যাদা ও পবিত্রতা রক্ষা করা সংসদ সদস্যদের নৈতিক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ববোধ থেকেই সংসদ সদস্যরা এ বিষয়ে কথা বলেছেন এবং এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে তা প্রতিরোধে পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তাব করেছেন।
স্পিকার বলেন, "গত ২ জুন টিআইবি আয়োজিত 'দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে আমরা তরুণ : অর্জন, চ্যালেঞ্জ ও করণীয়' শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের বক্তব্যের অনুলিখন ৪ জুন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান স্পিকারের কার্যালয়ে পাঠান। সেই সঙ্গে এ-সম্পর্কিত একটি সিডিও পাঠানো হয়। আমি তাঁর বক্তব্যের অনুলিখন পড়েছি এবং সিডিটি শুনেছি। আমার কাছে প্রতীয়মান হয়েছে, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সঙ্গে তাঁর বক্তব্যের কোনো মিল নেই। তিনি 'মন্ত্রী-এমপিদের কোন নীতি নেই'- এ ধরনের বক্তব্যও রাখেন নাই।"
স্পিকার বলেন, 'গত ৩ জুন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে উদ্ধৃত করে প্রকাশিত সংবাদটিও ছিল ভিত্তিহীন। এতে পাঠক সমাজ বিভ্রান্ত হয়েছে এবং বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশের কারণেই সংসদে বিষয়টি আলোচিত হয়েছে। সংবাদের যথার্থতা ও সত্যতা যাচাই না করে যেসব পত্রিকা এ সংবাদটি প্রকাশ করেছে তারা চরম দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। আমি আশা করব, ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট পত্রিকাসমূহ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে এবং সংবাদের সত্যতা ও যথার্থতা নিশ্চিত হয়ে তা প্রকাশ করবে।'
স্পিকার বলেন, 'গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একে অপরের পরিপূরক। গণতন্ত্র সচল থাকলে গণমাধ্যমও বিকশিত হয়। তাই দেশ, জনগণ ও গণমাধ্যমের বিকাশের স্বার্থে গণমাধ্যম কর্মীদের দায়িত্বশীল হতে হবে। সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যম কর্মীদের অত্যন্ত সচেতন হতে হবে। মনে রাখতে হবে, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত যেকোনো সংবাদ জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে এবং তা দেশ ও জনগণের জন্য অকল্যাণ বয়ে আনতে পারে।'
স্পিকার সেই দিনের বিতর্কের অসংসদীয় ভাষা এক্সপাঞ্জ করা হবে জানিয়ে বলেন, 'জাতীয় সংসদ জনগণেরই প্রতিষ্ঠান। তাই জাতীয় সংসদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের কল্যাণে কাজ করা। ওই দিন বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশের কারণেই সংসদে অপ্রত্যাশিত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং কিছু অসংসদীয় কথাবার্তা হয়েছে। এ জন্য আমি জাতীয় সংসদের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এ দেশের একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তাই ওই দিনের আলোচনায় তাঁর সম্পর্কে যেসব অসংসদীয় শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে সেগুলো এক্সপাঞ্জ করা হলো।'
গত ৩ জুন পত্রিকায় প্রকাশিত আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের বক্তব্য নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সংসদে তাঁর কড়া সমালোচনা করেন কয়েকজন সিনিয়র সদস্য। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ ধরনের বক্তব্য না দেন সে জন্য স্পিকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান তাঁরা। পরে সুধী সমাজের পক্ষ থেকে ওই আলোচনার সমালোচনা করা হয়। আর অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত ওই সংবাদের প্রতিবাদ জানান। এ অবস্থায় স্পিকার গতকাল রুলিং দেন।
No comments