প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় সব প্রাণ গুরুত্বপূর্ণ-শকুনের জন্য শোক
কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ‘শকুন’ গল্পে গ্রামের ছেলেরা পিটিয়ে শকুন মেরে উল্লাস করে। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানের আবহে সেই শকুনটি যেন স্বৈরশাসক আইয়ুব খান এবং সেনাশাসনের তাঁবেদার ‘মৌলিক গণতন্ত্রী’ মাতবরদের প্রতীক হিসেবে এসেছিল।
গল্পের শকুনটির মৃত্যু যেন শোষকদের পরাজয়েরই প্রতীক। কিন্তু এখন দেশের ৯৮ শতাংশ শকুন বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার সংবাদে খুশি না হয়ে দুঃখ ও উদ্বেগই জাগছে। সম্প্রতি ঢাকায় এক সেমিনারে দেশের পাখিপ্রেমিক ও প্রাণী বিশেষজ্ঞরা সেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বাঙালি সংস্কৃতিতে শকুন কোনো দিন আদর বা প্রীতি পায়নি। পাখিটির রূপহীনতা আর মৃত পশু ভক্ষণের স্বভাবই এর জন্য দায়ী। তা হলেও প্রকৃতির কাছে শকুনের মূল্য অসামান্য। আর সব পাখির মতো শকুনও প্রাণিজগতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় এরও গুরুত্ব রয়েছে। শকুন প্রকৃতির ‘ক্লিনার’ হিসেবে মৃত প্রাণী ভক্ষণ করে বলেই মৃত প্রাণীর দেহের জীবাণু অন্য প্রাণীকে আক্রমণ করতে পারে না। কিন্তু দেশময় গবাদিপশুকে ডাইক্লোফেনাকসহ বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ানোয় এসব পশু মরে গেলে তার মাংস খেয়ে দলে দলে শকুনের মৃত্যু হচ্ছে। শকুনের দোয়ায় গরু না মরলেও গরুর দেহের বিষে শকুন মরছে। বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, শকুন কমে যাওয়ায় বাংলাদেশে গবাদিপশুর অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্মা ও খুরা রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের কয়েকটি এলাকায় গরুর অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগে মৃত্যু এবং মানুষের মধ্যে তার সংক্রমণের পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে ‘লাল হুঁশিয়ারি’ জারি হয়েছে। এ ঘটনায় যদি শকুনের গুরুত্ব সবাই উপলব্ধি করে, তবে শকুনও বাঁচে, মানুষও বাঁচে।
প্রথম আলোর সংবাদে বিশেষজ্ঞরা শকুন রক্ষায় গবাদিপশুর ব্যথানাশক ওষুধ ডাইক্লোফেনাক ও ক্লিটোফেনাক নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন। আশা করি, সরকার দ্রুতই তা বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু মানুষ ও প্রাণিকুলের জন্য ক্ষতিকর এমন অনেক ওষুধ ও রাসায়নিকের দেদার ব্যবহূত হয়ে চলেছে, যা চিহ্নিত ও নিষিদ্ধ হওয়া দরকার। কিন্তু দেখা যায়, মৃত্যু, বিপর্যয় ও মহামারি না হওয়া পর্যন্ত কারও টনক নড়ে না।
অনেক সময় দেখা যায়, এ ধরনের পরিস্থিতি একশ্রেণীর ওষুধ কোম্পানির জন্য পোয়াবারো হয়ে ওঠে। তাই সরকারকে সঠিকভাবে রোগের কারণ চিহ্নিত করা, প্রতিকারের যথাযথ উপায় খুঁজে বের করা এবং বাণিজ্যিক অভিলাষ প্রতিরোধেও সজাগ থাকতে হবে।
বাঙালি সংস্কৃতিতে শকুন কোনো দিন আদর বা প্রীতি পায়নি। পাখিটির রূপহীনতা আর মৃত পশু ভক্ষণের স্বভাবই এর জন্য দায়ী। তা হলেও প্রকৃতির কাছে শকুনের মূল্য অসামান্য। আর সব পাখির মতো শকুনও প্রাণিজগতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় এরও গুরুত্ব রয়েছে। শকুন প্রকৃতির ‘ক্লিনার’ হিসেবে মৃত প্রাণী ভক্ষণ করে বলেই মৃত প্রাণীর দেহের জীবাণু অন্য প্রাণীকে আক্রমণ করতে পারে না। কিন্তু দেশময় গবাদিপশুকে ডাইক্লোফেনাকসহ বিভিন্ন ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ানোয় এসব পশু মরে গেলে তার মাংস খেয়ে দলে দলে শকুনের মৃত্যু হচ্ছে। শকুনের দোয়ায় গরু না মরলেও গরুর দেহের বিষে শকুন মরছে। বিজ্ঞানীদের ভাষ্য, শকুন কমে যাওয়ায় বাংলাদেশে গবাদিপশুর অ্যানথ্রাক্স, যক্ষ্মা ও খুরা রোগ মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে দেশের কয়েকটি এলাকায় গরুর অ্যানথ্রাক্স বা তড়কা রোগে মৃত্যু এবং মানুষের মধ্যে তার সংক্রমণের পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে ‘লাল হুঁশিয়ারি’ জারি হয়েছে। এ ঘটনায় যদি শকুনের গুরুত্ব সবাই উপলব্ধি করে, তবে শকুনও বাঁচে, মানুষও বাঁচে।
প্রথম আলোর সংবাদে বিশেষজ্ঞরা শকুন রক্ষায় গবাদিপশুর ব্যথানাশক ওষুধ ডাইক্লোফেনাক ও ক্লিটোফেনাক নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছেন। আশা করি, সরকার দ্রুতই তা বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু মানুষ ও প্রাণিকুলের জন্য ক্ষতিকর এমন অনেক ওষুধ ও রাসায়নিকের দেদার ব্যবহূত হয়ে চলেছে, যা চিহ্নিত ও নিষিদ্ধ হওয়া দরকার। কিন্তু দেখা যায়, মৃত্যু, বিপর্যয় ও মহামারি না হওয়া পর্যন্ত কারও টনক নড়ে না।
অনেক সময় দেখা যায়, এ ধরনের পরিস্থিতি একশ্রেণীর ওষুধ কোম্পানির জন্য পোয়াবারো হয়ে ওঠে। তাই সরকারকে সঠিকভাবে রোগের কারণ চিহ্নিত করা, প্রতিকারের যথাযথ উপায় খুঁজে বের করা এবং বাণিজ্যিক অভিলাষ প্রতিরোধেও সজাগ থাকতে হবে।
No comments