এ নীতি আশাব্যঞ্জক, তবে বাস্তবায়নে সদিচ্ছাই মূল কথা-জাতীয় শিশুনীতি ২০১০
বাংলাদেশের শিশুদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে সুদূরপ্রসারী রূপকল্প হিসেবে জাতীয় শিশুনীতি ২০১০-এর খসড়া প্রণীত হয়েছে। বর্তমানে শিশুরা যে নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি, তাতে ১৯৯৪ সালে প্রণীত জাতীয় শিশুনীতিকে হালনাগাদ করার এই উদ্যোগ জরুরি ছিল। এতে যেসব ভাবনা উঠে এসেছে, তা বেশ আশাব্যঞ্জক।
এখন প্রয়োজন দ্রুত বাস্তবায়ন।
আগের শিশুনীতিতে যেখানে ১৪ বছরের কম বয়সীদের শিশু বলা হতো, সেখানে এবার জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের আলোকে ১৮ বছরের কম বয়সীদের শিশু বলা হয়েছে। এ অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশই শিশু। এ কারণে শিক্ষা, শ্রম, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, বিনোদনসহ বিভিন্ন সরকারি নীতি সংস্কারের পাশাপাশি সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শিশুমুখী হওয়া প্রয়োজন।
খসড়া শিশুনীতি অনুযায়ী ১৪ বছরের কম বয়সীদের সার্বক্ষণিক শিশুশ্রমে নিয়োগ করা যাবে না। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, শিশুদের শ্রম থেকে সরানো না গেলে তাদের শিক্ষা নিশ্চিত করা যাবে না। আবার, ১৪ বছরের কম বয়সীদের আয়ের ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলো এতে সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোর আওতা প্রসারিত করে এসব শিশুর দায়িত্ব নেওয়া দরকার। এটা খুবই সম্ভব। তা ছাড়া আমাদের দেশে প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কর্মহীন। কোনো শিশু কাজে নিযুক্ত হলে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে কর্মহীন থাকতে হয়। শিশুদের কর্মক্ষমতা কম বলে মোট উৎপাদন কম হয়। তাই ১৪ বছরের কম বয়সীদের নিয়োগ বন্ধ করা গেলে তা লাভজনকই হবে। আইনের মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব, এ বিধান কার্যকর করায় সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে।
এ নীতিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিশুদের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আশা করা যায়, এবার দরিদ্র শিশুদের অর্থের বিনিময়ে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যবহার বন্ধ হবে। এ ছাড়া নতুন শিশুনীতিতে যা বিবেচনায় আনা হয়েছে: সব বিদ্যালয়ের জন্য খেলার মাঠ, খেলার সরঞ্জাম রাখা, এলাকাভিত্তিক শিশুপার্ক স্থাপন এবং নগর পরিকল্পনায় আবশ্যিকভাবে শিশুদের জন্য খেলার মাঠ থাকা; শিশুদের পুষ্টি, কন্যাশিশুর অধিকার ও প্রতিবন্ধী শিশুদের সুযোগ-সুবিধা; জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষাদান ইত্যাদি। শিশু অধিকার বিষয়ে সক্রিয় ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে এসব দাবি উত্থাপন করে আসছিলেন। তাই শিশুনীতিতে এসব বিষয়ের অন্তর্ভুক্তি আশাব্যঞ্জক।
শিশুরা বারবার সরকারি নীতি প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হয়েছে। শিশুদের জন্য মানবিক সমাজের জন্য আরও দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হবে। তার জন্য শিশুনীতি চূড়ান্ত করে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে দ্রুত সেই যাত্রা শুরু করে দেওয়া চাই।
আগের শিশুনীতিতে যেখানে ১৪ বছরের কম বয়সীদের শিশু বলা হতো, সেখানে এবার জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদের আলোকে ১৮ বছরের কম বয়সীদের শিশু বলা হয়েছে। এ অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫ শতাংশই শিশু। এ কারণে শিক্ষা, শ্রম, সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, বিনোদনসহ বিভিন্ন সরকারি নীতি সংস্কারের পাশাপাশি সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শিশুমুখী হওয়া প্রয়োজন।
খসড়া শিশুনীতি অনুযায়ী ১৪ বছরের কম বয়সীদের সার্বক্ষণিক শিশুশ্রমে নিয়োগ করা যাবে না। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, শিশুদের শ্রম থেকে সরানো না গেলে তাদের শিক্ষা নিশ্চিত করা যাবে না। আবার, ১৪ বছরের কম বয়সীদের আয়ের ওপর নির্ভরশীল পরিবারগুলো এতে সাময়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিগুলোর আওতা প্রসারিত করে এসব শিশুর দায়িত্ব নেওয়া দরকার। এটা খুবই সম্ভব। তা ছাড়া আমাদের দেশে প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ কর্মহীন। কোনো শিশু কাজে নিযুক্ত হলে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে কর্মহীন থাকতে হয়। শিশুদের কর্মক্ষমতা কম বলে মোট উৎপাদন কম হয়। তাই ১৪ বছরের কম বয়সীদের নিয়োগ বন্ধ করা গেলে তা লাভজনকই হবে। আইনের মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব, এ বিধান কার্যকর করায় সরকারকে সচেষ্ট হতে হবে।
এ নীতিতে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শিশুদের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আশা করা যায়, এবার দরিদ্র শিশুদের অর্থের বিনিময়ে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যবহার বন্ধ হবে। এ ছাড়া নতুন শিশুনীতিতে যা বিবেচনায় আনা হয়েছে: সব বিদ্যালয়ের জন্য খেলার মাঠ, খেলার সরঞ্জাম রাখা, এলাকাভিত্তিক শিশুপার্ক স্থাপন এবং নগর পরিকল্পনায় আবশ্যিকভাবে শিশুদের জন্য খেলার মাঠ থাকা; শিশুদের পুষ্টি, কন্যাশিশুর অধিকার ও প্রতিবন্ধী শিশুদের সুযোগ-সুবিধা; জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর শিশুদের মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষাদান ইত্যাদি। শিশু অধিকার বিষয়ে সক্রিয় ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন ধরে এসব দাবি উত্থাপন করে আসছিলেন। তাই শিশুনীতিতে এসব বিষয়ের অন্তর্ভুক্তি আশাব্যঞ্জক।
শিশুরা বারবার সরকারি নীতি প্রণয়ন ও তার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হয়েছে। শিশুদের জন্য মানবিক সমাজের জন্য আরও দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হবে। তার জন্য শিশুনীতি চূড়ান্ত করে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে দ্রুত সেই যাত্রা শুরু করে দেওয়া চাই।
No comments