তদবিরবাজ সাংসদদের ব্যর্থতা স্থায়ী হোক-প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ
ক্ষমতাবানদের তদবিরের মতো বড় অস্ত্র আর নেই। আইন ও যুক্তিও এর কাছে হার মানে। বছরের পর বছর এটাই হয়ে এসেছে। কিন্তু এ বছর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের বেলায় তদবিরের সেই তেজস্ক্রিয় গুণ ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।
তাই শিক্ষক নিয়োগে চিরাচরিত অনিয়মের বিরুদ্ধে যে সম্পাদকীয় লেখার কথা, তা লিখতে হচ্ছে তদবিরে ব্যর্থ সাংসদদের ক্ষোভ প্রশমনের জন্য।
বাংলাদেশের সাংসদদের অনেকেই নিজেদের নির্বাচনী এলাকার শাসক ভাবতে ভালোবাসেন। তাঁদের তদবির ও নির্দেশের ওপর অনেকের অনেক কিছু নির্ভর করে। কিন্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বেলায় এবার তাঁদের অনেকেরই আগের জারিজুরি ব্যর্থ হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরীক্ষার্থীদের ফলের ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত করেছে। নিজেদের আত্মীয়স্বজন ও দলীয় অনুগতদের অবৈধভাবে চাকরি জোটাতে না পারায় তদবিরবাজেরা তাই যারপরনাই ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। গত মঙ্গলবারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত এ বিষয়ক সংবাদে এক সাংসদের কথা জানা যায়। তিনি তো বলেই বসেছেন, সুপারিশ না মানায় মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের কাছে তাঁদের হেয়প্রতিপন্ন হতে হয়েছে। সরকারদলীয় আরেক নেতা তাঁর বোনের চাকরি না হওয়ায় বলেছেন, ‘দল ক্ষমতায় এসে তাহলে আমার লাভ কী হলো!’ এখন তাঁরা চাইছেন, তাঁদের তদবিরের লোকদের অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হোক।
প্রশ্নটা এই, দলকে কি তাঁরা কিছু নেতা-কর্মী আর আত্মীয়স্বজনের সুবিধা আদায়ের মঞ্চ মনে করেন? দেশ ও রাষ্ট্রকে কি তাঁরা কেবল তাঁদের স্বার্থেই ব্যবহার করবেন বলে রাজনীতিতে এসেছেন কিংবা সাংসদ হয়েছেন? সরকারি দলে অনেকেই আছেন, যাঁরা এমনটাই মনে করেন। আমলাতন্ত্রের সঙ্গে যোগসাজশে সুবিধা ভাগাভাগি করে নেওয়ার ঘটনাও তাই হরহামেশাই ঘটে। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সরকারি নিয়োগের বেলায় এ ধারাই ঘটতে দেখা গেছে। কিন্তু কখনো কখনো কিছু নিষ্ঠাবান মানুষের আপসহীনতার জন্য অনিয়মের ওপর নিয়মের জয় ঘটে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল তার দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। অতীতের শাসক-সাংসদেরা অনিয়ম করেছেন বলে বর্তমানের শাসক-সাংসদেরা আরও অনিয়ম করে এর শোধ নেবেন, তা হয় না। দেশ-রাষ্ট্র-সরকার সম্পত্তি নয় যে কিছু মানুষ ক্ষমতায় বসে এর মালিক হয়ে ভাগবাটোয়ারা করে নেবেন।
কেবল সাংসদ বা উপনেতা, পাতিনেতারাই নন, সাধারণ মানুষের মধ্যেও অনেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে অধিকার আদায়ের চেয়ে তদবিরের পিচ্ছিল পথকেই বেশি কাজের মনে করেন। এ ধরনের মানসিকতা দুর্নীতি বিস্তারে সহায়ক। কতিপয় সাংসদের মতো কিছু মানুষের এমন প্রবণতাও তাই নিন্দনীয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অভিনন্দন, তাঁরা অনেক নেতিবাচকতার মধ্যে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এই দৃষ্টান্ত অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হোক, দেশবাসীর মনে আস্থাবোধের জন্ম হোক, আর তদবিরবাজ ব্যক্তিদের বারে বারে ব্যর্থ করে দিক।
বাংলাদেশের সাংসদদের অনেকেই নিজেদের নির্বাচনী এলাকার শাসক ভাবতে ভালোবাসেন। তাঁদের তদবির ও নির্দেশের ওপর অনেকের অনেক কিছু নির্ভর করে। কিন্তু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বেলায় এবার তাঁদের অনেকেরই আগের জারিজুরি ব্যর্থ হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরীক্ষার্থীদের ফলের ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত করেছে। নিজেদের আত্মীয়স্বজন ও দলীয় অনুগতদের অবৈধভাবে চাকরি জোটাতে না পারায় তদবিরবাজেরা তাই যারপরনাই ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। গত মঙ্গলবারের প্রথম আলোয় প্রকাশিত এ বিষয়ক সংবাদে এক সাংসদের কথা জানা যায়। তিনি তো বলেই বসেছেন, সুপারিশ না মানায় মাঠপর্যায়ের নেতা-কর্মীদের কাছে তাঁদের হেয়প্রতিপন্ন হতে হয়েছে। সরকারদলীয় আরেক নেতা তাঁর বোনের চাকরি না হওয়ায় বলেছেন, ‘দল ক্ষমতায় এসে তাহলে আমার লাভ কী হলো!’ এখন তাঁরা চাইছেন, তাঁদের তদবিরের লোকদের অতিরিক্ত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হোক।
প্রশ্নটা এই, দলকে কি তাঁরা কিছু নেতা-কর্মী আর আত্মীয়স্বজনের সুবিধা আদায়ের মঞ্চ মনে করেন? দেশ ও রাষ্ট্রকে কি তাঁরা কেবল তাঁদের স্বার্থেই ব্যবহার করবেন বলে রাজনীতিতে এসেছেন কিংবা সাংসদ হয়েছেন? সরকারি দলে অনেকেই আছেন, যাঁরা এমনটাই মনে করেন। আমলাতন্ত্রের সঙ্গে যোগসাজশে সুবিধা ভাগাভাগি করে নেওয়ার ঘটনাও তাই হরহামেশাই ঘটে। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সরকারি নিয়োগের বেলায় এ ধারাই ঘটতে দেখা গেছে। কিন্তু কখনো কখনো কিছু নিষ্ঠাবান মানুষের আপসহীনতার জন্য অনিয়মের ওপর নিয়মের জয় ঘটে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের ফল তার দৃষ্টান্ত হয়ে রইল। অতীতের শাসক-সাংসদেরা অনিয়ম করেছেন বলে বর্তমানের শাসক-সাংসদেরা আরও অনিয়ম করে এর শোধ নেবেন, তা হয় না। দেশ-রাষ্ট্র-সরকার সম্পত্তি নয় যে কিছু মানুষ ক্ষমতায় বসে এর মালিক হয়ে ভাগবাটোয়ারা করে নেবেন।
কেবল সাংসদ বা উপনেতা, পাতিনেতারাই নন, সাধারণ মানুষের মধ্যেও অনেকে যোগ্যতার ভিত্তিতে অধিকার আদায়ের চেয়ে তদবিরের পিচ্ছিল পথকেই বেশি কাজের মনে করেন। এ ধরনের মানসিকতা দুর্নীতি বিস্তারে সহায়ক। কতিপয় সাংসদের মতো কিছু মানুষের এমন প্রবণতাও তাই নিন্দনীয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অভিনন্দন, তাঁরা অনেক নেতিবাচকতার মধ্যে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এই দৃষ্টান্ত অন্যদের জন্য অনুপ্রেরণা হোক, দেশবাসীর মনে আস্থাবোধের জন্ম হোক, আর তদবিরবাজ ব্যক্তিদের বারে বারে ব্যর্থ করে দিক।
No comments