বিপর্যয় রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন-ঝুঁকিপূর্ণ ঘরবাড়ি
বুধবার ভোরেও সারা দেশে মৃদু ভূমিকম্প হয়েছে। যদিও এর মাত্রা ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৯, কিন্তু বারবার ভূকম্পন আসন্ন কোনো বিপর্যয়ের পূর্বাভাস কি না, তা কে বলবে? সাড়ে চার দিনে চারবার ভূমিকম্প মোটেও স্বাভাবিক ঘটনা নয়। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, ঘন ঘন মৃদু ভূকম্পন বড় কোনো ভূমিকম্পের অশনিসংকেত।
আবার অন্যরা বলেন, এ ধরনের ভূকম্পন বড় কোনো ভূমিকম্পের সম্ভাব্য তীব্রতা কমিয়ে দেয়। আমরা ভালোটাই আশা করব, কিন্তু সবচেয়ে খারাপ অবস্থার জন্য পূর্বপ্রস্তুতি নিতে হবে।
প্রথমেই বলতে হয় রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িগুলোর কথা। এসব বাড়ির বড়সংখ্যক এতই নড়বড়ে যে নিজের ভারেই হেলে পড়ে। গত ১ জুন তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়িতে ভবন উপড়ে ২৫ জনের মৃত্যুর পর তার আশপাশের ঝুঁকিপূর্ণ কিছু বহুতল টিনের বাসা ও রাজউকের অননুমোদিত নকশার ভবন ভেঙে ফেলা হয়। সেই অভিযান এখন বন্ধ রয়েছে। বুধবার প্রথম আলোয় লালবাগে আরেকটি টিনের বহুতল বাসার ছবি ছাপা হয়েছে। সামান্য ঝাঁকুনিতে ওই বাসা ধসে পড়ে আরেক দফা প্রাণহানির মর্মান্তিক ঘটনা ঘটাতে পারে। কর্তৃপক্ষ কি আরও মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করবে?
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিটি ওই সব ভবন চিহ্নিত করে তালিকা প্রকাশের জন্য রাজউককে নির্দেশনা দিয়েছে। এ ব্যাপারে রাজউক অবশ্য আগেই উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু শুধু তালিকা প্রকাশ করে তো সমস্যার সমাধান হবে না। দেখতে হবে এর মধ্যে কতগুলো বাড়ি না ভেঙেও বাড়তি শক্তি যোগ করে ভূমিকম্প-সহনীয় করা যায়। এগুলোর ব্যাপারে সরকার কোন শর্তে কীভাবে সাহায্য করতে পারে, তার উপায় বের করা দরকার। আর যেসব ভবন না ভাঙলেই নয়, সেখানে নতুন আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা যায়। সে ক্ষেত্রে রাজউক নকশা প্রণয়নে ও সরকার ব্যাংকঋণ সহজলভ্য করতে সাহায্য করতে পারে।
কোনো ভূমিকম্প ছাড়াই ২০০৪ সালে শাঁখারীবাজারের একটি অতি প্রাচীন বাড়ি, ২০০৫ সালে সাভারে স্পেকট্রা সোয়েটার, ২০০৬ সালে তেজগাঁও ফিনিক্স ভবন ধসে পড়ে প্রাণ ও সম্পদহানি ঘটিয়েছে। হাত গুটিয়ে বসে থাকার আর সময় নেই। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এখনই সচেষ্ট হতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর সংস্কার বা প্রতিস্থাপনে জরুরি উদ্যোগ নেওয়া হোক।
প্রথমেই বলতে হয় রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িগুলোর কথা। এসব বাড়ির বড়সংখ্যক এতই নড়বড়ে যে নিজের ভারেই হেলে পড়ে। গত ১ জুন তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়িতে ভবন উপড়ে ২৫ জনের মৃত্যুর পর তার আশপাশের ঝুঁকিপূর্ণ কিছু বহুতল টিনের বাসা ও রাজউকের অননুমোদিত নকশার ভবন ভেঙে ফেলা হয়। সেই অভিযান এখন বন্ধ রয়েছে। বুধবার প্রথম আলোয় লালবাগে আরেকটি টিনের বহুতল বাসার ছবি ছাপা হয়েছে। সামান্য ঝাঁকুনিতে ওই বাসা ধসে পড়ে আরেক দফা প্রাণহানির মর্মান্তিক ঘটনা ঘটাতে পারে। কর্তৃপক্ষ কি আরও মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করবে?
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় ভূমিকম্পে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিটি ওই সব ভবন চিহ্নিত করে তালিকা প্রকাশের জন্য রাজউককে নির্দেশনা দিয়েছে। এ ব্যাপারে রাজউক অবশ্য আগেই উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু শুধু তালিকা প্রকাশ করে তো সমস্যার সমাধান হবে না। দেখতে হবে এর মধ্যে কতগুলো বাড়ি না ভেঙেও বাড়তি শক্তি যোগ করে ভূমিকম্প-সহনীয় করা যায়। এগুলোর ব্যাপারে সরকার কোন শর্তে কীভাবে সাহায্য করতে পারে, তার উপায় বের করা দরকার। আর যেসব ভবন না ভাঙলেই নয়, সেখানে নতুন আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলা যায়। সে ক্ষেত্রে রাজউক নকশা প্রণয়নে ও সরকার ব্যাংকঋণ সহজলভ্য করতে সাহায্য করতে পারে।
কোনো ভূমিকম্প ছাড়াই ২০০৪ সালে শাঁখারীবাজারের একটি অতি প্রাচীন বাড়ি, ২০০৫ সালে সাভারে স্পেকট্রা সোয়েটার, ২০০৬ সালে তেজগাঁও ফিনিক্স ভবন ধসে পড়ে প্রাণ ও সম্পদহানি ঘটিয়েছে। হাত গুটিয়ে বসে থাকার আর সময় নেই। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এখনই সচেষ্ট হতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলোর সংস্কার বা প্রতিস্থাপনে জরুরি উদ্যোগ নেওয়া হোক।
No comments