স্পেন-ইতালির ড্র
ম্যাচ শুরুর আগে স্পেনের একাদশ শুনে চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। ইনজুরির কারণে স্কোয়াডেই নেই ডেভিড ভিয়া, কিন্তু তাঁর বিকল্প হিসেবে যাঁরা আছেন, তাঁদের কেউই নেই একাদশে! বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের ১১ জনের দলে নেই কোনো স্ট্রাইকার, আক্রমণ সাজাবেন কেবল তিন আক্রমণাত্মক মিডফিল্ডার ডেভিড সিলভা, আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা আর সেস্ক
ফ্যাব্রেগাস! স্ট্রাইকারের ভূমিকাটা নিতে হলো যাঁকে, সেই ফ্যাব্রেগাসের এ অনভ্যস্ত পজিশনে মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছিল বেশ। কিন্তু অনেকগুলো সুযোগ নষ্ট করলেও শেষ পর্যন্ত সেই ফ্যাব্রেগাসই আবির্ভূত হয়েছেন রক্ষাকর্তা হিসেবে। বদলি খেলোয়াড় আন্তনিও দি নাতালের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর তাঁর গোলেই সমতা এনে হার এড়িয়েছে স্পেন। জিততে পারেনি অবশ্য, সমস্যা জর্জরিত ইতালির সঙ্গে ড্র করেছে ১-১ গোলে।
গদানস্কে ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের সি গ্রুপের উদ্বোধনী ম্যাচে কাল অবশ্য জিততে পারত দুই দলের যে কেউ। গোলশূন্য প্রথমাধর্ে্ব দুই দলই নষ্ট করেছে গোলের একাধিক সুযোগ। তবে একদিকে ফ্যাব্রেগাস, ইনিয়েস্তাদের ব্যর্থতা আর অন্যদিকে স্পেনের গোলরক্ষক ইকার ক্যাসিয়াসের দুর্দান্ত কিছু সেভের কারণে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি কোনো দলই। ম্যাচের গোলখরা অবশেষে কেটেছে ৬০ মিনিটে, মিনিটচারেক আগেই মারিও বালোতেলির বদলি হিসেবে নামা দি নাতালের কল্যাণে। ইতালির প্রায় সব আক্রমণের প্রাণভোমরা আন্দ্রিয়া পিয়েরলোর চমৎকার একটি ক্রস ধরে নিজের প্রথম শটেই ইতালিকে এগিয়ে নিয়েছেন তিনি।
তবে আজ্জুরিদের এ উল্লাস বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। মিনিটচারেক বাদেই সমতায় ফিরেছে স্পেন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের অন্য অনেক আক্রমণের মতোই এটিরও সূচনা হয়েছিল ইনিয়েস্তা আর সিলভার দারুণ সমঝোতায়। সিলভা যখন গোলমুখে চূড়ান্ত পাসটি দেন, তখন খানিকটা পেছনেই ছিলেন ফ্যাব্রেগাস, তবে দারুণ এক দৌড়ে সে দূরত্ব মুছে দিয়ে ১২ গজ দূর থেকে নেওয়া শটে জিয়ানলুইজি বুফোনকে বোকা বানিয়েছেন তিনি।
এরপর অবশ্য ফ্যাব্রেগাসকে তুলে নিয়ে ফার্নান্দো তরেসকে নামিয়েছেন স্পেনের কোচ ভিসেন্তে দেল বস্ক, তবে গোলের দেখা আর পায়নি তারা। আর তাই বিশ্বকাপ রানার্সআপ নেদারল্যান্ডসের মতো চ্যাম্পিয়ন স্পেনকেও প্রথম ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। তাদের কাছ থেকে একটি পয়েন্ট কেড়ে নিয়ে ইতালিয়ানরা আবার মনে করিয়ে দিয়েছে, কেলেঙ্কারির বছরে বড় টুর্নামেন্টে তাদের হারানো কতটা কঠিন!
No comments