দূরদেশ-পাশ্চাত্যের অভিবাসী সমস্যা by আলী রীয়াজ

জার্মানির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের একজন সদস্য থিলো সারাজিনের লেখা একটি বই নিয়ে জার্মানিতে এখন যে বিতর্ক চলছে, তার উত্তাপ শিগগিরই সে দেশের বাইরেও অনুভব করা যাবে বলে অনুমান করা যায়। দেশটির মধ্য-বামপন্থী দল সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা সারাজিনের বইয়ের শিরোনামের সহজ অনুবাদ জার্মানি নিজেকে শেষ করে ফেলছে (জার্মানি ডাজ অ্যাওয়ে উইথ ইটসেলফ)।


৩০ আগস্ট প্রকাশিত হওয়ার পর প্রথম চার দিনে এর তিনটি মুদ্রণ বিক্রি হয়ে গেছে। বইটির শিরোনাম কেবল জার্মানবিষয়ক হলেও এ বইয়ে ইহুদি, মুসলমান ও জার্মানির ভবিষ্যৎ নিয়ে যেসব মন্তব্য রয়েছে, তা-ই বইটিকে বিতর্কিত করে তুলেছে। বিতর্কের মাত্রা বোঝার জন্য জার্মানির সবচেয়ে বেশি প্রচারিত দৈনিক পত্রিকা বিল্ড-এর ৩১ আগস্টের শিরোনামই যথেষ্ট, ‘সবাই সারাজিনের বিরুদ্ধে’। ৪৬০ পৃষ্ঠার এ বই কেবল জার্মান ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে; কিন্তু বইটির কিছু সারসংক্ষেপ ও লেখকের কিছু মন্তব্য পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে থিলো সারাজিনকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি ওঠে এবং তাকে এরই মধ্যে সরিয়েও দেওয়া হয়েছে।
থিলো সারাজিনের বইয়ের অন্যতম বক্তব্য হলো, জার্মানির রাজনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকেরা দেশকে ভয়াবহ পথে নিয়ে যাচ্ছেন। কীভাবে? তাঁরা মুসলিম জনগোষ্ঠীর অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করছেন না। বইয়ে বলা হয়েছে, মুসলিম অভিবাসনের ফলে গোটা দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক মান কমে যাচ্ছে। জার্মানিতে অভিবাসী মুসলিমরা হচ্ছে তাঁর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু। ‘আমার পূর্বপুরুষ ও নাতি-নাতনির দেশ মুসলিম অধ্যুষিত হোক, আমি তা চাই না। আমি চাই না সেই দেশ, যেখানে তুর্কি ও আরবি ব্যাপকভাবে বলা হয়, যেখানে মেয়েরা মাথায় কাপড় দেয় আর আমাদের দৈনন্দিন জীবনের ছন্দ নির্ধারণ হয় মুয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনিতে।’ বইটি বেরোনোর সপ্তাহখানেক আগে সংবাদপত্রে প্রকাশিত সারাংশে সারাজিন লিখেছেন, ‘ইসলাম ছাড়া অন্য আর কোনো ধর্মের সঙ্গে সহিংসতা, একনায়কত্ব ও সন্ত্রাসবাদের এত সরল সম্পর্ক নেই।’ তিনি এও দাবি করছেন, জার্মানিতে যে মুসলমানরা আছে, তারা জার্মান সমাজের সঙ্গে একীভূত হচ্ছে না, ‘মুসলিমরা পশ্চিমা সমাজের সঙ্গে একীভূত হতে অনিচ্ছুক কিংবা অপারগ।’
বইটি বেরোনোর আগের দিন সংবাদপত্রে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সারাজিন ইহুদি জনগোষ্ঠীর ব্যাপারেও একটি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সব ইহুদির মধ্যেই একটি বিশেষ ধরনের জিন রয়েছে। পরে এ বিষয়ে একটা ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তিনি তাঁর এ দাবি থেকে সরে আসেননি।
সারাজিনের এসব উগ্র ও বর্ণবাদী মন্তব্যের কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে, পাঠকেরা অনুমান করতে পারেন। মুসলিম জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে যেমন এর প্রতিবাদ হয়েছে, দেশের মূলধারার রাজনীতিবিদেরাও তাঁর বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ হয়েছেন। ইহুদিদের জার্মান জাতীয় সংগঠন সারাজিনের মন্তব্যকে অ্যান্টি-সেমেটিক বলে বর্ণনা করে তাঁর পদত্যাগ চেয়েছেন। জার্মানির ইহুদি জনগোষ্ঠীর জন্য এ মন্তব্য হিটলারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। হিটলার ইহুদিদের গণহত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিলেন এই বলে যে জৈবিকভাবেই ইহুদিরা ভিন্ন ধরনের।
প্রকাশের পর এ বই নিয়ে বিতর্কের কারণ হলো, উগ্র ইসলামবিরোধী বক্তব্য এবং ইহুদিদের ব্যাপারে অতীত ভয়াবহ স্মৃতি জাগিয়ে তোলা। কিন্তু পাশাপাশি, সম্ভবত জার্মানির জন্য একটা অপ্রীতিকর বিতর্কের সূচনা করা। সে বিতর্ক হলো অভিবাসন বিতর্ক। বিদেশিদের বিষয়ে জার্মান জনগোষ্ঠী এবং সরকারের নীতিমালা নিয়ে বিতর্ক। বিদেশি অর্থাৎ মুসলিম অভিবাসী জনগোষ্ঠীর প্রশ্নকে আবারও সামনে নিয়ে আসা। জার্মানিতে অভিবাসী জনগোষ্ঠীর বড় অংশই মুসলিম। প্রায় ৪০ লাখ মুসলমান, এদের অধিকাংশ তুর্কি বংশোদ্ভূত। তবে আরব বংশোদ্ভূত ব্যক্তিদের সংখ্যাও প্রায় তিন লাখ। জার্মানিতে তুর্কিদের প্রথম প্রজন্মের একটা বড় অংশই এসেছিল ‘অতিথি কর্মী’ বা গেস্ট ওয়ার্কার হিসেবে ১৯৬১ সালের পর। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তৎকালীন পশ্চিম জার্মানিতে যে অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচনা হয়, তার জন্য প্রয়োজন হয় স্বল্পমেয়াদি বিভিন্ন ধরনের কাজের কর্মী। জার্মান নীতিনির্ধারকেরা আশা করেছিলেন, এই নতুন শ্রমিকগোষ্ঠী একসময় নিজ দেশে ফিরে যাবে। ১৯৭০-এর দশকে জার্মানি যখন এই শ্রমিক ও কর্মচারীদের পরিবারদের আনার সুযোগ দিতে বাধ্য হলো, তখনই এই নতুন বস্তবতার সূচনা হয়। কিন্তু জার্মান নীতিনির্ধারকেরা কখনোই একটা সুস্পষ্ট অভিবাসননীতি তৈরি করেননি। ২০০৫ সালের আগে তাঁরা এটা স্বীকার করতেই রাজি হননি যে জার্মানিতে স্থায়ী নিবাস গড়তেই অসংখ্য মানুষ পাড়ি জমিয়েছে, পাড়ি জমাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও আসবে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে অভিবাসীদের জন্য শিক্ষার মান উন্নয়ন, তাদের দাবিদাওয়া ও চাহিদা পূরণের চেষ্টা শুরু হয়। শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তনটি গত দুই বছরের অগ্রগতি।
ফলে জার্মানির সমাজে ও রাজনীতিতে অভিবাসন ও অভিবাসী জনগোষ্ঠী একটি রাজনৈতিক স্পর্শকাতর বিষয়। এ ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়কে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য ব্যবহার করতে সুযোগসন্ধানী রাজনীতিবিদেরা পিছপা হননি। সময়ে সময়ে ‘দেশপ্রেমের’ নামে বিদেশি অভিবাসী জুজুর ভীতি ছড়ানো হয়েছে এবং হচ্ছে। দক্ষিণপন্থী রাজনীতিবিদেরা এতভাবে তা বলেন যে তাঁদের কথায় এখন খুব বেশি সাড়া জাগে না। সারাজিন মধ্য-বামপন্থী দলের সদস্য বলেই অনেকের কাছে তা খানিকটা বিস্ময়কর লেগেছে।
অভিবাসী জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টির রাজনৈতিক কৌশল ইউরোপের বিভিন্ন দেশে সময়ে সময়ে মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। ব্রিটেনে সম্প্রতি ইংলিশ ডিফেন্স লিগ নামের উগ্র বর্ণবাদী গোষ্ঠীর উত্থানের কথা হয়তো অনেকেই জানেন। এই গ্রীষ্মকালে এই বর্ণবাদী গোষ্ঠীটি বাংলাদেশি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনে সমাবেশ ও মিছিলের আয়োজন করতে চেয়েছিল। সত্তরের দশকে ইংল্যান্ডে দক্ষিণ এশীয়দের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী ব্রিটিশ ন্যাশনাল পার্টির আক্রমণের বহু ঘটনার স্মৃতি ব্রিটিশ বাংলাদেশির মধ্যে এখনো জাগরূক। এই গোষ্ঠীর হাতেই প্রাণ দিয়েছিলেন আলতাব আলী, যার স্মৃতিতে পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্ক।
লক্ষণীয়, অভিবাসন বিষয়ে বিতর্ক এবং অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ করার প্রশ্নটি এখন উগ্র দক্ষিণপন্থী মূলধারার বাইরের গোষ্ঠীরই বিষয় নয়। দেশে দেশে মূলধারার রাজনীতিতেও তা জায়গা করে নিয়েছে। ব্রিটিনের কনজারভেটিভ লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের কোয়ালিশন সরকার সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, ইউরোপের বাইরে থেকে কাজের জন্য দেওয়া ভিসার সংখ্যা কমানো হবে। ২০১০ সালের জুন থেকে ২০১১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মোট ২৪ হাজার ১০০ ভিসা দেওয়া হবে। এ সংখ্যা এর আগের বছরের চেয়ে এক হাজার ৩০০ কম। লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা নির্বাচনের আগে অভিবাসনের ব্যাপারে যে উদারনীতির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, জোটের শরিক হিসেবে তারা তা থেকে সরে এসেছেন। শিক্ষিত ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি, যারা ব্রিটেনে কাজের জন্য আসে, তাদের সংখ্যা এমনিতে কমে যাচ্ছিল ২০১০ সালের জুন পর্যন্ত। আগের বছরের তুলনায় ১৪ শতাংশ কম লোক এসেছে ওয়ার্ক ভিসা নিয়ে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিকদের অভিবাসন কমানোর কোনো উপায় নেই ইউনিয়নের নীতির কারণে। পরিণতিতে ইউরোপের বাইরের অভিবাসীদের সংখ্যা হ্রাসের এই নীতি। নির্বাচনের আগে কনজারভেটিভ দল অবশ্য এমন কথাই বলেছিল।
ব্রিটেন বা জার্মানিতে অভিবাসী জনগোষ্ঠী নিয়ে উদ্বেগের কারণ হিসেবে অর্থনৈতিক মন্দার কথা বলা হলেও বাস্তবে তার কোনো ভিত্তি নেই। ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় গবেষণা সংস্থা ও চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অব পারসোনেল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ভুল বলে অ্যাখ্যা দিয়েছে। জার্মানির চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্স বলেছে, ২০৩০ সালে জার্মানির যত কম বয়সী লোকের দরকার হবে, তার চেয়ে ৬০ লাখ লোক কম সেই বয়সে পৌঁছাবে।
কিন্তু অভিবাসনের বিষয়টি প্রধানতই রাজনৈতিক। সে কারণেই অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক নির্বাচনের অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল অভিবাসন। লিবারেল পার্টি ও ন্যাশনাল পার্টির কোয়ালিশনের নেতা টনি এবোট নির্বাচনের আগে সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছিলেন, তাঁরা ক্ষমতায় গেলে বার্ষিক অভিবাসনের সংখ্যা তিন লাখ থেকে কমিয়ে এক লাখ ৭০ হাজারে নামিয়ে আনা হবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড অভিবাসনের ব্যাপারে উদারনীতির পক্ষে ছিলেন, কিন্তু তাঁর উত্তরসূরি জুলিয়া গিলার্ড অভিবাসননীতিতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ারই পক্ষে। মজার ব্যাপার হলো, জুলিয়া গিলার্ড ও টনি এবোট দুজনই অভিবাসী অস্ট্রেলীয়। একজন এসেছেন ওয়েলস থেকে, অন্যজনের আদি নিবাস লন্ডন। অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসীদের প্রায় ১৪ শতাংশ আসে ইংল্যান্ড থেকে। কিন্তু বিতর্কে বারবারই উল্লেখ করা হয় নৌকায় করে এশিয়া থেকে আসা হতদরিদ্র আশ্রয়প্রার্থীদের কথা। কানাডার গণমাধ্যমগুলোর দিকে তাকালেও প্রায় একই চিত্র পাওয়া যাবে। গত মাসে জাহাজে করে আসা ৪৯২ জন তামিল শরণার্থী যখন কানাডার বন্দরে এসে পৌঁছাল, তখন দেশে নতুন করে অভিবাসন বিতর্কের সূচনা হলো। সারা বছর কানাডা যত অভিবাসীকে গ্রহণ করে, তার দুই শতাংশেরও কম এই নতুন আশ্রয়প্রার্থী। দেশের কোনো কোনো সংবাদপত্র ‘শরণার্থীতে দেশ সয়লাব’ হচ্ছে বলেও বলা শুরু করল। কানাডার কোনো কোনো নীতিনির্ধারক এরই মধ্যে চাপ দিচ্ছেন, যেন শ্রীলঙ্কা থেকে আসা শরণার্থীদের ব্যাপারে কানাডা অস্ট্রেলিয়ার নীতি নেয়। অস্ট্রেলিয়া গত বছর থেকে আর কোনো শ্রীলঙ্কার শরণার্থী নিচ্ছে না।
অভিবাসী নিয়ে বিতর্ক যে কতটা রাজনৈতিক হতে পারে, তার সবচেয়ে প্রমাণ হলো যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী বিতর্কটি প্রধানত ‘অবৈধ অভিবাসী’কেন্দ্রিক। বলা হয়ে থাকে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ ‘অবৈধ’ অভিবাসী রয়েছে। এদের অধিকাংশ হিস্পানিক, প্রধানত মেক্সিকো থেকে আসা। তাদের বৈধতা দেওয়ার পথ তৈরি করতে অভিবাসননীতির সংস্কারের জন্য প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের চেষ্টা সফল হয়নি। প্রেসিডেন্ট ওবামা প্রতিশ্রুতি দিলেও তার সম্ভাবনা এখন খুবই কম। উপরন্তু রিপাবলিকান পার্টি ও দক্ষিণপন্থীরা এখন অভিবাসন প্রশ্নটিকে পুঁজি করে মধ্যবর্তী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার আশা করছেন। তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, অভিবাসী জনগোষ্ঠী দেশের অর্থনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা দুইয়ের জন্যই হুমকি। তাঁদের কথাবার্তায় মনে হয়, অভিবাসীর সংখ্যা যেন প্রতিদিনই বাড়ছে। অথচ এ সপ্তাহে প্রকাশিত পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, ২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মার্চের হিসাব অনুযায়ী বার্ষিক ‘অবৈধ অভিবাসী’ আসার সংখ্যা আগের চেয়ে কমেছে। এই হ্রাস খুব উল্লেখযোগ্য।
ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া সর্বত্রই অভিবাসন ও অভিবাসীদের নিয়ে এসব বিতর্ক ও আইনকানুন পরিবর্তনের ফলে সমাজে তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে। সমাজ ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক ও উৎপাদনশীল ভূমিকা সত্ত্বেও অভিবাসীদের ব্যাপারে সমাজের কোনো কোনো অংশের বিদ্বেষ ও হিংসার মনোভাব তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বিশ্বায়নের এই যুগে পুঁজি যখন মুনাফার সন্ধানে মুহূর্তের মধ্যে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাচ্ছে, তখন জীবন-জীবিকার সংস্থানের জন্য মানুষ অভিবাসী হবে না, তা আশা করা বাতুলতামাত্র। অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকেরা এর কী সমাধান দেন সেটাই লক্ষণীয়।
আলী রীয়াজ: যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক।

No comments

Powered by Blogger.