অবিলম্বে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার-ভূমি অফিসের জায়গা দখল
ভূমি অফিসের জায়গা অবৈধভাবে দখল হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলায়। ভূমি অফিসের জায়গা যদি বেদখল হয়ে যায়, তাহলে এই অফিসের ওপর জনগণ ভরসা পাবে কেমন করে? দখলবাজিতে দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিতে তফাত নেই।
যে দলই ক্ষমতায় যায়, তারাই দখলবাজিতে মাতে, দখলবাজিতে তাদের মুনশিয়ানার নজির আমাদের নিয়মিত দেখিয়ে চলে। এই ধারাবাহিকতাই যেন অক্ষুণ্ন রেখে চলেছেন বর্তমান শাসক দল ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা। এবার যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে নগরকান্দা উপজেলা ভূমি অফিসের জায়গা দখলের। গতকাল মঙ্গলবারের প্রথম আলোর এক প্রতিবেদন জানাচ্ছে, ঈদের ছুটির সুযোগ নিয়ে দখলকৃত জমিতে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। শাসক দলসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এ ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত থাকা অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়।
এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো আইনি ব্যবস্থা না নেওয়া দুঃখজনক। সরকারি জমি দখল একটি গুরুতর অপরাধ। সবার জন্য সমানভাবে আইনের প্রয়োগ কাম্য। কিন্তু দখলদারেরা দাপটশালী, এর উৎস ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা। তারা অপরাধ করেও পার পেয়ে গেলে তা সমাজে সামগ্রিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অবৈধ দখল প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যথাযথ পদক্ষেপ নেননি বলেই মনে হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেছেন, দখলকারীরা সংখ্যায় বেশি ছিল, তাই অফিসের কর্মচারীরা তাদের বাধা দিতে সাহস পাননি। একটি সরকারি অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার মুখে এ ধরনের বক্তব্য একেবারে বেমানান। অফিসের কর্মচারীদেরই কেন দখলদারদের বাধা দিতে হবে? দখলদারদের তুলনায় একটি সরকারি দপ্তর কি এতটাই অসহায়? তাহলে ভূমি প্রশাসন কিংবা ভূমির অধিকার ও স্বত্ব সংরক্ষণের ব্যাপারে জনগণ এটির ওপর ভরসা পাবে কেমন করে? এ ধরনের বক্তব্য নিজেদের দায় এড়ানোর চেষ্টা বলেই প্রতীয়মান হয়। অবৈধ দখল প্রতিরোধের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে। নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক বলেছেন, ভূমি অফিসের কেউ তাঁদের কাছে অভিযোগ দেননি। কেন অভিযোগ করা হলো না তা খতিয়ে দেখা দরকার। অবিলম্বে এই অপরাধের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া এবং ভূমি অফিসের জমি দখলমুক্ত করা প্রয়োজন।
এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কোনো আইনি ব্যবস্থা না নেওয়া দুঃখজনক। সরকারি জমি দখল একটি গুরুতর অপরাধ। সবার জন্য সমানভাবে আইনের প্রয়োগ কাম্য। কিন্তু দখলদারেরা দাপটশালী, এর উৎস ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা। তারা অপরাধ করেও পার পেয়ে গেলে তা সমাজে সামগ্রিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অবৈধ দখল প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যথাযথ পদক্ষেপ নেননি বলেই মনে হয়। সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেছেন, দখলকারীরা সংখ্যায় বেশি ছিল, তাই অফিসের কর্মচারীরা তাদের বাধা দিতে সাহস পাননি। একটি সরকারি অফিসের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার মুখে এ ধরনের বক্তব্য একেবারে বেমানান। অফিসের কর্মচারীদেরই কেন দখলদারদের বাধা দিতে হবে? দখলদারদের তুলনায় একটি সরকারি দপ্তর কি এতটাই অসহায়? তাহলে ভূমি প্রশাসন কিংবা ভূমির অধিকার ও স্বত্ব সংরক্ষণের ব্যাপারে জনগণ এটির ওপর ভরসা পাবে কেমন করে? এ ধরনের বক্তব্য নিজেদের দায় এড়ানোর চেষ্টা বলেই প্রতীয়মান হয়। অবৈধ দখল প্রতিরোধের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আছে। নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক বলেছেন, ভূমি অফিসের কেউ তাঁদের কাছে অভিযোগ দেননি। কেন অভিযোগ করা হলো না তা খতিয়ে দেখা দরকার। অবিলম্বে এই অপরাধের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া এবং ভূমি অফিসের জমি দখলমুক্ত করা প্রয়োজন।
No comments