চৌমুহনীতে সেপটিক ট্যাংকে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু
স্টাফ রিপোর্টার নোয়াখালী থেকে: সেপটিক ট্যাংক থেকে ৩ শ্রমিকের লাশ উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। এ সময় ডাক্তারসহ আহত-১০। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গণিপুরের বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী দুপুরে চৌমুহনী শহরের ক্লাসিক হাসপাতাল, শাইনিং হাসপাতাল, ইউনিক ল্যাব, বাসন্তী মেডিকেল হল, কম্পিউটার ল্যাব, ডা. আলাউদ্দিনের চেম্বার ভাঙচুর করা কালে ডাক্তার সফিকুর রহমানসহ ১০জন আহত হয়। নোয়াখালীর চৌমুহনী পৌর এলাকার গণিপুর গ্রামের আবু তাহেরের বাড়ির বাস ভবনের সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে গতকাল দুপুরে বিষাক্ত গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ ও দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের লাশ উদ্ধার করে। নিহত শ্রমিকরা হচ্ছে গণিপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন (৩৫), জসিম উদ্দিন (৩২) ও মো. নিজাম (৩০)। এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুল আলম ও অগ্নিনির্বাপক অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল দুপুরে চৌমুহনী পৌরসভার গণিপুর গ্রামের প্রবাসী আবু তাহের মিয়ার নির্মাণাধীন নতুন বাড়ির একটি সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কারের জন্য এই তিন শ্রমিক সেপটিক ট্যাংক এর ভেতরে ঢুকে। তাদের ফিরে আসতে বিলম্ব হওয়ায় অপেক্ষমাণ বাড়ির লোকজন তাদের ডাকাডাকি করে। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ না পাওয়ায় বাড়ির লোকজন ও এলাকাবাসী বেগমগঞ্জ মডেল থানায় খবর দেয়। পুলিশ ও চৌমুহনী ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের লাশ সেপটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে উদ্ধার করে। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য শ্রমিকদের লাশ নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। উদ্ধারকারী ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের জানান সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে থাকা কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বেশি হওয়ায় শ্বাস রোধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে।
No comments