এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আচরণবিধি থাকা উচিত-থানা-পুলিশের জন্য সাংসদের উপঢৌকন
কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকার সাংসদ নবগঠিত মনোহরগঞ্জ থানার পুলিশের ব্যবহারের জন্য একটি মাইক্রোবাস উপঢৌকন হিসেবে দিয়েছেন। সেটা যে সাংসদের সৌজন্যে পাওয়া, তা সবাইকে জানানোর জন্য গাড়ির পেছনের অংশে সে কথা লিখে রাখা হয়েছে। এটা পরিষ্কার, এই বিজ্ঞাপন তাঁর ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য সিদ্ধির জন্য।
এই সাংসদ লাকসাম থানার একটি মাইক্রোবাসও এক লাখ ৮০ হাজার টাকায় মেরামত করে দিয়েছেন। পুলিশ তা ব্যবহার করছে। গাড়ি দিয়ে তো আসলে সাংসদ তাঁর নিজের প্রতি থানা-পুলিশকে দায়বদ্ধ রাখার ব্যবস্থা করলেন। সাংসদের বিরুদ্ধে যদি কখনো কোনো অভিযোগ ওঠে, থানার পুলিশ কি সে ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নিতে পারবে? সাংসদের নুন খেয়ে তো তাঁর গুণ গাইতেই হবে।
তা ছাড়া প্রশ্ন ওঠে, সাংসদ যে মাইক্রোবাস দিলেন, গাড়ি মেরামত করে দিলেন, এই টাকা কার? এটা কি তাঁর বৈধ আয় থেকে এসেছে? তিনি কি সেই ব্যয়ের হিসাব আয়কর বিভাগের সম্পদ বিবরণীতে প্রকাশ করবেন? সাংসদদের অনেক সুবিধা। তাঁদের আয়কর দিতে হয় না। কিন্তু তিনি যে দুই হাতে টাকা বিলি করবেন, তার বৈধতা নিয়ে তো প্রশ্ন তোলা যায়। তাঁর উচিত এই টাকার উৎস সবাইকে জানতে দেওয়া। অবশ্য পাঁচ-দশ লাখ টাকার বৈধ উৎস দেখানো একজন সাংসদের জন্য এমন কিছু না। তার পরও প্রশ্ন ওঠে, তিনি কি সরাসরি থানা-পুলিশকে এভাবে গাড়ি উপহার বা গাড়ি মেরামতের টাকা দিতে পারেন?
তিনি যদি পুলিশের সেবা করতে চান, নিশ্চয়ই সে উদ্যোগকে সবাই স্বাগত জানাবে। কিন্তু সেটা তাঁকে করতে হবে নিয়মসিদ্ধ উপায়ে। তিনি গাড়ি দিলে দেবেন পুলিশ বিভাগকে। পুলিশ কর্তৃপক্ষ তখন বিবেচনা করবে, সেই গাড়ি কোথায় কীভাবে ব্যবহার করা যায়।
জনপ্রতিনিধি হিসেবে একজন সাংসদের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। তিনি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করবেন, এলাকার জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করবেন, সেটা সবাই চায়। কিন্তু এমন কিছু করা তাঁদের উচিত নয়, যা নৈতিকতার মানদণ্ডে প্রশ্নবোধক হয়ে পড়ে। সংসদের বাইরের কাজকর্মের ব্যাপারে সাংসদদের জন্য একটি আচরণবিধি প্রণয়ন করা উচিত। সাংসদ কাউকে কী পরিমাণ মূল্যের উপঢৌকন দিতে পারেন, কার কাছ থেকে কী শর্তে কী পরিমাণ উপঢৌকন নিতে পারেন—সেসব একটি গৃহীত নীতিমালা অনুযায়ী স্বীকৃত হলে আর প্রশ্ন উঠবে না। এ রকম নীতিমালা প্রণয়নের একটি প্রস্তাব সম্প্রতি সংসদে তোলা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংসদের সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
তা ছাড়া প্রশ্ন ওঠে, সাংসদ যে মাইক্রোবাস দিলেন, গাড়ি মেরামত করে দিলেন, এই টাকা কার? এটা কি তাঁর বৈধ আয় থেকে এসেছে? তিনি কি সেই ব্যয়ের হিসাব আয়কর বিভাগের সম্পদ বিবরণীতে প্রকাশ করবেন? সাংসদদের অনেক সুবিধা। তাঁদের আয়কর দিতে হয় না। কিন্তু তিনি যে দুই হাতে টাকা বিলি করবেন, তার বৈধতা নিয়ে তো প্রশ্ন তোলা যায়। তাঁর উচিত এই টাকার উৎস সবাইকে জানতে দেওয়া। অবশ্য পাঁচ-দশ লাখ টাকার বৈধ উৎস দেখানো একজন সাংসদের জন্য এমন কিছু না। তার পরও প্রশ্ন ওঠে, তিনি কি সরাসরি থানা-পুলিশকে এভাবে গাড়ি উপহার বা গাড়ি মেরামতের টাকা দিতে পারেন?
তিনি যদি পুলিশের সেবা করতে চান, নিশ্চয়ই সে উদ্যোগকে সবাই স্বাগত জানাবে। কিন্তু সেটা তাঁকে করতে হবে নিয়মসিদ্ধ উপায়ে। তিনি গাড়ি দিলে দেবেন পুলিশ বিভাগকে। পুলিশ কর্তৃপক্ষ তখন বিবেচনা করবে, সেই গাড়ি কোথায় কীভাবে ব্যবহার করা যায়।
জনপ্রতিনিধি হিসেবে একজন সাংসদের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। তিনি এলাকার মানুষের জন্য কাজ করবেন, এলাকার জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করবেন, সেটা সবাই চায়। কিন্তু এমন কিছু করা তাঁদের উচিত নয়, যা নৈতিকতার মানদণ্ডে প্রশ্নবোধক হয়ে পড়ে। সংসদের বাইরের কাজকর্মের ব্যাপারে সাংসদদের জন্য একটি আচরণবিধি প্রণয়ন করা উচিত। সাংসদ কাউকে কী পরিমাণ মূল্যের উপঢৌকন দিতে পারেন, কার কাছ থেকে কী শর্তে কী পরিমাণ উপঢৌকন নিতে পারেন—সেসব একটি গৃহীত নীতিমালা অনুযায়ী স্বীকৃত হলে আর প্রশ্ন উঠবে না। এ রকম নীতিমালা প্রণয়নের একটি প্রস্তাব সম্প্রতি সংসদে তোলা হয়েছে। এ ব্যাপারে সংসদের সক্রিয় উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
No comments