জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ-বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং
ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে দেওয়ার উদ্যোগ চলছে, সরকারের ঘনিষ্ঠ একটি প্রভাবশালী গোষ্ঠী বার্ষিক প্রায় ৩০০ কোটি টাকার কাজটি পাওয়ার চেষ্টা করছে—এমন খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার।
প্রথমত, ৩৮ বছর ধরে যে কাজটি করে আসছে জাতীয় বিমান সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, সেটি কেন এখন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন অনুভূত হলো? বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী বলেছেন, বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বাংলাদেশ বিমানের কর্মসম্পাদনে সেবাগ্রহীতারা সন্তুষ্ট নয়। এটি একটি যুক্তি হতে পারে। কিন্তু এর চেয়ে বড় যুক্তি আছে—গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বাংলাদেশ বিমানের বর্তমান সেবার মান বাড়িয়ে সেবাগ্রহীতাদের সন্তুষ্টি অর্জনের উপায় কি নেই? সে জন্য যা যা করণীয়, যেমন দক্ষ লোকবল ও ইকুইপমেন্টস বাড়ানো—এসবের উদ্যোগ কি নেওয়া হয়েছে? সেবার মান বাড়ানোর সব চেষ্টা বিফলে গেলেই কেবল বিকল্প চিন্তা করা যেতে পারে, তার আগে নয়। কিন্তু তেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বাংলাদেশ বিমানের কাজের মান ও দক্ষতা বাড়াতে বলেছেন। এ জন্য তাদের তিন মাস সময় দিয়েছেন। এটা বেশ ভালো কথা। এখন নিশ্চয়ই বিমান কর্তৃপক্ষকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজের মান বাড়াতে তৎপর হতে হবে। তারা জানে, এই কাজ থেকে তাদের বার্ষিক আয় হয় ২৮০ কোটি টাকা। এই কাজ হারালে বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করাই দায় হয়ে উঠবে। সুতরাং আগের মতো আর চলবে না, কাজটিকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ভাবারও আর উপায় নেই।
মন্ত্রী বলেছেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজটি বাংলাদেশ বিমানের হাতেই থাকুক, এটা তিনি চান। কিন্তু তাদের সেবার নিম্নমানের কারণে সেবাগ্রহীতাদের দিক থেকে চাপের ফলে বিমান যে কাজটি হারাতে পারে, এমন আশঙ্কাও তাঁর উক্তিতেই পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশ বিমানকে তিন মাস সময় দিয়েছেন। এর মধ্যে বিমানের কাজের মান উন্নত না হলে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজটি বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
এ বিষয়ে কয়েকটি বিষয় বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে ভেবে দেখা উচিত। প্রথমত, দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা জাতীয় নিরাপত্তার বিবেচনায় অতি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ এমন, যাতে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে অবাধ প্রবেশাধিকার থাকতে হয়। কোনো বেসরকারি কোম্পানিকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ দেওয়া হলে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত করা যাবে, তা একটি বড় প্রশ্ন। সাম্প্রতিক বিশ্ব-পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতার কারণে বিভিন্ন দেশের জাতীয় বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোরতর করা হচ্ছে। আমাদেরও এ বিষয়ে চিন্তা করা উচিত। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ নিরাপত্তা-বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজটি যদি বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানকে দিতেই হয়, তাহলে সেই প্রক্রিয়াটি হওয়া উচিত সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, সব ধরনের প্রভাব থেকে মুক্ত। উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান ও বিধিমোতাবেক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে সব বিবেচনায় সবচেয়ে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকেই কাজটি দেওয়া উচিত। দরপত্র-প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ বিমানেরও অংশগ্রহণের সুযোগ থাকতে পারে।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁরা গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে বাংলাদেশ বিমানের কাজের মান ও দক্ষতা বাড়াতে বলেছেন। এ জন্য তাদের তিন মাস সময় দিয়েছেন। এটা বেশ ভালো কথা। এখন নিশ্চয়ই বিমান কর্তৃপক্ষকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজের মান বাড়াতে তৎপর হতে হবে। তারা জানে, এই কাজ থেকে তাদের বার্ষিক আয় হয় ২৮০ কোটি টাকা। এই কাজ হারালে বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করাই দায় হয়ে উঠবে। সুতরাং আগের মতো আর চলবে না, কাজটিকে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত ভাবারও আর উপায় নেই।
মন্ত্রী বলেছেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজটি বাংলাদেশ বিমানের হাতেই থাকুক, এটা তিনি চান। কিন্তু তাদের সেবার নিম্নমানের কারণে সেবাগ্রহীতাদের দিক থেকে চাপের ফলে বিমান যে কাজটি হারাতে পারে, এমন আশঙ্কাও তাঁর উক্তিতেই পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বাংলাদেশ বিমানকে তিন মাস সময় দিয়েছেন। এর মধ্যে বিমানের কাজের মান উন্নত না হলে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজটি বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে।
এ বিষয়ে কয়েকটি বিষয় বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে ভেবে দেখা উচিত। প্রথমত, দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা জাতীয় নিরাপত্তার বিবেচনায় অতি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ এমন, যাতে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের বিমানবন্দরের স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে অবাধ প্রবেশাধিকার থাকতে হয়। কোনো বেসরকারি কোম্পানিকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ দেওয়া হলে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি কীভাবে নিশ্চিত করা যাবে, তা একটি বড় প্রশ্ন। সাম্প্রতিক বিশ্ব-পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতার কারণে বিভিন্ন দেশের জাতীয় বিমানবন্দরগুলোতে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোরতর করা হচ্ছে। আমাদেরও এ বিষয়ে চিন্তা করা উচিত। এ বিষয়ে অভিজ্ঞ নিরাপত্তা-বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজটি যদি বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানকে দিতেই হয়, তাহলে সেই প্রক্রিয়াটি হওয়া উচিত সম্পূর্ণ স্বচ্ছ, সব ধরনের প্রভাব থেকে মুক্ত। উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান ও বিধিমোতাবেক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে সব বিবেচনায় সবচেয়ে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানকেই কাজটি দেওয়া উচিত। দরপত্র-প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ বিমানেরও অংশগ্রহণের সুযোগ থাকতে পারে।
No comments