আকরাম খানের সা ক্ষা ৎ কা র-মাকে বাংলাদেশে আনার জন্য পাইলট হতে চেয়েছিলাম
প্রশ্ন: বাংলায় ‘দেশ’-এর অর্থ জন্মভূমি। আপনার কাছে এই জন্মভূমি যদি বলি তো তার মানে কী? উত্তর: আমার জন্ম ইংল্যান্ডে, বাবা-মা বাঙালি। কিন্তু আমি যখন বাংলাদেশে যাই, নিজেকে আমার বিদেশিই মনে হয়। তাই আমার কাছে প্রকৃত দেশ বলে কিছু নেই, বিশ্বের মানচিত্রের কোথাও আঙুল রেখে আমি নির্দিষ্ট করে বলতে পারব না, এই খানে এটা আমার দেশ।
আমার কাছে নিজের শরীরই আমার দেশ। ওখানেই আমি নিজেকে খুঁজে পাই, সেটা যে দেশেই হোক। কিন্তু এটাও ঠিক, কিছু কিছু সময় আসে, যখন এই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্যও কোনো একটা জায়গার প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন: দেশ কীভাবে তৈরি হলো?
উত্তর: দেশ-এর পরিকল্পনায় হাওয়া লাগে বাংলাদেশে আট দিনের সফরে গিয়ে (২০১০ সালের নভেম্বরে), দলের সবাই বাংলাদেশে হাজির হই। ঢাকা ছাড়াও বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর খুলনাতেও নানা লোকের সঙ্গে আলাপ হয় আমাদের—এদের মধ্যে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও ছিল বিভিন্ন শিল্পী, শিল্পীগোষ্ঠী, নাট্যব্যক্তিত্ব। দল হিসেবে প্রতিদিন আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতাম, বাংলাদেশকে স্বচক্ষে দেখার পর প্রতিদিন অনুভব করার পর কেমন হবে দেশ, কেমন হওয়া উচিত? স্বাধীনভাবে যে যার পরিকল্পনা জানাত। আসলে বাংলাদেশ সফরটা একই সঙ্গে আমাদের জন্য যেমন ছিল গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি হয়তো অর্থহীনও। আমি সর্বান্তকরণে বাংলাদেশকে; এ দেশের সুর ছন্দ, রং, হূৎস্পন্দনকে অনুভব করার চেষ্টা করছিলাম আমার ভেতরে। বাংলাদেশের অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু সেটা শুধু এ দেশের মানুষকে, এ দেশের শান্ত মৌনতাকে ধরার জন্য। নীরবতা থেকেই আমি খুঁজে নিই আমার কাজের রসদ। ওই সফরে বাংলাদেশ থেকে আমরা অনেক কিছু সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলাম, সে সবেরই মর্ম উদ্ধার, আত্তীকরণ আর পরিপূর্ণভাবে আত্মস্থ করার ফলই হলো দেশ।
প্রশ্ন: দেশ বানানোতে আর কী কী বিষয় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে?
উত্তর: যদিও দেশ আমার একক কাজ, আমি ভাগ্যবান, এই কাজে আমার বিশ্বসেরা সহকর্মীদের পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছি। এই কাজে আমি কত্থক আর সমকালীন নাচের কোনো সম্মিলন ঘটানোর চেষ্টা করিনি। শুধু আমার শরীরের ছন্দে স্বতঃস্ফূর্ততায় সাড়া দিয়েছি। বাংলাদেশের লোকনাচ, জেলেনাচ, কৃষকনাচ, বিদ্রোহের নাচ—সব স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমার মধ্যে এসেছে। ৩০ বছর আগে আমি লোকনাচ নেচেছিলাম। আমি ব্রুসলির বিরাট ভক্ত, দেশ-এ আমি কিছু মার্শাল আর্টের কৌশলও মিশিয়েছি, মাইকেল জ্যাকসনে অনুপ্রাণিত হয়ে তরুণ বয়সে নাচা ব্রেক ড্যান্সেরও ব্যবহার আছে।
প্রশ্ন: নাচ ছাড়া আপনার সময় কাটে কীভাবে?
উত্তর: পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসি। বিশেষ করে, আমার চার বছরের ভাগনের সঙ্গে। মায়ের সঙ্গেও গল্প করতে ভালো লাগে। মা আমার জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।
প্রশ্ন: দেশ-এর মধ্য দিয়ে কী বলতে চেয়েছেন?
উত্তর: আশাবাদের কথা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর উদ্যাপনকালে দেশ মঞ্চস্থ হওয়াটা একটা বাড়তি প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। এ কথা না বললেই নয়, দেশ একান্তভাবে আমার ব্যক্তিগত এক ভ্রমণের ফসল। এই ভ্রমণ থেকে আমি আমার শিকড় খোঁজার চেষ্টা করেছি। দেশ বাবার সঙ্গে আমার সম্পর্কের গল্প, বাবা আমার কাছে আমার অতীত আমার বাংলাদেশ, তার মধ্য দিয়ে আমি বাংলাদেশের ইতিহাসকে পাই। বাংলাদেশকে যারা জানে, তাদের কাছে ওই দেশ, ওই দেশের ইতিহাস, রাজনীতিও জানা। বাংলাদেশের কয়েকটি চরিত্র এখানে পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছি, এদের একজন হলো নূর হোসেন, যে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছিল।
প্রশ্ন: ড্যান্সার, কোরিওগ্রাফার না হলে কী হতেন?
উত্তর: আমি সংগীতশিল্পী হতে চেয়েছিলাম, নাটকের ভাঁড় কিংবা মোটরবাইক রেসার। কিন্তু আমার ছেলেবেলায় মা বাংলাদেশের জন্য খুব মন খারাপ করে থাকতেন। ওই দেশকে তিনি কোনো দিনই ভুলতে পারেননি। তাঁর গ্রাম, তাঁর মাকে খুব মিস করতেন। তাই আমি তখন পাইলট হতে চেয়েছিলাম, যাতে মাকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারি।
প্রশ্ন: দেশ কীভাবে তৈরি হলো?
উত্তর: দেশ-এর পরিকল্পনায় হাওয়া লাগে বাংলাদেশে আট দিনের সফরে গিয়ে (২০১০ সালের নভেম্বরে), দলের সবাই বাংলাদেশে হাজির হই। ঢাকা ছাড়াও বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর খুলনাতেও নানা লোকের সঙ্গে আলাপ হয় আমাদের—এদের মধ্যে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও ছিল বিভিন্ন শিল্পী, শিল্পীগোষ্ঠী, নাট্যব্যক্তিত্ব। দল হিসেবে প্রতিদিন আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতাম, বাংলাদেশকে স্বচক্ষে দেখার পর প্রতিদিন অনুভব করার পর কেমন হবে দেশ, কেমন হওয়া উচিত? স্বাধীনভাবে যে যার পরিকল্পনা জানাত। আসলে বাংলাদেশ সফরটা একই সঙ্গে আমাদের জন্য যেমন ছিল গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি হয়তো অর্থহীনও। আমি সর্বান্তকরণে বাংলাদেশকে; এ দেশের সুর ছন্দ, রং, হূৎস্পন্দনকে অনুভব করার চেষ্টা করছিলাম আমার ভেতরে। বাংলাদেশের অনেক মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু সেটা শুধু এ দেশের মানুষকে, এ দেশের শান্ত মৌনতাকে ধরার জন্য। নীরবতা থেকেই আমি খুঁজে নিই আমার কাজের রসদ। ওই সফরে বাংলাদেশ থেকে আমরা অনেক কিছু সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলাম, সে সবেরই মর্ম উদ্ধার, আত্তীকরণ আর পরিপূর্ণভাবে আত্মস্থ করার ফলই হলো দেশ।
প্রশ্ন: দেশ বানানোতে আর কী কী বিষয় প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে?
উত্তর: যদিও দেশ আমার একক কাজ, আমি ভাগ্যবান, এই কাজে আমার বিশ্বসেরা সহকর্মীদের পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছি। এই কাজে আমি কত্থক আর সমকালীন নাচের কোনো সম্মিলন ঘটানোর চেষ্টা করিনি। শুধু আমার শরীরের ছন্দে স্বতঃস্ফূর্ততায় সাড়া দিয়েছি। বাংলাদেশের লোকনাচ, জেলেনাচ, কৃষকনাচ, বিদ্রোহের নাচ—সব স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমার মধ্যে এসেছে। ৩০ বছর আগে আমি লোকনাচ নেচেছিলাম। আমি ব্রুসলির বিরাট ভক্ত, দেশ-এ আমি কিছু মার্শাল আর্টের কৌশলও মিশিয়েছি, মাইকেল জ্যাকসনে অনুপ্রাণিত হয়ে তরুণ বয়সে নাচা ব্রেক ড্যান্সেরও ব্যবহার আছে।
প্রশ্ন: নাচ ছাড়া আপনার সময় কাটে কীভাবে?
উত্তর: পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালোবাসি। বিশেষ করে, আমার চার বছরের ভাগনের সঙ্গে। মায়ের সঙ্গেও গল্প করতে ভালো লাগে। মা আমার জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব।
প্রশ্ন: দেশ-এর মধ্য দিয়ে কী বলতে চেয়েছেন?
উত্তর: আশাবাদের কথা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪০ বছর উদ্যাপনকালে দেশ মঞ্চস্থ হওয়াটা একটা বাড়তি প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। এ কথা না বললেই নয়, দেশ একান্তভাবে আমার ব্যক্তিগত এক ভ্রমণের ফসল। এই ভ্রমণ থেকে আমি আমার শিকড় খোঁজার চেষ্টা করেছি। দেশ বাবার সঙ্গে আমার সম্পর্কের গল্প, বাবা আমার কাছে আমার অতীত আমার বাংলাদেশ, তার মধ্য দিয়ে আমি বাংলাদেশের ইতিহাসকে পাই। বাংলাদেশকে যারা জানে, তাদের কাছে ওই দেশ, ওই দেশের ইতিহাস, রাজনীতিও জানা। বাংলাদেশের কয়েকটি চরিত্র এখানে পরিচয় করিয়ে দিতে চেয়েছি, এদের একজন হলো নূর হোসেন, যে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছিল।
প্রশ্ন: ড্যান্সার, কোরিওগ্রাফার না হলে কী হতেন?
উত্তর: আমি সংগীতশিল্পী হতে চেয়েছিলাম, নাটকের ভাঁড় কিংবা মোটরবাইক রেসার। কিন্তু আমার ছেলেবেলায় মা বাংলাদেশের জন্য খুব মন খারাপ করে থাকতেন। ওই দেশকে তিনি কোনো দিনই ভুলতে পারেননি। তাঁর গ্রাম, তাঁর মাকে খুব মিস করতেন। তাই আমি তখন পাইলট হতে চেয়েছিলাম, যাতে মাকে বাড়ি নিয়ে যেতে পারি।
No comments