জহুর হকার্স মার্কেটের ৮১ দোকান-মালিকানা দাবি সিটি করপোরেশনের, ভাড়া তুলছেন মহিউদ্দিন by হামিদ উল্লাহ
চট্টগ্রামের জহুর হকার্স মার্কেটের ৮১টি দোকানের মালিকানা নিয়ে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ ও সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর দ্বন্দ্ব চলছে। সিটি করপোরেশন এসব দোকানের মালিকানা দাবি করলেও তারা দোকানের কর্তৃত্ব নিতে পারেনি। এসব দোকানের ভাড়া আদায় করছেন মহিউদ্দিন চৌধুরীর লোকজন।
মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, দুই দশক আগে তিনি খাসজমিতে দোকানগুলো নির্মাণ করেছেন। আইনত তিনিই এর মালিক।
একাধিক দোকানদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব দোকান থেকে প্রতি মাসে ভাড়া হিসেবে দেড় লাখ টাকার বেশি আদায় হয়। এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর লোকজনই এসব ভাড়া আদায় করেন।
এ প্রসঙ্গে মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দোকানগুলোর প্রকৃত মালিক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। গত পাঁচ-সাত বছর ধরে এসব দোকানের ভাড়া বকেয়া রয়েছে। হয়তো কেউ সে টাকা পরিশোধ করছেন না। তবে ভাড়া সিটি করপোরেশনের কাছে পরিশোধ করতেই হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহিউদ্দিন চৌধুরী গত ২০ সেপ্টেম্বর বর্তমান মেয়র মন্জুর আলমের কাছে একটি চিঠি দেন। তাতে বলা হয়, ওই ৮১টি দোকানের জায়গা খাস খতিয়ানভুক্ত। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এই জায়গার দখল নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত আসার আগেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য তিনি সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ করেন।
এর আগে ২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ওই জমির দীর্ঘস্থায়ী বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। ১৯ অক্টোবর সদর ভূমি অফিস থেকে এ আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, ‘বিভাগীয় শহরে টেন্ডারের মাধ্যমে নিলাম বিক্রয় ছাড়া এসব জমি বন্দোবস্তি দেওয়ার কোনো বিধান নেই। ফলে আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই।’
ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল আকবর স্বাক্ষরিত ওই মতামতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ওই বাজারের অনেক দোকানের নিয়ন্ত্রণ ও ভাড়া আদায় করছে। গত বছরের ২৭ জুন সিটি করপোরেশনের দ্বাদশ সাধারণ সভাতেও এসব দোকানের দখল ও ভাড়া বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্যানেল মেয়র ও দেওয়ানবাজারের কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী প্রতিটি দোকানের ভাড়া মাসিক ৫০০ টাকা হিসেবে প্রস্তাব করলে সভায় তা অনুমোদন পায়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভূমি অফিসকে তা আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে ভূমি শাখা এখনো ওই সব দোকানের কোনো ভাড়া আদায় করতে পারেনি।
প্যানেল মেয়র ও জহুর হকার্স মার্কেট অনিয়ম তদন্ত কমিটির প্রধান চৌধুরী হাসান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে দেখলাম, কিছু দোকান মার্কেটের আওতাভুক্ত নয়। সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এসব দোকান নির্মাণ করে ভাড়া আদায় করছেন। মার্কেটের পার্কিংয়ের জায়গায় এসব দোকান নির্মাণ করা হয়। কাজেই এসব দোকানের মালিক সিটি করপোরেশন। এসব দোকানের দলিলপত্র তৈরির কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভূমি কর্মকর্তা আহমদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, জহুর হকার্স মার্কেটের মোট দোকানের সংখ্যা ৮০২টি। কাগজে-কলমে এগুলো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের। কেউ যদি জোর করে কোনো দোকান তৈরি করেন, সিটি করপোরেশন সেগুলো অধিগ্রহণ করতে পারবে না। নিয়ম অনুযায়ী, এগুলো ভেঙে দিতে হবে। বিষয়টি মেয়রকে আমি লিখিতভাবে জানিয়েছি।’
একাধিক দোকানদার প্রথম আলোকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাঁরা সিটি করপোরেশনকেই দোকান ভাড়া দিতে চান। তাতে তাঁদের ভাড়াও অনেক কম দিতে হবে।
এ ব্যাপারে সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দোকানগুলো বর্তমানে আমার দখলে রয়েছে। কেউ চাইলেই কি কারও দোকান দখলে নিতে পারেন? ওটা খাসজমি হিসেবে পড়ে ছিল। আমি অন্তত দুই দশক আগে সেখানে দোকান তৈরি করেছি।’ সরকারি জমিতে কেন তিনি দোকান তুলেছেন সে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব এড়িয়ে যান।
তবে জহুর হকার্স মার্কেটে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর পক্ষে সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ ইউনুস প্রথম আলোকে বলেন, কিছু লোক মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বদনাম রটাচ্ছে। ওই দোকানগুলোর ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কাউন্সিলর উৎসাহী হয়ে উঠেছেন।
একাধিক দোকানদারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এসব দোকান থেকে প্রতি মাসে ভাড়া হিসেবে দেড় লাখ টাকার বেশি আদায় হয়। এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর লোকজনই এসব ভাড়া আদায় করেন।
এ প্রসঙ্গে মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘দোকানগুলোর প্রকৃত মালিক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। গত পাঁচ-সাত বছর ধরে এসব দোকানের ভাড়া বকেয়া রয়েছে। হয়তো কেউ সে টাকা পরিশোধ করছেন না। তবে ভাড়া সিটি করপোরেশনের কাছে পরিশোধ করতেই হবে।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহিউদ্দিন চৌধুরী গত ২০ সেপ্টেম্বর বর্তমান মেয়র মন্জুর আলমের কাছে একটি চিঠি দেন। তাতে বলা হয়, ওই ৮১টি দোকানের জায়গা খাস খতিয়ানভুক্ত। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এই জায়গার দখল নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত আসার আগেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না নেওয়ার জন্য তিনি সিটি করপোরেশনকে অনুরোধ করেন।
এর আগে ২০১১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ওই জমির দীর্ঘস্থায়ী বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেন। ১৯ অক্টোবর সদর ভূমি অফিস থেকে এ আবেদন নাকচ করে দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়, ‘বিভাগীয় শহরে টেন্ডারের মাধ্যমে নিলাম বিক্রয় ছাড়া এসব জমি বন্দোবস্তি দেওয়ার কোনো বিধান নেই। ফলে আবেদন বিবেচনার সুযোগ নেই।’
ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল আকবর স্বাক্ষরিত ওই মতামতে আরও বলা হয়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ওই বাজারের অনেক দোকানের নিয়ন্ত্রণ ও ভাড়া আদায় করছে। গত বছরের ২৭ জুন সিটি করপোরেশনের দ্বাদশ সাধারণ সভাতেও এসব দোকানের দখল ও ভাড়া বিষয়ে আলোচনা হয়।
প্যানেল মেয়র ও দেওয়ানবাজারের কাউন্সিলর চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী প্রতিটি দোকানের ভাড়া মাসিক ৫০০ টাকা হিসেবে প্রস্তাব করলে সভায় তা অনুমোদন পায়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভূমি অফিসকে তা আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে ভূমি শাখা এখনো ওই সব দোকানের কোনো ভাড়া আদায় করতে পারেনি।
প্যানেল মেয়র ও জহুর হকার্স মার্কেট অনিয়ম তদন্ত কমিটির প্রধান চৌধুরী হাসান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে দেখলাম, কিছু দোকান মার্কেটের আওতাভুক্ত নয়। সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী এসব দোকান নির্মাণ করে ভাড়া আদায় করছেন। মার্কেটের পার্কিংয়ের জায়গায় এসব দোকান নির্মাণ করা হয়। কাজেই এসব দোকানের মালিক সিটি করপোরেশন। এসব দোকানের দলিলপত্র তৈরির কাজও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
তবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভূমি কর্মকর্তা আহমদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, জহুর হকার্স মার্কেটের মোট দোকানের সংখ্যা ৮০২টি। কাগজে-কলমে এগুলো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের। কেউ যদি জোর করে কোনো দোকান তৈরি করেন, সিটি করপোরেশন সেগুলো অধিগ্রহণ করতে পারবে না। নিয়ম অনুযায়ী, এগুলো ভেঙে দিতে হবে। বিষয়টি মেয়রকে আমি লিখিতভাবে জানিয়েছি।’
একাধিক দোকানদার প্রথম আলোকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাঁরা সিটি করপোরেশনকেই দোকান ভাড়া দিতে চান। তাতে তাঁদের ভাড়াও অনেক কম দিতে হবে।
এ ব্যাপারে সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দোকানগুলো বর্তমানে আমার দখলে রয়েছে। কেউ চাইলেই কি কারও দোকান দখলে নিতে পারেন? ওটা খাসজমি হিসেবে পড়ে ছিল। আমি অন্তত দুই দশক আগে সেখানে দোকান তৈরি করেছি।’ সরকারি জমিতে কেন তিনি দোকান তুলেছেন সে প্রশ্ন করা হলে তিনি জবাব এড়িয়ে যান।
তবে জহুর হকার্স মার্কেটে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর পক্ষে সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী আওয়ামী লীগের নেতা মোহাম্মদ ইউনুস প্রথম আলোকে বলেন, কিছু লোক মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বদনাম রটাচ্ছে। ওই দোকানগুলোর ব্যাপারে সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কাউন্সিলর উৎসাহী হয়ে উঠেছেন।
No comments