যানজট নিরসনে পুলিশি অভিযান ব্যর্থঃ বিকল্প রাস্তার বিকল্প নেই
দীর্ঘদিন ধরে লাগাতার যানজটে নাকাল নগরবাসী। মানুষ ও যানবাহন যতই বাড়ছে, ততই প্রকট আকার ধারণ করছে যানজট। দফায় দফায় পরিকল্পনা পাল্টিয়েও সমস্যার সুরাহা করতে পারছে না সরকার। এমনকি ট্রাফিক পুলিশের বিশেষ অভিযান চলাকালেও ভয়াবহ যানজটের মাত্রা কমছে না।
এখন সমস্যা এতটা ভয়াবহ হয়েছে যে, দশ মিনিট দূরত্বের গন্তব্যে যেতে লেগে যাচ্ছে ঘণ্টারও বেশি সময়। এ অবস্থায় নিষম্ফল আক্রোশ প্রকাশ করা ছাড়া ভুক্তভোগীদের আর কিছুই করার থাকছে না। মাস তিনেক আগে কর্তৃপক্ষ ঢাকঢোল পিটিয়ে তিন লেনে গাড়ি চলাচলের যে ব্যবস্থা করেছিল তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। এবার নতুন পথে হাঁটছে ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃপক্ষ। গত ২২ ফেব্রুয়ারি নতুন করে চালানো হয়েছে পুলিশি অভিযান। কিন্তু ওইদিনও ঢাকা শহর যানজটে প্রায় স্থবির ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, এ অভিযানে রাস্তায় ১৩ জন ডিসির নেতৃত্বে মাঠে থাকবে ১৩টি টিম। তাদের সঙ্গে থাকবেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধি। এ অভিযানে আইন অমান্যকারীর জরিমানা হবে এক হাজার টাকা। কিন্তু বাস্তবতা যে অন্যরকম তা ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার রাস্তায় উপস্থিত থেকে আঁচ করতে পেরেছেন। অভিযানের দ্বিতীয় দিনেও যানজটের ভয়াবহতা একদম কমেনি। একই অবস্থার শিকার রাজধানীর চারপাশের সড়ক-মহাসড়। ঢাকার প্রবেশপথের সব রাস্তায়ই গাড়ি আটকে থাকছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
বিশেষজ্ঞরা পূর্বাপর বলে আসছেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, ঢাকাগামী মানুষের বাড়তি চাপ এবং প্রতিদিন রাস্তায় নতুন যানবাহন নামানোর ফলে বেড়ে যাওয়া যানজট সমস্যা শুধু পুলিশি তত্পরতায় নিয়ন্ত্রণে আনা দুঃসাধ্য। রাস্তা বাড়ছে না, বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে না—এ পরিস্থিতিতে পুলিশি অভিযান কমবেশি শৃঙ্খলার বিহিত করলেও যানজটের স্থায়ী অবসান হবে না। এসব বিবেচনা করে ঢাকায় মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে করার ব্যাপারে বেশ কিছুদিন আগে থেকে সরকারি পর্যায়ে কথাবার্তা হচ্ছে। কিন্তু এই পর্যন্তই। এর মধ্যে অবশ্য একাধিক ফ্লাইওভার তৈরি হয়েছে। তাতে সুরাহা হয়নি। উল্লেখ্য, বিগত সরকারের আমলে সারফেসের বাইরে রাস্তা অর্থাত্ পাতাল ও আকাশপথ তৈরির চিন্তাভাবনা করা হয়। ২০০৪-০৫ অর্থবছরে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণের বিষয়টি গুরুত্ব পায়। পরে ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় ৭ হাজার ৬৪০ বর্গমিলোমিটার এলাকায় নতুন রাস্তা নির্মাণেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। নানা কারণে সেসব কর্মসূচি ঝুলে যায়। সম্প্রতি বর্তমান সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে তৈরি এসটিপির ভিত্তিতে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি তা অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে এ নিয়ে ফ্যাকড়া বেঁধেছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) কর্তৃপক্ষ বলেছে, এসব নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়া জাপান বাংলাদেশকে আর্থিক সহযোগিতা দেবে না। এজন্য প্রকল্পের টেন্ডার আহ্বানে দেরি করছে সরকার। তবে গত ২২ ফেব্রুয়ারি যোগাযোগমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নামে জাইকা যদি কালক্ষেপণ করে তাহলে জাপানের আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াই কাজ শুরু করা হবে। তিনি এও বলেছেন, জাইকার যাচাই রিপোর্ট পেলে জাপান ও বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে সহযোগিতা দেবে।
আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে, বিভিন্ন সরকারের আমলে জনগুরুত্বপূর্ণ কাজের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু রাজনৈতিক পালাবদল তথা সরকার বদলের পর সেগুলো ফাইলবন্দি পড়ে থাকে। নতুন সরকার এগোতে চায় নতুন পথে। এখন যে কোনো মূল্যে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েসহ অন্যান্য পন্থা কার্যকর করার কোনো বিকল্প নেই। বিদ্যমান সমস্যা উত্তরণের জন্য ট্রাফিক কর্তৃপক্ষের নতুন নতুন অভিযানের পাশাপাশি এসব কাজ শুরু করা দরকার অবিলম্বে। কোনো রাজনৈতিক বা অগণতান্ত্রিক কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডে জট সৃষ্টি হলে যানজট এগিয়ে যাবে আরও দুঃসহ অবস্থার দিকে। সরকার এসব সংশয় থেকে মুক্ত থাকবে—এটাই কাম্য।
বিশেষজ্ঞরা পূর্বাপর বলে আসছেন, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, ঢাকাগামী মানুষের বাড়তি চাপ এবং প্রতিদিন রাস্তায় নতুন যানবাহন নামানোর ফলে বেড়ে যাওয়া যানজট সমস্যা শুধু পুলিশি তত্পরতায় নিয়ন্ত্রণে আনা দুঃসাধ্য। রাস্তা বাড়ছে না, বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে না—এ পরিস্থিতিতে পুলিশি অভিযান কমবেশি শৃঙ্খলার বিহিত করলেও যানজটের স্থায়ী অবসান হবে না। এসব বিবেচনা করে ঢাকায় মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে করার ব্যাপারে বেশ কিছুদিন আগে থেকে সরকারি পর্যায়ে কথাবার্তা হচ্ছে। কিন্তু এই পর্যন্তই। এর মধ্যে অবশ্য একাধিক ফ্লাইওভার তৈরি হয়েছে। তাতে সুরাহা হয়নি। উল্লেখ্য, বিগত সরকারের আমলে সারফেসের বাইরে রাস্তা অর্থাত্ পাতাল ও আকাশপথ তৈরির চিন্তাভাবনা করা হয়। ২০০৪-০৫ অর্থবছরে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণের বিষয়টি গুরুত্ব পায়। পরে ঢাকা এবং আশপাশের এলাকায় ৭ হাজার ৬৪০ বর্গমিলোমিটার এলাকায় নতুন রাস্তা নির্মাণেরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। নানা কারণে সেসব কর্মসূচি ঝুলে যায়। সম্প্রতি বর্তমান সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী বলেছেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে তৈরি এসটিপির ভিত্তিতে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে নির্মাণ প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক কমিটি তা অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে এ নিয়ে ফ্যাকড়া বেঁধেছে। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) কর্তৃপক্ষ বলেছে, এসব নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাই ছাড়া জাপান বাংলাদেশকে আর্থিক সহযোগিতা দেবে না। এজন্য প্রকল্পের টেন্ডার আহ্বানে দেরি করছে সরকার। তবে গত ২২ ফেব্রুয়ারি যোগাযোগমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের নামে জাইকা যদি কালক্ষেপণ করে তাহলে জাপানের আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াই কাজ শুরু করা হবে। তিনি এও বলেছেন, জাইকার যাচাই রিপোর্ট পেলে জাপান ও বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পে সহযোগিতা দেবে।
আমাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে, বিভিন্ন সরকারের আমলে জনগুরুত্বপূর্ণ কাজের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু রাজনৈতিক পালাবদল তথা সরকার বদলের পর সেগুলো ফাইলবন্দি পড়ে থাকে। নতুন সরকার এগোতে চায় নতুন পথে। এখন যে কোনো মূল্যে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়েসহ অন্যান্য পন্থা কার্যকর করার কোনো বিকল্প নেই। বিদ্যমান সমস্যা উত্তরণের জন্য ট্রাফিক কর্তৃপক্ষের নতুন নতুন অভিযানের পাশাপাশি এসব কাজ শুরু করা দরকার অবিলম্বে। কোনো রাজনৈতিক বা অগণতান্ত্রিক কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডে জট সৃষ্টি হলে যানজট এগিয়ে যাবে আরও দুঃসহ অবস্থার দিকে। সরকার এসব সংশয় থেকে মুক্ত থাকবে—এটাই কাম্য।
No comments