সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল হচ্ছে না
বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের জন্য প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানাবে না জাতীয় সংসদ। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দুই বিভাগ আইন ও বিচার বিভাগের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনার অবসান হচ্ছে।
সরকারি সূত্র জানায়, স্পিকার আবদুল হামিদ আজ বা কাল সংসদে রুলিং দিয়ে রাষ্ট্রের দুই বিভাগের মধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিসমাপ্তি ঘটাবেন।
এদিকে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী এখন একক সিভিল বেঞ্চে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা কনিষ্ঠ বিচারপতি অসুস্থতাজনিত ছুটিতে আছেন বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এ কে এম শামসুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, কার্যতালিকার ৪৩ নম্বর ক্রমিকে দেখা যায়, বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী সিভিল মোকদ্দমা এবং একক বেঞ্চে গ্রহণযোগ্য সব লয়াজিমার শুনানি ও নিষ্পত্তি করছেন।
সূত্র জানায়, গত শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বিচার বিভাগ সম্পর্কে ঢালাও বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আইন ও বিচার বিভাগ উভয়ই রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রের সব বিভাগ নিজ এখতিয়ার ও সীমাবদ্ধতার মধ্যে দায়িত্ব পালন করবে। এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে দুই বিভাগের দ্বন্দ্বে তৃতীয় কেউ সুযোগ নিতে পারে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে আর কথা না বাড়িয়ে ইতিবাচক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীকে স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দেন।
গতকাল ওই মন্ত্রী স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলাদা কথা বলেন। তিনি স্পিকারকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের মনোভাব জানিয়ে দেন। এ নিয়ে আর কথা না বাড়িয়ে বিষয়টির ইতিবাচক সমাপ্তির জন্য তিনি স্পিকারকে অনুরোধ করেন।
সূত্র জানায়, স্পিকার রুলিংয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি নাকচ করে দিতে পারেন। বিচারপতির কিছু মন্তব্য তাঁকে আহত করলেও দেশের স্বার্থ, সংবিধান ও গণতন্ত্রের স্বার্থে রাষ্ট্রের এই দুটি স্তম্ভের মধ্যকার সংকট নিরসনে স্পিকার উদারতার পরিচয় দিতে পারেন।
এদিকে বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী এখন একক সিভিল বেঞ্চে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা কনিষ্ঠ বিচারপতি অসুস্থতাজনিত ছুটিতে আছেন বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার এ কে এম শামসুল ইসলাম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, কার্যতালিকার ৪৩ নম্বর ক্রমিকে দেখা যায়, বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী সিভিল মোকদ্দমা এবং একক বেঞ্চে গ্রহণযোগ্য সব লয়াজিমার শুনানি ও নিষ্পত্তি করছেন।
সূত্র জানায়, গত শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে বিচার বিভাগ সম্পর্কে ঢালাও বক্তব্যে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আইন ও বিচার বিভাগ উভয়ই রাষ্ট্রের। রাষ্ট্রের সব বিভাগ নিজ এখতিয়ার ও সীমাবদ্ধতার মধ্যে দায়িত্ব পালন করবে। এমন কিছু করা ঠিক হবে না, যাতে দুই বিভাগের দ্বন্দ্বে তৃতীয় কেউ সুযোগ নিতে পারে। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে আর কথা না বাড়িয়ে ইতিবাচক সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীকে স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনার দায়িত্ব দেন।
গতকাল ওই মন্ত্রী স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলাদা কথা বলেন। তিনি স্পিকারকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের মনোভাব জানিয়ে দেন। এ নিয়ে আর কথা না বাড়িয়ে বিষয়টির ইতিবাচক সমাপ্তির জন্য তিনি স্পিকারকে অনুরোধ করেন।
সূত্র জানায়, স্পিকার রুলিংয়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি নাকচ করে দিতে পারেন। বিচারপতির কিছু মন্তব্য তাঁকে আহত করলেও দেশের স্বার্থ, সংবিধান ও গণতন্ত্রের স্বার্থে রাষ্ট্রের এই দুটি স্তম্ভের মধ্যকার সংকট নিরসনে স্পিকার উদারতার পরিচয় দিতে পারেন।
No comments